রাইড শেয়ারিং অ্যাপ পাঠাও-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহ’র ব্যক্তিগত সহকারী থাকা অবস্থায় প্রায় এক লাখ ডলার চুরি করেছিল সন্দেহভাজন খুনি টাইরিস হাসপিল। নিউ ইয়র্ক টাইমস ও ডেইলি মেইলের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এ ঘটনায় ফাহিম কোনও আইনগত ব্যবস্থা না নিয়ে হাসপিলকে কিস্তিতে টাকা ফেরত দেওয়ার পথ বাতলে দিয়েছিলেন।
নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘটনা সম্পর্কে অবগত ৩ জন কর্মকর্তা তাদের জানিয়েছেন, মোটামুটি ৯০ হাজার ডলার চুরি করেছিল হাসপিল। ফাহিম তাকে নিজের প্রতিষ্ঠান থেকে বরখাস্ত করেছিলেন। তবে তার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ করেননি। বরং হাসপিল যেন কিস্তিতে টাকাটা ফেরত দিতে পারে, তার পথও বাতলে দিতে চেয়েছিলেন তিনি।
ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে পুলিশ সূত্রকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, গোয়েন্দারা ফাহিমের ফোনে পাওয়া একটা টেক্সট মেসেজে এই টাকা চুরির ব্যাপারটি সম্পর্কে অবগত হওয়ার পর হাসপিলের ওপর নজরদারি শুরু করে।
শুক্রবার (১৭ জুলাই) ফাহিমকে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় তার সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী হাসপিলকে। একইদিনে তার বিরুদ্ধে সেকেন্ড ডিগ্রি মার্ডারের অভিযোগ দায়ের করা হয়। এক সংবাদ সম্মেলনে নিউ ইয়র্ক পুলিশ বিভাগের প্রধান ডিটেকটিভ রোডনি হ্যারিসন সাংবাদিকদের বলেন, ফাহিমের অর্থনৈতিক ও ব্যক্তিগত বিষয়গুলো তদারকি করতো সন্দেহভাজন হাসপিল।
এ সম্পর্কিত আরও খবর-
পাঠাও-এর সহপ্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহ খুন
যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশি কমিউনিটিতে শোকের ছায়া, এখনও গ্রেফতার হয়নি কেউ
খুনির গ্রেফতার ছাড়া কিছুতেই সান্ত্বনা পাব না: ফাহিমের পরিবার
ফাহিম হত্যার নেপথ্যে ব্যবসায়িক বিরোধ
ফাহিমের সম্ভাব্য খুনিকে চিনতে পেরেছে মার্কিন পুলিশ?
হত্যার পরদিন কেন আবার ফাহিমের ফ্ল্যাটে ঢুকেছিল খুনি?