যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে একটি স্কুলের বিজ্ঞান শিক্ষকের কোনও আনুষ্ঠানিক চিকিৎসা যোগ্যতা ছিল না। কিন্তু ১৭ বছরের এক শিক্ষার্থীকে করোনাভাইরাসের টিকা দিয়েছেন তিনি। এই অভিযোগে লরা রুসো নামের ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।
পুলিশ জানায়, টিকাদানের কোনও আইনি এখতিয়ার না থাকা এবং শিক্ষার্থীর অভিভাবকের অনুমোদন না নিয়ে লরা রুসো তার বাড়িতে টিকা প্রয়োগ করেছে।
৫৪ বছর বয়সী রুসো স্কুলে বায়োলজি পড়ান। ইংরেজি নতুন বছরের উৎসবের সময় তাকে আটক করা হয়। দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে চার বছর কারাভোগ করা লাগতে পারে।
খবরে বলা হয়েছে, ১৭ বছরের ওই শিক্ষার্থী টিকা নিতে আগ্রহী ছিল।
ভুলভাবে প্রয়োগ করা হলে ইনজেকশন বিপজ্জনক হতে পারে। চিকিৎসক এবং লাইসেন্সধারী চিকিৎসাকর্মীদের টিকা প্রয়োগের আগে তা জাল বা মেয়াদোত্তীর্ণ কিনা তা যাচাই করতে হয়। টিকাদানের আগে রোগীর ইতিহাস জিজ্ঞেস করতে হয় এবং প্রয়োগের পর তাদের দেহে প্রতিক্রিয়ায় নজর রাখতে হয়।
পুলিশ বলছে, রুসো কীভাবে কোভিড টিকা পেলেন কিংবা তা কোন ব্র্যান্ডের ছিল তা অস্পষ্ট। যুক্তরাষ্ট্রে এখন ১৮ বছরের কম বয়সীদের জন্য একমাত্র অনুমোদিত টিকা হলো ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন।
ঘটনাটির একটি ভিডিওতে দেখা গেছে রুসো শিক্ষার্থীকে বলছেন, আমি আশা করি কিছু হবে না। এই নাও। ঘরে টিকাদান।
কর্মকর্তারা বলছেন, শিক্ষার্থী বাসায় এসে শিক্ষকের বাসায় টিকা নেওয়ার কথা অভিভাবকদের জানালে তারা নাসাউ পুলিশকে বিষয়টি জানান।
নাসাউ পুলিশ কমিশনার প্যাট্রিক রাইডার বলেন, শিক্ষক একটি টিকা সংগ্রহ করেছেন। তিনি কীভাবে এটি সংগ্রহ করলেন তা নিয়ে এখনও তদন্ত চলছে।
এই ঘটনায় হেরিকস হাই স্কুল কর্তৃপক্ষ রুসোকে পাঠদান থেকে বিরত রেখেছে। তদন্ত শেষ হওয়ার পর তাকে পুনরায় দায়িত্ব দেওয়া হবে।
রুসোর বিরুদ্ধে অনুমোদনহীন পেশা অনুশীলনের অভিযোগ আনা হয়েছে। আগামী ২১ জানুয়ারি আদালতে শুনানির তারিখ ধার্য করা হয়েছে।