রাজধানী বেইজিংসহ চীনের বেশ কয়েকটি প্রদেশে নারীকর্মীদের জন্য ঋতুকালীন ছুটি মঞ্জুর করা হবে। রবিবার আনহুই প্রদেশে প্রতিমাসে ঋতুস্রাবের ব্যথার জন্য একদিন বা দুইদিন কর্মবিরতি নেওয়ার বিধান দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
শানজি ও হুবেই প্রদেশে ইতোমধ্যে এই ছুটির নিয়ম রয়েছে। গুয়ানডং প্রদেশে এই ছুটি দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হলেও এখনও নিয়মটি প্রচলিত হয়নি।
এ প্রসঙ্গে নারী অধিকার কর্মী লি সিপান সিএনএনকে বলেন, ‘সবেতন ঋতুকালীন ছুটি নারীর অধিকারের মধ্যে পড়ে। বিশেষত, যে নারীরা রাস্তা ঝাড়ু দেওয়ার মত শ্রমসাধ্য কাজগুলো করে থাকেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই ছুটির নিয়মের কারণে অনেক নারীই চাকরিতে অগ্রাধিকার পাওয়ার ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন। তাই আমার মতে লৈঙ্গিক পরিচয় দিয়ে নয়, বরং কাজের ধরনের ওপর ভিত্তি করেই ছুটি দেওয়া উচিত।’
বেইজিংএর কর্মজীবী নারী শাও জিনওয়েন বলেন, ‘রজঃস্রাব চলার সময় আমার মনে হয় শরীরের নিম্নাংশ যদি কেটে বাদ দিয়ে দেওয়া যেতো! এই ছুটি প্রচলন হলে কর্মজীবী নারীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী হবে। শুধু তাই নয়, এতে ঋতুস্রাবকে নারী স্বাস্থ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক বলে বিবেচনা করার ক্ষেত্রে পুরো বিশ্বে একধাপ এগিয়ে যাবে চীন।’
হংকং ওমেন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ লোইয়িনা সি বলেন, ‘ঋতু সংক্রান্ত ছুটির আইন পাশ হলে তা নারীর প্রজনন স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গর্ভকালীন ছুটিকে পারিবারিক ছুটি এবং ঋতুস্রাবকালীন ছুটিকে সাধারণ স্বাস্থ্যগত ছুটি হিসেবে বিবেচনা করা উচিত। এই সময়ে অনেক নারীর ব্যথা হয়। অনেকের ব্যথা না হলেও হজমজনিত সমস্যা, মাইগ্রেন, এমনকি অ্যাজমার মতন শারিরীক সমস্যা হয়ে থাকে।’
তবে এই ছুটির প্রচলন চীনই প্রথম করছে, এমন নয়।জাপান, তাইওয়ান, ইন্দোনেশিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ায় নারী কর্মীদের ঋতুকালীন সবেতন ছুটি দেওয়া হয়ে থাকে।সূত্রঃ সিএনএন
/ইউআর/