চীন-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের বরফ গলাতে বেইজিং সফরে যাচ্ছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। ১৮ ও ১৯ জুন চীনের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তার বৈঠক করার কথা রয়েছে। তবে বিভিন্ন কারণে বৈঠক নিয়ে আশাবাদী নন তিনি, উৎসাহ দেখা যায়নি চীনেরও। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের প্রথম ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে বেইজিং সফরে যাচ্ছেন ব্লিঙ্কেন। খবর রয়টার্সের।
দুই দেশের বিরোধপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে চীনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। অবশ্য বেইজিং সফরের উদ্যোগ নিলেও আলোচনা ফলপ্রসূ হওয়া নিয়ে খুব একটা আশাবাদী নন তিনি। বিশ্লেষকরা বলছেন, আলোচনায় অন্তত বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশ দুটির কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন হওয়া থেকে রক্ষা পাবে।
ব্লিঙ্কেনের এই সফর নিয়ে বেইজিংয়ের মধ্যে তেমন উৎসাহ দেখা যায়নি। গত মঙ্গলবার (১৩ জুন) চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাতে মানা করেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গাং।
অবশ্য বিশ্লেষকরা বলছেন ভিন্ন কথা। তাদের মতে, বিশ্বকে দুটি দেশই দেখাতে চায় যে তারা দায়িত্ববোধের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পরিচালনা করছে।
গত বছরের নভেম্বরে বালিতে জি-২০ সম্মেলনে দেশ দুটির মধ্যে শীতল যুদ্ধের আশঙ্কা অনেকাংশেই কমে যায়। এর পরই চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে চীন সফরের ঘোষণা দিয়েছিলেন ব্লিঙ্কেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে সন্দেহজনক চীনা বেলুন শনাক্ত হওয়ায় সফরটি বাতিল করেছিলেন তিনি। তারপর থেকেই বিভিন্ন ইস্যুতে দেশ দুটির মধ্যকার বিরোধ আরও বাড়তে থাকে। সূত্র: রয়টার্স