X
মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪
২৩ বৈশাখ ১৪৩১

আজারবাইজানের পাশে তুরস্ক, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান

বিদেশ ডেস্ক
০১ অক্টোবর ২০২০, ০৯:৪৭আপডেট : ০১ অক্টোবর ২০২০, ১৯:৪৯

আজারবাইজানের পাশে দাঁড়িয়েছে তুরস্ক, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। তিন দেশই মনে করে আজারবাইজানের ভূখণ্ডে আর্মেনীয় দখলদারিত্ব বন্ধ করতে হবে। এমন অবস্থানের জন্য বুধবার দেশগুলোর প্রতি ধন্যবাদ জানিয়েছেন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জোরালো সমর্থন দেওয়ায় তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। আজারবাইজানের পাশে তুরস্ক, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান

বুধবার দেওয়া ভাষণে ইব্রাহিম আলিয়েভে বলেন, তুরস্ক, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান আমাদের সমর্থন দিয়েছে। এজন্য তাদের ধন্যবাদ। তবে আমাদের সামরিক বাহিনীর বাইরের সাহায্যের প্রয়োজন নেই।

এর আগে আজারবাইজানের ভূখণ্ডে আর্মেনীয় দখলদারিত্ব বন্ধের আহ্বান জানান এরদোয়ান। একইসঙ্গে সর্বশক্তি নিয়ে আজারবাইজানের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তিনি। অন্যদিকে বিদ্যমান সংঘাত থেকে তুরস্ককে দূরে রাখতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আর্মেনিয়া। সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে তুরস্কের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। আঙ্কারার পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আজারবাইজানের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতার প্রতি তুরস্কের সমর্থন অব্যাহত থাকবে।

এরদোয়ান বলেন, আর্মেনিয়া কর্তৃক কারাবাখ দখলের মাধ্যমে এ অঞ্চলে যে সংকট শুরু হয়েছিল অবশ্যই তার অবসান ঘটাতে হবে।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, আর্মেনিয়াকে অবশ্যই অবিলম্বে আজারবাইজানের ভূখণ্ড ছাড়তে হবে। এর মাধ্যমেই এ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।

টুইটারে এরদোয়ান লিখেছেন, দখল ও নির্মমতার বিরুদ্ধে বিশ্বকে আজারবাইজানের পাশে থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।

১৯৮০-এর দশকের শেষদিকে কারাবাখ অঞ্চলে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। ১৯৯১ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের মুহূর্তে সংঘর্ষ চূড়ান্ত আকার ধারণ করে। ১৯৯৪ সালে দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার আগ পর্যন্ত এ সংঘর্ষে ৩০ হাজার মানুষ নিহত হয়। কারাবাখ অঞ্চলটি আজারবাইজানের ভূখণ্ড হলেও ইয়েরেভান সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করছে আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। মূলত এ নিয়েই সংঘাতের সূত্রপাত।

নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে দীর্ঘ বিবাদের জেরে ২০২০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর কার্যত যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে দুই দেশ। এতে এখন পর্যন্ত নারী ও শিশুসহ উভয় পক্ষের শতাধিক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। নিহতদের বেশিরভাগই আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী বলে জানা গেছে। নতুন করে সংঘাতের জন্য পরস্পরকে দায়ী করেছে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া। সূত্র: আল জাজিরা, ইয়েনি সাফাক।

/এমপি/এমওএফ/
সম্পর্কিত
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
কোন পথে এগোচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ?
লাদাখ সীমান্তে বিরোধচীনের সঙ্গে আলোচনায় আশাবাদী রাজনাথ সিং
সর্বশেষ খবর
টেকনাফে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
টেকনাফে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
ঝড়ে গাছ ভেঙে পড়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ ছিল এক ঘণ্টা
ঝড়ে গাছ ভেঙে পড়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ ছিল এক ঘণ্টা
‘স্বাভাবিক পরিবেশে বাঁচতে প্রত্যেককে গাছ রোপণ করতে হবে’
‘স্বাভাবিক পরিবেশে বাঁচতে প্রত্যেককে গাছ রোপণ করতে হবে’
ভিটামিন ডি কমে গেলে কীভাবে বুঝবেন?
ভিটামিন ডি কমে গেলে কীভাবে বুঝবেন?
সর্বাধিক পঠিত
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র
আজও ঝোড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস
আজও ঝোড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস
যে শিশুকে পাচারের অভিযোগে মিল্টনের বিরুদ্ধে মামলা
যে শিশুকে পাচারের অভিযোগে মিল্টনের বিরুদ্ধে মামলা