যুক্তরাষ্ট্রের আগ্নেয়াস্ত্র কেনা এবং বহনের পক্ষাবলম্বনকারী সংগঠনগুলো চলতি বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সম্ভাব্য রিপাবলিকান পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমর্থনের কথা জানিয়েছে।
শুক্রবার (২০ মে) লুসিয়ানায় আগ্নেয়াস্ত্র বহনের পক্ষে তদবিরকারী যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সংগঠন এনআরএ (ন্যাশনাল রাইফেল অ্যাসোসিয়েশন)-এর কনভেনশনে দেওয়া এক ভাষণে ট্রাম্প আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণের তীব্র বিরোধিতা করেন। এসময় তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট মনোনয়নপ্রত্যাশী হিলারি ক্লিনটনকে ‘হৃদয়হীন’ বলে উল্লেখ করেন। নির্বাচিত হলে দেশব্যাপী ‘আগ্নেয়াস্ত্র মুক্ত এলাকা’ নিষিদ্ধ করবেন বলেও তিনি প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
ট্রাম্পের ওই বক্তব্য কনভেনশনে উপস্থিত এনআরএ এর সমর্থক ও কর্মীরা ব্যাপকভাবে সমর্থন করেন। এরপর এনআরএ নির্বাচনে ট্রাম্পকে সমর্থনের কথা জানায়। এনআরএ নেতারা হিলারি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণের পক্ষাবলম্বনের অবস্থানের তীব্র সমালোচনা করে। সে সময় একজন এনআরএ নেতা একটি ব্যাঙ্গাত্মক ভিডিও প্রচার করেন। হিলারিকে সেখানে এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়, যেন তাকে কুকুরের মতো ঘেউ ঘেউ করতে দেখা যায়।
উল্লেখ্য, রিপাবলিকানদের মিথ্যাচার বোঝাতে কুকুকের মতো করে ডাক দেন হিলারি। এরপর ডোনাল্ড ট্রাম্প সে ঘটনার একটি ব্যাঙ্গাত্মক ভিডিও প্রকাশ করেন। তবে এনআরএ-প্রচারিত ভিডিওটি ট্রাম্পের ভিডিওই কিনা, তা জানা যায়নি।
কনভেনশনে রাখা বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, ‘তিনি (হিলারি) মার্কিন জনগণকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিচ্ছেন।’ ট্রাম্পের মতে, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের মাধ্যমে বিশেষত মার্কিন নারীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। নারীদের ভোট তার দিকে কম যাচ্ছে, এ বিষয়টি মাথায় রেখে তিনি নারী ভোটারদের সমর্থনের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি নারীদের পুরুষদের চেয়ে বেশি পছন্দ করি।’
ট্রাম্পের বক্তব্যের সমালোচনায় হিলারি শিবির ট্রাম্পের অস্ত্রনীতিকে ‘ভয়াবহ’ বলে উল্লেখ করেছে। হিলারি শিবিরের জ্যেষ্ঠ নীতি নির্ধারক মায়া হ্যারিস বলেন, ফেডারেল পর্যায়ে নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে সাধারণ জ্ঞান থাকাটা আবশ্যক। তিনি সংবিধানের দ্বিতীয় সংশোধনীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার আহ্বান জানিয়ে সতর্ক থাকতে বলেন, যেন অপরাধীদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র না পৌঁছায়।
উল্লেখ্য, মার্কিন সংবিধানের দ্বিতীয় সংশোধনীতে মার্কিন নাগরিকদের আগ্নেয়াস্ত্র ক্রয় ও বহনের বৈধতা দেওয়া হয়। হিলারি তার নির্বাচনী প্রচারণায় বলেছেন, নির্বাচিত হলে তিনি সুপ্রিম কোর্টের মাধ্যমে ওই সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করবেন।
সূত্র: আলজাজিরা।
আরও পড়ুন:
মুসলমান হত্যা ও বাবরি মসজিদ ধ্বংসের বদলা নেবে আইএস!
ইসলাম কখনও শান্তির ধর্ম নয়: আইএস!
দুই বছরের মধ্যে বন্ধ হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত!
/এসএ/