ফিলিপাইনের বৃহত্তম টিভি চ্যানেল এবিএস-সিবিএন’র সম্প্রচার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে দেশটির মিডিয়া নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান। এই নির্দেশের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চ্যানেলটি তাদের সম্প্রচার বন্ধ করেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।
১৯৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত মিডিয়া গোষ্ঠীটিত কর্মরত আছে প্রায় ১১ হাজার মানুষ। প্রতিষ্ঠানরটি ফিলিপাইনজুড়ে টেলিভিশন ও রেডিও স্টেশন রয়েছে এবং অনলাইনে খবর প্রচার করে থাকে।
এবিএস-সিবিএন জানায়, তাদেরকে লাইসেন্স নবায়নের আগ পর্যন্ত সম্প্রচার চালিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছিল। সোমবার তাদের লাইসেন্সের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। কিন্তু মিডিয়ার নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ তাদেরকে মঙ্গলবার থেকে সম্প্রচার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। টেলিভিশন চ্যানেলটি এর আগে প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুয়ার্তেকে ক্ষুব্ধ করেছিল। ২০১৬ সালের নির্বাচনে দুয়ার্তের প্রচারণামূলখ বিজ্ঞাপন প্রচারে অস্বীকৃতি জানায় চ্যানেলটি। ওই সময় ক্ষুব্ধ দুয়ার্তে নির্বাচনে জয়ী হলে চ্যানেলটির লাইসেন্স নবায়ন বন্ধ করার হুমকি দিয়েছিলেন।
সম্প্রচার বন্ধের আগ মুহূর্তে চ্যানেলটির চেয়ারম্যান মার্ক লোপেজ দর্শকদের বলেন, বন্ধ হওয়াটা আমাদের জন্য বেদনাদায়ক। কিন্তু দেশের লাখো মানুষ যাদের কাছে আমাদের সেবা গুরুত্বপূর্ণ তাদের জন্যও বিষয়টি বেদনার।
এর আগে এক বিবৃতিতে এবিএস-সিবিএন জানায়, জাতীয় টেলিযোগযোগ কমিশনের আদেশ মেনে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সম্প্রচার বন্ধ করা হবে। সংসদের নিম্নকক্ষ কংগ্রেসের সদস্যদের প্রতি লাইসেন্স নবায়নের আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আমরা বিশ্বাস করি ফিলিপাইনের জনগণের সর্বোত্তম আগ্রহের কথা, মহামারির এই কঠিন সময়ে সময়ে সর্বশেষ সংবাদ ও তথ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে এবিএস-সিবিএন এর ভূমিকা এবং প্রচেষ্টা বিবেচনায় নিয়ে সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
চ্যানেলটির সম্প্রচার বন্ধের সমালোচনা করেছেন দেশটির বিরোধী দলীয় আইনপ্রণেতারা। সিনেটর রিসা হন্টিভেরস এক বিবৃতিতে বলেছেন, এই সম্প্রচার বন্ধের নির্দেশ জনগণের কল্যাণবিরোধী।
সংসদের নিম্ন কক্ষের লেজিসলেটি ফ্রাঞ্চাইজি কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান জানান, কংগ্রেস এই পদক্ষেপের ব্যাখ্যা চাইবে টেলিকম নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টির পক্ষ থেকে এই পদক্ষেপেক সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার গুরুতর লঙ্ঘন বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।