ভারতের রোগীদের ওপর পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপি বা সেরে ওঠা রোগীদের রক্তের ব্যবহার খুব বেশি কার্যকর নয়। শুক্রবার ব্র্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত ওই গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে প্লাজমা থেরাপির সামান্য কার্যকারিতা থাকলেও এটি মৃত্যুর হার কমাতে কিংবা রোগটির তীব্রতা কমাতে ব্যর্থ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
তিন ধরনের রক্ত কণিকা বাদ দিলে বাকি যে হলুদাভ অংশ থাকে সেটিকেই প্লাজমা বা রক্তরস বলা হয়। করোনা থেকে সেরে ওঠা ব্যক্তিদের রক্তরসে প্রতিরোধক্ষম উপাদান থাকে এমন ধারণা থেকেই ভাইরাসটির চিকিৎসায় নানা দেশেই আক্রান্ত রোগীদের এটি প্রয়োগ হয়ে আসছে। ১৯১৮ সালে ফ্লু মহামারির সময় ছাড়াও সার্স কিংবা ইবোলা মহামারির সময়েও এটি ব্যাপক ভাবে ব্যবহার হয়েছে।
তবে ভারতে হাসপাতালে ভর্তি ৪৬৪ জন করোনা রোগীর ওপর গবেষণা চালানো হয়। এদের অর্ধেককে মান সম্পন্ন সেবার পাশাপাশি ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দুইবার প্লাজমা থেরাপি দেওয়া হয়। আর বাকি অর্ধেককে নিয়ন্ত্রিত মান সম্পন্ন দেওয়া হয়।
এক মাস পর দেখা যায় প্লাজমা থেরাপি নেওয়া রোগীদের ১৯ শতাংশেরই রোগের জটিলতা বেড়েছে কিংবা কোনও কারণে মৃত্যু হয়েছে অন্যদিকে নিয়ন্ত্রিত সেবা পাওয়া রোগীদের এই হার ১৮ শতাংশ। তবে প্লাজমা থেরাপি সাত দিনের মধ্যে শ্বাস কষ্টের মতো লক্ষণ কমানোয় ভূমিকা রেখেছে বলেও দেখা গেছে।
ভারতীয় গবেষকরা বলছেন, অ্যান্টিবডির মাত্রা বাড়িয়ে আরও গবেষণা চালানো হলে হয়তো এর কার্যকারিতার আরও প্রমাণ পাওয়া যেতে পারে।