ইউরোপে গত এক সপ্তাহে রুশ নাগরিকদের প্রবেশের হার প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়েছে। এমন তথ্য দিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমান্ত বিষয়ক সংস্থা বলছে, যারা আসছে, তাদের অধিকাংশের কাছেই বৈধ ভিসা রয়েছে। অনেকেই আবার দ্বৈত নাগরিক। ফলে তাদের ইউরোপে ঢুকতে সমস্যা হচ্ছে না।
ফিনল্যান্ড এবং এস্তোনিয়ার সীমান্ত দিয়ে সবচেয়ে বেশি মানুষ ঢুকছে বলে জানিয়েছে ইউরোপিয়ান বর্ডার অ্যান্ড কোস্ট গার্ড এজেন্সি (ফ্রনটেক্স)। সংস্থাটির ধারণা আগামী কয়েক সপ্তাহে সীমান্তে আরও মানুষের ঢল দেখা যেতে পারে। অবৈধ পারাপারের ঘটনাও ঘটতে শুরু করতে পারে।
ইউক্রেনে যুদ্ধের জন্য সম্প্রতি সেনা সমাবেশের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তার ওই ঘোষণার পর যুদ্ধে অংশগ্রহণ এড়াতে দলে দলে মানুষ রাশিয়া ছাড়তে শুরু করে। এমন পরিস্থিতিতে লোকজনের দেশত্যাগ ঠেকাতে সীমান্ত বন্ধের গুঞ্জন তৈরি হয়। বর্ডার বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় আরও বেশি লোকজন দেশ ছাড়তে শুরু করে।
এদিকে রুশ বাহিনীর রিজার্ভ সেনাদের তলবের প্রতিবাদ করায় এরইমধ্যে দেশটিতে সহস্রাধিক মানুষকে গ্রেফতারের খবর পাওয়া গেছে। সেনাসমাবেশের বিরোধিতা করা একটি অনলাইন পিটিশনে স্বাক্ষর করেছেন তিন লাখ ২৭ হাজারেরও বেশি মানুষ। এতে বলা হয়েছে, ‘বর্তমান অনিশ্চয়তার মুখে আমরা আমাদের দেশের পুরুষদের - ভাই, ছেলে, স্বামী, পিতা, দাদা, নানাকে নৈতিক বা শারীরিক বিপদে ফেলতে প্রস্তুত নই।’ সূত্র: ডিডাব্লিউ, আল জাজিরা।