ডেভিড ক্যামেরন প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে বলেছিলেন, তিনি তার জীবদ্দশায় একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী দেখে যেতে চান। রবিবার স্থানীয় সময় রাতে নাটকীয়ভাবে বরিস জনসন তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এখন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাকের ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়াটা কেবল সময়ের ব্যাপার মাত্র। আর তা হলে ব্রিটেনের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন তিনি।
রবিবার বরিস মনে করেন, একটি ঐক্যবদ্ধ দলের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তার প্রতি এমপিদের যথেষ্ট সমর্থন নেই। বরিসের এমন ঘোষণার মধ্যে দিয়ে পার্টির নেতা এবং প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আরও কাছাকাছি চলে গেলেন প্রতিদ্বন্দ্বী ঋষি ।
করোনার স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে ডাউনিং স্ট্রিটে মদ্যপানের আসরের আয়োজন করে নিজ দলের এমপিদের তোপের মুখে পড়ে গত জুলাইয়ে দায়িত্ব থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। পরবর্তীতে তার জায়গা নেন কনজারভেটিভ পার্টির লিজ ট্রাস। ট্রাসের পদত্যাগে আবারও গুঞ্জন উঠে প্রধানমন্ত্রীর পদে ফের বসতে যাচ্ছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী জনসন।
গুঞ্জনের অবসান টেনে রবিবার পার্টির প্রধান না হওয়ার ঘোষণাটা নিজেই দিয়ে দিলেন তিনি।
ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান কমিউনিটি থেকে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পাওয়ার এ অর্জনের খবর ব্রিটেনের বুকে বাঙালির অবস্থানকে নিঃসন্দেহে সংহত করবে। একই সঙ্গে ব্রিটেনে একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূতকে প্রধানমন্ত্রী পাওয়ার স্বপ্নকে পূর্ণতার পথে এগিয়ে নেবে।
খোদ স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড ব্রিটেনের প্রাতিষ্ঠানিক বর্ণবাদকে স্বীকার করেছে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে দল-মতের বাইরে ঋষির এ সাফল্যে তাৎক্ষণিকভাবে অনেক বাংলাদেশি আনন্দ প্রকাশ করেছেন।