ইসরায়েল ও ইরান একে অপরকে লক্ষ্য করে শনিবার (১৪ জুন) রাতভর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এর ফলে জেরুজালেম, তেল আবিব এবং তেহরানে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এরপর থেকেই জেরুজালেমের পুরোনো শহর সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
শুক্রবার ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির প্রাণকেন্দ্র ও দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর ওপর হামলা চালায় ইসরায়েল। এ ঘটনার পরই ইরান পাল্টা জবাব দেয়।
ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে প্রথমে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইরান। এরপর ইসরায়েলের দিকে একের পর এক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। এই হামলা চলাকালে জেরুজালেম ও তেল আবিবের আকাশ অন্ধকারের মধ্যেও বিস্ফোরণের আলোয় ঝলমল করে ওঠে এবং নিচের ভবনগুলো কেঁপে ওঠে।
এসময় জনগণকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার জন্য একাধিক সতর্কতা জারি করা হয়। বিবিসির আইওন ওয়েলস জানিয়েছেন, জেরুজালেমে একটি বিস্ফোরণের শব্দ তিনি নিজ কানে শুনেছেন।
ইসরায়েলি কর্মকর্তা ও স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইরানের পাল্টা হামলায় এখন পর্যন্ত তিনজন নিহত ও কয়েক ডজন মানুষ আহত হয়েছে।
এদিকে জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের দূত জানিয়েছেন, শুক্রবার ইসরায়েলি হামলায় ৭৮ জন নিহত এবং অন্তত ৩২০ জন আহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। তবে তেহরানের দাবি, ইরানে ইসরায়েলি হামলায় দেশটির কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা ও পরমাণুবিজ্ঞানী নিহত হন।
চলমান হামলার পর জেরুজালেমের পুরোনো শহরের অন্যতম প্রধান প্রবেশপথ দামেস্ক গেটের সিঁড়ির মুখে ব্যারিকেড বসানো হয়েছে। এমনকি সাধারণত শত শত মুসলিম আল আকসা মসজিদে নামাজের জন্য যান। কিন্তু নিরাপত্তার কারণে প্রবেশ সাময়িকভাবে বন্ধ থাকায় তারাও মসজিদে উপস্থিত হতে পারেননি।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষাবাহিনী জানিয়েছে, দেশটির বিমানবাহিনী আবারও ইরানে হামলা চালানোর জন্য প্রস্তুত। আইডিএফ প্রধান অব স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল আইয়াল জামির বলেন, ‘ইরানে পৌঁছানোর পথ তৈরি হয়ে গেছে।’
এদিকে ইসরায়েলে হামলা অব্যাহত রাখার হুমকি দিয়েছে ইরান। সেই সঙ্গে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার হুমকিও দিয়েছে তেহরান।