X
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪
১৫ বৈশাখ ১৪৩১

গাজায় অস্বাভাবিক ওজনের নবজাতকরা অনাহারে মারা যাচ্ছে: ডব্লিউএইচও

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২০ মার্চ ২০২৪, ১১:২৫আপডেট : ২০ মার্চ ২০২৪, ১৩:২২

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় অনাহার দিন দিন মারাত্মক আকার ধারণ করছে। ফলে অঞ্চলটিতে জন্ম নেওয়া অস্বাভাবিক ওজনের নবজাতকরা মারা যাচ্ছে। সেখানকার ডাক্তার ও চিকিৎসা কর্মীদের বরাতে মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) এই তথ্য জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। তুর্কি সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি এই খবর জানিয়েছে।

জেনেভায় জাতিসংঘের একটি সংবাদ সম্মেলনে ডব্লিউএইচও এর মুখপাত্র মার্গারেট হ্যারিস বলেছন, ‘সেখানকার অন্তঃসত্ত্বা মায়েদের ওজন অনেক কম এবং তারা পুষ্টির অভাবে গর্ভকালীন বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন।’

হ্যারিস বলেন, ক্রমবর্ধমানভাবে সেখানে আমরা এমন শিশুদের দেখছি যারা অনাহারের কারণে মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। তাদের ঘন ঘন খাওয়ানো দরকার। আমাদের কাজ এখন অপুষ্টি স্থিতিশীলকরণ কেন্দ্র স্থাপন করা।’

তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে গাজার দক্ষিণে একটি কেন্দ্র স্থাপন করেছে তারা এবং উত্তরাঞ্চলেও অপুষ্টি স্থিতিশীলকরণ কেন্দ্র স্থাপনের চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে এই ধরনের কেন্দ্র গড়ে তুলতে যে পরিমাণ সরঞ্জামের প্রয়োজন সেগুলো আনার জন্য ‘প্রবেশ ও নিরাপত্তা’ প্রয়োজন, যা এই মুহুর্তে সম্ভব নয়।

৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালালে গাজায় দীর্ঘ যুদ্ধের সূত্রপাত হয়। ইসরায়েলের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, হামাসের ওইদিনের হামলায় প্রায় ১২০০ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। এসময় আরও ২৫৩ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় সশস্ত্র যোদ্ধারা। ওই হামলার জবাবে গাজায় ওইদিনই পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, ইসরায়েলি আগ্রাসনে এ পর্যন্ত অন্তত ৩১ হাজার ৮০০ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও  প্রায় ৭৪ হাজার ।

জাতিসংঘের সংস্থার মতে, গাজায় দুর্ভিক্ষ আসন্ন। শুধু মানবিক সহায়তার টেকসই প্রবেশ এবং আরও  সরবরাহ বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের জীবন বাঁচাতে পারে।

/এএকে/
সম্পর্কিত
তিনটি গ্রাম থেকে সেনা সরিয়ে নিলো ইউক্রেন
পাকিস্তানে বৃষ্টিতে মৃত্যু ২২
এপি'র সাংবাদিককে গ্রেফতার করলো রাশিয়া
সর্বশেষ খবর
জাতীয় দল রেখে ঢাকা লিগে সাকিবের খেলার ব্যাখ্যা দিলেন নির্বাচক
জাতীয় দল রেখে ঢাকা লিগে সাকিবের খেলার ব্যাখ্যা দিলেন নির্বাচক
পাপন শুনেছেন, তামিম নাকি সামনের বছর ফিরবেন!
পাপন শুনেছেন, তামিম নাকি সামনের বছর ফিরবেন!
তিনটি গ্রাম থেকে সেনা সরিয়ে নিলো ইউক্রেন
তিনটি গ্রাম থেকে সেনা সরিয়ে নিলো ইউক্রেন
ভেসে আসা ‘টর্পেডো’ উদ্ধারে কাজ করছে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড
ভেসে আসা ‘টর্পেডো’ উদ্ধারে কাজ করছে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড
সর্বাধিক পঠিত
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
ইমিগ্রেশনেই খারাপ অভিজ্ঞতা বিদেশি পর্যটকদের
ইমিগ্রেশনেই খারাপ অভিজ্ঞতা বিদেশি পর্যটকদের
স্কুলে আসার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শিক্ষক
স্কুলে আসার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শিক্ষক
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে