X
মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫
১৬ আষাঢ় ১৪৩২

আন্তর্জাতিক আদালতের আদেশ: রোহিঙ্গাদের হত্যা করা যাবে না

বিদেশ ডেস্ক
২৩ জানুয়ারি ২০২০, ১৫:৩৭আপডেট : ২৩ জানুয়ারি ২০২০, ১৯:০২

রোহিঙ্গাদের হত্যা কিংবা শারীরিক-মানসিক আঘাত না করতে মিয়ানমারের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালত (আইসিজে)। ২৩ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার নেদারল্যান্ডসের হেগে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ এই আদালতের আদেশে বলা হয়, জেনোসাইড কনভেনশন ২ অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের হত্যা, শারীরিক বা মানসিক নিপীড়ন কিংবা ইচ্ছাকৃত আঘাত করা যাবে  না। আন্তর্জাতিক আদালতের আদেশ: রোহিঙ্গাদের হত্যা করা যাবে না

এদিন মোট চারটি আদেশ দেন আদালত। বাকি তিনটি আদেশ হলো:

  • গণহত্যা কিংবা গণহত্যার প্রচেষ্টা বা ষড়যন্ত্র না করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ।
  • গণহত্যার আলামত নষ্ট না করার নির্দেশ।
  • মিয়ানমারকে অবশ্যই ৪ মাসের মধ্যে লিখিত জমা দিতে হবে, যেন তারা সেখানে পরিস্থিতি উন্নয়নে কী ব্যবস্থা নিয়েছে। এরপর প্রতি ৬ মাসের মধ্যে আবার প্রতিবেদন দেবে।

গাম্বিয়া এই প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে তার পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের কাছে আবেদন করতে পারবে।

জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন ইতোমধ্যেই রাখাইনে সম্ভাব্য গণহত্যার আলামত পেয়েছে। ওই আলামতের ভিত্তিতে আইসিজে-র পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, রাখাইনে রোহিঙ্গারা গণহত্যার হুমকির মধ্যে রয়েছে।

আইসিজে বলেছেন, মিয়ানমারে বসবাসরত রোহিঙ্গারা জেনোসাইড কনভেনশনের অনুচ্ছেদ ২ অনুযায়ী একটি ‘প্রটেক্টেড গ্রুপ’। ২০১৭ সালে তাদের বিরুদ্ধে সামরিক বাহিনীর অভিযানের অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া যায় না। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুযায়ী, তারা আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি ও বেসামরিকদের মধ্যে পার্থক্য করতে পারেনি। তাই অনেক বেসামরিক প্রাণ হারিয়েছে।

আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালত জানান, রোহিঙ্গাদের অস্তিত্বের সুরক্ষা নিশ্চিতে কোনও প্রস্তাব দেয়নি মিয়ানমার। তাদের অবশ্যই জেনোসাইড কনভেনশন মেনে চলতে হবে এবং ভবিষ্যতে এমন হত্যাকাণ্ড যেন না হয় সেটা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নিতে হবে।

রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের আলামত যেন নষ্ট করা না হয় সেজন্যও মিয়ানমারকে আদেশ দিয়েছেন আদালত।  তাদের সুরক্ষায় কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা প্রতিবেদন আকারে চার মাসের মধ্যে আদালতে জমা দিতে হবে। পরবর্তীতে ছয় মাস পর পর প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে মিয়ানমারকে। আদালত বলেছেন, নেপিদো রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা দিতে দায়বদ্ধ।

/এনএস/এমএইচ/বিএ/এমপি/এমএমজে/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুরে
বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুরে
দুর্ঘটনায় ছয় মাসে প্রাণ হারিয়েছে ৪২২ শ্রমিক
দুর্ঘটনায় ছয় মাসে প্রাণ হারিয়েছে ৪২২ শ্রমিক
৪০ শতাংশ কৃষক পান না ন্যায্য মজুরি: জরিপ
৪০ শতাংশ কৃষক পান না ন্যায্য মজুরি: জরিপ
ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা ও মার্কিন পাল্টা শুল্ক বড় চ্যালেঞ্জ: বিজিএমইএ সভাপতি
ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা ও মার্কিন পাল্টা শুল্ক বড় চ্যালেঞ্জ: বিজিএমইএ সভাপতি
সর্বাধিক পঠিত
তিন বিমানবন্দরে ১৬ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে
তিন বিমানবন্দরে ১৬ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে
রূপপুর প্রকল্পের ১৮ প্রকৌশলী অপসারণ: হাইকোর্টের রুল
রূপপুর প্রকল্পের ১৮ প্রকৌশলী অপসারণ: হাইকোর্টের রুল
ফেসবুকে পাল্টাপাল্টি স্ট্যাটাস উপদেষ্টা আসিফ ও সাংবাদিক জুলকারনাইনের
ফেসবুকে পাল্টাপাল্টি স্ট্যাটাস উপদেষ্টা আসিফ ও সাংবাদিক জুলকারনাইনের
‘ইউ আর পেইড বাই দ্য গভর্নমেন্ট’
এনবিআর কর্মকর্তাদের উদ্দেশে অর্থ উপদেষ্টা          ‘ইউ আর পেইড বাই দ্য গভর্নমেন্ট’
ইস্টার্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দ
ইস্টার্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দ