ভারতের তাবলিগ জামাতের প্রধান মাওলানা সা’দ কান্ধলভীর বিরুদ্ধে বেআইনি অনিচ্ছাকৃত হত্যার অভিযোগ এনেছে দিল্লি পুলিশ। দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজ খালি করার দুটি নোটিশ অগ্রাহ্য করেছেন বলে অভিযোগ করেছে পুলিশ। ভারতের ১৭টি রাজ্যে ১ হাজার ২৩ জন করোনা আক্রান্তের সঙ্গে এই তাবলিগ জামাতের যোগসূত্র রয়েছে বলে দাবি সরকারের। মাওলানা সা’দ ও তাবলিগ জামাতের পক্ষ থেকে বেআইনি কোনও কাজের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।
দিল্লি পুলিশ বৃহস্পতিবার তাবলিগ জামাতের প্রধানের বিরুদ্ধে বেআইনি অনিচ্ছাকৃত হত্যার। এর অর্থ হলো তিনি জামিনের আবেদন করতে পারবেন না। স্বেচ্ছা-বিচ্ছিন্ন থাকার সময়েই তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ দায়ের করা হলো।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, মাওলানা সা’দের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে আরেকটি অভিযোগ দায়ের করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
মাওলানা সা’দের বিরুদ্ধে পুলিশ প্রাথমিকভাবে বড় জমায়েতের অভিযোগ দায়ের করেছিল। কোয়ারেন্টিন শেষ হলে সোমবার তার তদন্তে যোগ দেওয়ার কথা ছিল।
এক কর্মকর্তা এনডিটিভিকে জানান, তাবলিগ জামাতের প্রধানের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে দিল্লি পুলিশ, এবার তার সঙ্গে ৩০৪ ধারা যোগ করা হলো। ফলে তার ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
গত ১ মার্চ দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজ মসজিদে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের সংগঠন তাবলিগ জামাতের একটি ধর্মীয় সমাবেশ শুরু হয়। মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরব ও কিরগিজস্তানের প্রতিনিধিসহ প্রায় দুই হাজার মানুষ ওই আয়োজনে অংশ নেন। ১৫ মার্চ অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরও অনেকে সেখানে থেকে যান। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ২৪ মার্চ ভারত জুড়ে লকডাউন শুরুর সময়ও সেখানে প্রায় দেড় হাজার মানুষের অবস্থান ছিলো।
মারকাজ নিজামুদ্দিনে অবস্থানরতদের অনেকের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ার পর তাবলিগ নেতাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা অমান্যের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়। মামলা দায়েরের পর মাওলানা সা'দের সন্ধানে বেশ কয়েকটি স্থানে তল্লাশি চালিয়েও তার খোঁজ পায়নি পুলিশ।
পরে এক অডিও বার্তায় মাওলানা সা'দ জানান, গত ২৮ মার্চ থেকে কোয়ারেন্টিনে আছেন তিনি। গত ৮ এপ্রিল তার আইনজীবী জানান, কোয়ারেন্টিন শেষ হলে তদন্তে অংশ নেবেন মাওলানা সা'দ।