রবিবার কায়রোতে গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনা আবারও শুরু হচ্ছে। শনিবার (২ মার্চ) মার্কিন বার্তা সংস্থা-রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
শনিবার মিসরের দুইটি নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতির সময়কাল এবং জিম্মি ও বন্দী মুক্তির বিষয়ে একমত হয়েছে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তবে গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার ও সেখানকার বাসিন্দাদের ফেরত আসা বিষয়ে এখনও একমত হতে পারেনি তারা। ফলে এ বিষয়ে আরও আলোচনা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে সূত্রটি।
অবশ্য কায়রো আলোচনার বিষয়টি নিশ্চিত করেননি এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা। বরং তিনি বলেছেন, গাজায় যুদ্ধের সমাপ্তি ও গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রসঙ্গ যখনই ওঠে, তখনই আলোচনার ফাঁকফোকরগুলো টের পাওয়া যায়।
এদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ওয়াইনেট জানিয়েছে, গাজায় জিম্মিদের সম্পূর্ণ তালিকা না পাওয়া পর্যন্ত কায়রো আলোচনায় প্রতিনিধি দল পাঠাবে না ইসরায়েল।
আসন্ন পবিত্র রমজান মাসের শুরু থেকেই হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হবে বলে আশা করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। রমজান শুরু হবে ১০ মার্চ।
যদিও ইসরায়েল বা হামাসের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিক কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে আলোচনা চলছে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার গাজা কর্তৃপক্ষ দাবি করে, গাজায় ত্রাণ সংগ্রহের জন্য জড়ো হওয়া বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর চালানো গুলিতে শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। যদিও এ ঘটনা আলোচনার গতি মন্থর করেনি বরং এতে গাজার মানবিক পরিস্থিতির উন্নয়নে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জোরালো হয়ে উঠেছে।
তবে ইসরায়েল বলছে,তাদের সেনারা সতর্কতামূলক গুলি ছোড়ার পর বেশির ভাগ মানুষই হুড়োহুড়ি করার সময় পদপিষ্ট হয়ে মারা গেছে। অবশ্য ওই ঘটনার পর গাজা উপত্যকায় উড়োজাহাজ থেকে ত্রাণ ফেলার ঘোষণা দিয়েছেন বাইডেন।
গাজা স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে ৩০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। জাতিসংঘ সতর্ক করেছে, গাজার জনসংখ্যার এক চতুর্থাংশ দুর্ভিক্ষের কবলে পড়তে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধবিরতির জন্য আন্তর্জাতিক চাপ বেড়েছে।