যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সংরক্ষণবাদী নীতির নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে দেশটির অর্থনীতিতে। সোমবার টিপিপি বাতিলের নির্বাহী আদেশে ট্রাম্পের স্বাক্ষরের পর ট্রাম্প প্রশাসনের অন্তর্মুখী অবস্থান আরও পরিষ্কার হয়। মূলত এরপরই পড়তে শুরু করে মার্কিন অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র ওয়াল স্ট্রিটের সূচক। সেখানে বিনিয়োগের আগে দ্বিতীয়বার চিন্তা করতে শুরু করেন বিনিয়োগকারীরা। বিশ্ববাণিজ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন তারা।
বিনিয়োগকারীদের ভয়ের কারণ শুধু টিপিপি বাতিলই নয়। এরইমধ্যে নর্থ আমেরিকান ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট (নাফটা) পর্যালোচনারও ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। ১৯৯৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকো’কে নিয়ে এ সংগঠন যাত্রা শুরু করেছিল। তবে ট্রাম্পের অভিষেকের পর অবশ্য হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ট্রাম্প আরেকটি চুক্তিতে আবদ্ধ হতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যেসব দেশ বাণিজ্য চুক্তি ভঙ্গ করছে এবং আমেরিকান কর্মীদের ক্ষতিগ্রস্ত করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নিউ ইয়র্কভিত্তিক গ্লোবাল মার্কেটস অ্যাডভাইজরি গ্রুপ-এর একজন বিশেষজ্ঞ পিটার কেনি। তিনি বলেন, ‘বাণিজ্য, অর্থনীতি, কর এবং প্রবিধানের মতো বিষয়গুলোতে ট্রাম্পের যে দৃষ্টিভঙ্গি তার সম্ভাব্য প্রভাব বা বিপর্যয় সম্পর্কে অনুধাবন করতে চাইছেন।’
সোমবার হোয়াইট হাউসে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় ডজনখানেক উৎপাদন প্রতিষ্ঠানের মালিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তিনি ব্যবসায়ীদের প্রতি নিয়ন্ত্রণ সংস্থাগুলোর চাপ কমানোর প্রতিশ্রুতি দেন। দেশের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করতে করপোরেট কর কমানোর কথাও বলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সিরিজ বৈঠকের পরিকল্পনাও রয়েছে আলোচিত এই রাজনীতিক কাম ব্যবসায়ীর।
দুই মাস ডলারের দর বৃদ্ধি পেলেও সাত সপ্তাহের মধ্যে এটি এখন সর্বনিম্ম। প্রতিযোগিতা বাড়ছে অন্যান্য মুদ্রার সঙ্গেও।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের স্টক এক্সচেঞ্জগুলোতে দিনে গড়ে ৬ দশমিক ১৫ বিলিয়ন শেয়ারের হাতবদল হয়। সূত্র: রয়টার্স।
/এমপি/