চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত অবসানে শক্তি প্রয়োগ কোনও উপায় নয়। দেশটির মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত আবারও যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। রবিবার মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়েছে। তুরস্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড এ খবর জানিয়েছে।
শনিবার মিসরে শান্তির জন্য সম্মেলন আয়োজন করা হয়। সম্মেলনে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস ‘দুঃস্বপ্নজনক পরিস্থিতির’ অবসানে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার জবাবে গাজায় দুই সপ্তাহ ধরে বোমা বর্ষণ করে যাচ্ছে ইসরায়েল।
চীনের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত ঝাই জুন সম্মেলনের পার্শ্ববৈঠকে আরব লিগের প্রধান আহমেদ ঘেইতের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং যত দ্রুত সম্ভব লড়াইয়ের অবসান ঘটানোর জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিবৃতি অনুসারে, ঝাই জুন বলেছেন, চীন মনে করে শক্তি প্রয়োগ সমস্যা সমাধানের কোনও উপায় নয় এবং সহিংসতাকে সহিংসতা দিয়ে মোকাবিলায় কেবল প্রতিশোধ চক্র তৈরি হয়।
ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের মতে, ৭ অক্টোবর ইসরায়েল হামলা চালিয়ে হামাস যোদ্ধারা ১ হাজার ৪০০ জনকে হত্যা করেছে।
ইসরায়েলি বোমা বর্ষণে ফিলিস্তিনে ৪ হাজার ৬০০ নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নিহতদের বেশিরভাগ বেসামরিক নাগরিক।
ইসরায়েলের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রেখে আসছে চীন। কিন্তু ফিলিস্তিনকেও কয়েক দশক ধরে সমর্থন করে আসছে বেইজিং। দেশটি সংঘাত অবসানে দুই রাষ্ট্র সমাধানের সমর্থক।
এর আগে বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো দেওয়ার সমালোচনা করেছে চীন। ব্রাজিলের উত্থাপিত প্রস্তাবে মানবিক বিরতির আহ্বান জানানো হয়েছিল। ওয়াশিংটন ভেটো দেওয়ার ন্যায্যতার পক্ষে প্রস্তাবে ‘ইসরায়েলের নিজেকে রক্ষার অধিকারের’ উল্লেখ না থাকার কথা বলেছে।
বেইজিংয়ে মিসরীয় প্রধানমন্ত্রী মোস্তফা মাধবৌলির সঙ্গে বৈঠকে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছিলেন, সংঘাতের ছড়িয়ে পড়া বা নিয়ন্ত্রণ হারানো ঠেকানো এবং গুরুতর মানবিক সংকট তৈরি করা এড়ানো গুরুত্বপূর্ণ।