সাংবাদিক প্রবীর শিকদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ খারিজের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি এ আহ্বান জানায়। গতবছর ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা করা হয়। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে দীর্ঘ সময় কারাবাস করতে হতে পারে।
দৈনিক পত্রিকা বাংলা ৭১-এর সম্পাদক প্রবীর শিকদারকে গতবছরের আগস্টে গ্রেফতার করা হয়। তিনি বর্তমানে জামিনে মুক্ত রয়েছেন। ২৬ জুন তার মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল-এর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক পরিচালক চম্পা প্যাটেল বলেন, ‘প্রবীর শিকদারের ওপর আনা সব অভিযোগ এখনই নিঃশর্তভাবে খারিজ করতে হবে। এটা খুবই দুঃখজনক বিষয়, শুধু সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে পোস্ট করার জন্য একজন শ্রদ্ধাভাজন সাংবাদিককে এক দশকেরও বেশি সময় কারাবাস করতে হতে পারে।’
চম্পা প্যাটেল আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে গণমাধ্যম অবরুদ্ধ। সাংবাদিকদের গুরুত্বপূর্ণ কাজ দমন না করে, যারা সংবাদকর্মীদের হুমকি প্রদান করে, ভীতি প্রদর্শন করে এবং হয়রানি করে, তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা উচিত।’
অ্যামনেস্টির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, একটি জমির মালিকানাকে কেন্দ্র করে তিনি কয়েকটি প্রতিবেদন লেখেন। আর এজন্য তাকে মৃত্যু হুমকিও দেওয়া হয়। এরপর গতবছর ১০ আগস্ট তিনি ফেসবুকে একটি বিবৃতি পোস্ট করেন। যেখানে তিনি নিজের জীবন শঙ্কার কথা জানান এবং যদি জীবনহানি ঘটে তাহলে তিনজন দায়ী থাকবেন বলে উল্লেখ করেন। এই তিনজনের মধ্যে মন্ত্রিসভার একজন সদস্যের নামও রয়েছে। তিনি ওই পোস্টে আরও উল্লেখ করেন যে, তিনি পুলিশকে মৃত্যু হুমকির কথা জানালেও তাকে কোনও সহায়তা প্রদান করা হয়নি।
প্রবীর শিকদারের বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা অনুযায়ী, সরকারের মন্ত্রী খন্দকার মোশারফ হোসেনের ‘ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা’র অভিযোগ করা হয়। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার সাত থেকে চৌদ্দ বছরের সাজা হতে পারে।
২০০১ সালে দৈনিক জনকণ্ঠের ফরিদপুর প্রতিনিধি থাকাকালে সন্ত্রাসীদের হামলায় মারাত্মক আহত হন প্রবীর শিকদার। এ ঘটনায় চিকিৎসকেরা প্রবীর শিকদারের একটি পা কেটে ফেলেন। এরপর দেশে-বিদেশে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে তিনি পুনরায় সাংবাদিকতায় যোগ দেন।
আরও পড়ুন:
ব্রেক্সিট পরবর্তী ব্রিটেনের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত করবিন
লন্ডন, এডিনবরায় ব্রেক্সিটবিরোধী বিক্ষোভ
/এসএ/এমপি/