ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্বাক্ষরিত চুক্তির নিন্দা জানিয়েছে গাজা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চুক্তি স্বাক্ষরের ঘোষণা দেওয়ার হামাসের পক্ষ থেকে এই চুক্তিকে ফিলিস্তিনিদের পিঠে ছুরিকাঘাত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি এখবর জানিয়েছে।
১৯৪৮ সালে ইসরায়েলের স্বাধীনতার ঘোষণার পর ইসরায়েল ও আরবের মধ্যে এটি তৃতীয় চুক্তি। এর আগে মিসর ১৯৭৯ সালে ও জর্ডান ১৯৯৪ সালে চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল।
এ সম্পর্কিত আরও খবর-
ইসরায়েল ও আমিরাতের ‘ঐতিহাসিক’ চুক্তি স্বাক্ষর
ইসরায়েলকে ‘ঐতিহাসিক দিন’ উপহার দিয়েছে আমিরাত: নেতানিয়াহু
মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির ‘যে কোনও উদ্যোগকে’ স্বাগত জানান জাতিসংঘ মহাসচিব: মুখপাত্র
এখন পর্যন্ত উপসাগরীয় কোনও আরব দেশের সঙ্গে ইসরায়েলের কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। তবে ইরানের আঞ্চলিক প্রভাব মোকাবিলায় ইসরায়েলের সঙ্গে এসব দেশের অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ রয়েছে।
হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই চুক্তি ফিলিস্তিনিদের কোনও স্বার্থের অনকূলে নয়। এতে ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকারকে অগ্রাহ্য করা হয়েছে।
এক বিবৃতিতে সংগঠনটি বলেছে, ইসরায়েলের সঙ্গে এই চুক্তি ফিলিস্তিনি জনগণের পিঠে ষড়যন্ত্রমূলক ছুরিকাঘাত।
আরেকটি ফিলিস্তিনি সংগঠন পপুলার রেসিস্ট্যান্স কমিটি চুক্তিটিকে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের ষড়যন্ত্র বলে আখ্যায়িত করেছে।
ইসলামিক জিহাদ মুভমেন্টের পক্ষ থেকে নতুন চুক্তিকে আত্মসমর্পণের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবার ঘোষণা দেন, ইসরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সমঝোতায় পৌঁছেছে। এই লক্ষ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, আবুধাবির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন জায়েদ ও ট্রাম্প এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, তাদের আশা এই বিরাট ঐতিহাসিক পদক্ষেপ মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির অগ্রগতিকে এগিয়ে নেবে।