X
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
১৫ বৈশাখ ১৪৩১
ট্রাভেলগ

সামুদ্রিক শৈবালের খোঁজে সাগরের তলদেশে

মো. শিমুল ভূঁইয়া
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২২:২২আপডেট : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২২:২৭

সমুদ্রের কথা এলেই মনে রোমাঞ্চকর অনুভূতি জন্ম নেয়। প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের আশেপাশে সমুদ্রের অগভীর অঞ্চলে জন্মায় সি-উইড অর্থাৎ সামুদ্রিক শৈবাল। এর নমুনা সংগ্রহের লক্ষ্যে গিয়েছিলাম আমরা। এ কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করেছে বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট (বিওআরআই)। দলনেতা ছিলেন বায়োলজি ডিভিশনের বিভাগীয় প্রধান আবু সাঈদ মুহাম্মদ শরীফ (এসএসও)।

সাধারণত নভেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সমুদ্রের অগভীর এলাকায় সামুদ্রিক শৈবাল (সি-উইড) জন্মায়। এই পাঁচ মাস আমাদের নমুনা সংগ্রহ চলে। এজন্য আমরা প্রতি মাসে ১০-১৫ দিন সেন্টমার্টিনে থাকি। সি-উইড নিয়ে কাজ করি বলে আমাদের দলটি সি-উইড রিসার্চ টিম বা ‘এসআরটি’ নামে পরিচিত।

সামুদ্রিক শৈবালের খোঁজে ছেঁড়াদ্বীপের কাছে নমুনা সংগ্রহের জন্য যাওয়ার আগের দিন বিওআরআই থেকে আমাদের কাজ শুরু হয়। সকালে শুরু করে রাত ২টা-৩টা অবধি প্রতিটি যন্ত্রপাতির সূক্ষ্মতা যাচাই-বাছাই এবং বিভিন্ন মালামাল গোছাতে ব্যস্ত ছিলাম সবাই। প্রস্তুতির রাত বলে এত ছোটাছুটির পরও সবার মনে আনন্দ। কারণ আমাদের দলনেতা খুবই মজার মানুষ। যেন আমাদের অনেকদিনের পুরনো বন্ধু। সবাইকে হাসিখুশির মধ্যে রাখেন। চোখে ঘুম জড়িয়ে এলে তিনি লাল চায়ের পার্টি দিয়েছেন। ছোলা-চানাচুর দিয়ে মুড়ি পার্টিও হয়েছে। সেইসঙ্গে ছিল জয়নাল ভাইয়ের কণ্ঠে গান।

পরদিন সকাল ৬টার মধ্যে বিওআরআই ক্যাম্পাসে গাড়ি চলে আসে। জাহাজে ওঠার জন্য সকাল ৯টার মধ্যে জেটিতে থাকতে হবে। ল্যাব থেকে সমস্ত বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি ও মালামাল গাড়িতে বোঝাই করে রওনা হলাম সবাই। সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে টেকনাফ জাহাজ ঘাটে গাড়ি পৌঁছে যায়। এরপর গাড়ি থেকে মালামাল নামিয়ে জাহাজে তোলা আরেক চ্যালেঞ্জ।

পর্যটকদের হইচইয়ের মধ্যে কোনও কিছু যেন চুরি না হয় সেজন্য আমরা সি-উইড রিসার্চ টিম সতর্ক থাকি। দুইজন জাহাজে ও দুই জন জেটিতে মালামালের দিকে খেয়াল রেখেছে। বাকি সবাই জেটি থেকে জাহাজ পর্যন্ত মালামাল নিয়ে গেছে। জেটি থেকে জাহাজ পর্যন্ত আধা কিলোমিটার দূরত্বের পথ। একফাঁকে কেউ একজন গিয়ে নাশতার জন্য দোকান থেকে পরাটা, ভাজি ও পানি কিনে নিয়ে আসে। জাহাজের সমস্ত মালামাল রেখে সবাই বসার পর নাশতা দেওয়া হয়। এরপরই সিগন্যাল বেজে উঠলো। জাহাজ পাড়ি দিলো সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে।

সামুদ্রিক শৈবালের খোঁজে সাগরের তলদেশে নাফ নদীর বুক চিরে বঙ্গোপসাগরে ভেসে আমরা পৌঁছাবো দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে। নাফ নদীর একপাশে বাংলাদেশ, অন্যদিকে মিয়ানমার। নদীর দু’পাশেই ম্যানগ্রোভ বনের সবুজ সমাহার। উভয় দিকে পাহাড় দেখা যায়। এ যেন আকাশ-মেঘ-পাহাড়-নদীর সম্মিলিত সৌন্দর্যের এক অপরূপ প্রতিচ্ছবি। সাগরের মৃদু শীতল হাওয়া গায়ে লাগলে চমৎকার অনুভূতি হয়। মনে হয় আমাদের পরিচয় বহুদিনের! অপলক দৃষ্টিতে সমুদ্রের মনোমুগ্ধকর বিশাল জলরাশি উপভোগ করলাম। পাশ দিয়ে উড়ে বেড়ানো পাখির কলতান এককথায় অতুলনীয়।

জাহাজে পর্যটকদের আনন্দ রোমাঞ্চকর পরিবেশ সৃষ্টি করে। কেউ গলা ছেড়ে গান গেয়েছেন, কেউবা ছবি তুলেছেন ও মনের আনন্দে নেচেছেন। আমরাও পর্যটকদের হৈ-হুল্লোড়ে মেতে উঠি। তাদের কেউ কেউ আমাদের বিশাল মালবহর দেখে অবাক হলেন। অনেকে গবেষণার বর্ণনা শুনে তো হতভম্ব! আমরা সাগরের তলদেশে ঘুরে বেড়াই জেনে অনেকের চক্ষু ছানাবড়া!

আমি আর জয়নাল ভাই ও জুয়েল ভাই মালামালের দায়িত্বে ছিলাম। হঠাৎ মনির বেসুরো গলায় ‘ওরে নীল দরিয়া...’ গাইতে গাইতে আমাদের কাছে এলো। আমরাও গলা মেলালাম— ‘দে রে দে ছাড়িয়া...’। এরমধ্যে শ্যামল কান্তি দে ভাই সবার জন্য কফি নিয়ে এলেন। কফিতে চুমুক দিয়ে চলছে অবিরাম আড্ডা। হঠাৎ আঁতকে উঠি দলনেতার মুখে ‘সেফটি ফার্স্ট’ কথাটি শুনে।

এদিকে বহু প্রতীক্ষিত সেন্টমার্টিন দ্বীপে চলে এসেছি। পর্যটকরা একে একে জাহাজ থেকে নামছে। দলনেতার নির্দেশে সবাই মালামালের চারদিকে সর্তক অবস্থায় দাঁড়িয়ে। সব পর্যটক নামার পর আমাদের বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতিসহ মালামাল নামানো শুরু হলো। এটি ছিল আমাদের জন্য আরেক কঠিন পরীক্ষা। সব ভারী ভারী যন্ত্রপাতি প্রথমে জাহাজের দোতলা থেকে নিচতলায় নামানো। সেখান থেকে আরেক জাহাজের ভেতর দিয়ে দোতলায় তোলা। এরপর জেটিতে দাঁড়িয়ে থাকা টিমের কাছে হস্তান্তর করতে হয়।

আমরা জেটিতে নেমে একটু গা ভাসানোর চেষ্টা করলাম, কিন্তু সেই সুযোগ হলো না। একদিকে মালামাল পাহারা দেওয়া, অন্যদিকে মালামাল বহনের জন্য ভ্যানের ব্যবস্থা করা চাট্টিখানি ব্যাপার নয়। কেননা পর্যটকদের ভিড় থাকায় ভ্যানের দুষ্প্রাপ্যতা দেখা দেয়। দলনেতা কিছুক্ষণ পর নিয়ে এলেন সাতটি রিকশা। সমস্ত মালামাল ওঠানো হলো। আধাঘণ্টা পর হোটেলে পৌঁছালাম। হোটেলের ছেলেরা আমাদের মালামাল নামাতে সহায়তা করলো। ততক্ষণে ক্ষুধায় দিশেহারা অবস্থা! দুপুরের খাবার রেস্তোরাঁয় সেরে নিলাম সবাই। এরপর রুমে ফিরে ঘুম।

সৈকতে ভেসে আসা সামুদ্রিক শৈবাল সংগ্রহ চলছে বিকালে উপকূল এলাকায় ঘোরাঘুরির ফাঁকে সৈকতে ভেসে আসা শৈবাল সংগ্রহ করলাম। এখানে এগুলোর কিছু জাত শনাক্ত হলো। এরপর বাকি নমুনা ফরমালিন ও অ্যালকোহলে আর কিছু ড্রাই করার জন্য ড্রাইয়ারে রেখে দিলাম। এসব কাজ সম্পন্ন করতেই দেখি ঘড়ির কাঁটা রাত ১১টার ঘরে। পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নৈশভোজ সেরে রুমে ফিরে পরদিনের স্যাম্পলিংয়ের প্রস্তুতি শেষ করে রাত ২টার দিকে ঘুমের দেশে হারালো সবাই। আমি তখনও দলনেতার সঙ্গে উপক‚ল থেকে সংগৃহীত সি-উইডের ছবি তোলা নিয়ে ব্যস্ত।

পরদিন সকাল সাড়ে ৭টার মধ্যে সবাই প্রস্তুত। মালামাল বহনের জন্য পাঁচটি রিকশা ডাকা হলো। সমস্ত মালামাল নিয়ে রওনা দিলাম বোটের উদ্দেশে। গামবোটে অপেক্ষা করছিলেন আতিক স্যার ও শরিফ সারওয়ার স্যার। দুই জনই প্রফেশনাল স্কুবা ডাইভার ও আলোকচিত্রী। সাগরে উত্তাল ঢেউ ছিল। ঢেউয়ের তালে তালে বোট চলছে ছেঁড়াদ্বীপের উদ্দেশে। নির্দিষ্ট লোকেশনে পৌঁছে নোঙর করলো বোট। সাগরে জোয়ার ছিল, তাই সাগরের ঢেউয়ে বোটও দুলছিল। কয়েকটি বড় ঢেউয়ের ধাক্কায় সবাই ভিজে গেলাম। এরপর দলনেতার কথামতো শ্যামল ভাই সবাইকে বাক্স থেকে একটি করে রুটি, ঝাল মুরগি ভুনা ও ভাজি দিলেন। বোট দুলছিল বলে দলনেতা সবাইকে অনেক দূরে আকাশে তাকিয়ে থাকতে বললেন। জুয়েল ভাই পানির গভীরতা মাপলেন ৪ দশমিক ৫ মিটার।

সৈকতে ভেসে আসা সামুদ্রিক শৈবাল সংগ্রহ চলছে শরীফ স্যার, আতিক স্যার ও শরীফ সারওয়ার স্যার তিনজনই ভিসি-সিলিন্ডার পরে পানিতে নামলেন। তারা একে অপরকে নামার জন্য সংকেত দিলেন। নীল সাগরের বুকে সি-উইড সংগ্রহের জন্য ধীরে ধীরে ডুব দিলেন। এরপরই আমরা বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে গেলাম। ডাইভ জোনের আশপাশে যেন কোনও বোট বা নৌকা না থাকে সেদিকে একজন নজর রাখলো। অন্যজন স্যারদের গতিবিধির দিকে খেয়াল রাখছে। আমি সরঞ্জামগুলো সতর্কতার সঙ্গে বাক্স থেকে বের করেছি। অন্য দুইজন সি-উইড শ্রেণীবিভাজনের জন্য পানি তুলছে।

কিছুক্ষণ পর আতিক স্যার সমুদ্রের নিচের পানি ও মাটি নিয়ে এলেন এবং আন্ডারওয়াটার ক্যামেরা নিয়ে ফের সমুদ্রের নিচে চলে গেলেন। হঠাৎ চোখে পড়লো, দক্ষিণ দিক থেকে মাছ ধরার একটি ট্রলার আমাদের দিকে আসছে। জয়নাল ভাই ও জুয়েল ভাই হাতে গামছা নিয়ে নেড়ে ট্রলারটিকে সংকেত দিতে শুরু করলেন যেন আমাদের দিকে না আসে। তারা বুঝতে পারলো, পানির নিচে ডুবুরি আছে, তাই ট্রলার অন্যদিকে ঘুরিয়ে নিয়ে গেলো। আমি ও শ্যামল দে ভাই সাগরের নিচের পানি ও ওপরের পানির তাপমাত্রা, লবণাক্ততা, দ্রবীভূত অক্সিজেন, পরিবাহিতা ও নিউট্রিশনের কাজ শেষ করলাম।

সামুদ্রিক শৈবাল নিয়ে গবেষক ও কর্মীরা জয়নাল ভাই, জুয়েল ভাই ও মনির কিছু মাটি জিপারে রাখলো আর কিছু মাটি ছেকে প্লাস্টিক বয়ামে নিলো। ততক্ষণে ঘণ্টাখানেক চলে গেছে। আতিক স্যার ও শরীফ সারওয়ার স্যার সামুদ্রিক শৈবাল নিয়ে পানির ওপরে উঠে এলেন। কিন্তু শরীফ স্যারের অবস্থান চিহ্নিত করা যাচ্ছিল না। সবার মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হলো। জয়নাল ভাই মেশিনের হ্যান্ডেল দিয়ে বোটের স্ট্যান্ডিংয়ে আঘাত করতে শুরু করলেন যাতে স্যার শুনতে পান। কয়েকবার সংকেত দেওয়ার পরও স্যারের কোনও সাড়া মেলেনি। আতিক স্যার অভয় দিয়ে বললেন, ‘ভয় পাওয়ার কিছু নেই।’ হঠাৎ দেখি পানির ওপরে উঠছেন স্যার। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো সবাই।

তিনজনই এক ব্যাগ করে সি-উইড নিয়ে বোটে উঠে এলেন। তবে তাদের অবস্থা নাজুক। সবাই শীতে কাঁপছেন। বাতাসের তীব্রতা বাড়তে থাকায় আমরা যারা বোটে ছিলাম তাদেরও জবুথবু অবস্থা। ঢেউয়ের তোপে সবার মাথা ঘুরছে। এর মধ্যেই সবাই সি-উইডের জাত বাছাইয়ে নেমে পড়লো। স্যারেরাও আমাদের সঙ্গে যোগ দিলেন। জাত বাছাইকরণ শেষ করতে প্রায় দুই ঘণ্টা লেগে গেলো। এদিকে বিকাল হয়ে এসেছে। অনেক ক্ষুধা থাকলেও ঢেউয়ের তোড়ে বমির ভয়ে কেউ খেতে সাহস করলো না। সব কাজ শেষে উপকূলের উদ্দেশে রওনা দিলাম।

সামুদ্রিক শৈবাল হাতে গবেষক ও কর্মীরা ঘণ্টাখানেক বোট চলার পর জাহাজ ঘাটে পৌঁছালাম। নিজেদের ব্যক্তিগত মালামাল, গবেষণার যন্ত্রপাতি ও সংগৃহীত পানি, মাটি ও সি-উইডের নমুনা সতর্কতার সঙ্গে জেটির ওপর আনা হলো। জুয়েল ভাই পাঁচটি রিকশা ডেকে নিয়ে এলেন। সবকিছু নিয়ে গেলাম হোটেলে। ততক্ষণে সন্ধ্যা নেমেছে। হাতে বেশিক্ষণ সময় নেই, আবারও কাজে লেগে যেতে হবে। সবাই গোসল সেরেই হালকা খেয়ে কাজে বসে পড়লো।

কিছু সি-উইডের নমুনা অ্যালকোহলে, কিছু ফরমালিনে আর বাকি নমুনা ড্রাই করার জন্য ড্রাইয়ারে রাখলাম। এর সঙ্গে কিছু সি-উইড বড় প্লাস্টিক বাক্সে রেখে অক্সিজেন সংযোগ করে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা। এগুলো দেওয়া হবে সি-উইড কালচার অ্যাকুরিয়ামে। প্রতি ঘণ্টা পরপর পানি পরিবর্তন করা ছিল চ্যালেঞ্জ। রাত ২টার দিকে নৈশভোজের সুযোগ হলো। স্যার তখনও সি-উইডের ছবি তোলায় ব্যস্ত। এভাবেই প্রতিবার ১০-১৫ দিন করে চলে আমাদের চ্যালেঞ্জিং কর্মযজ্ঞ।

ছবি: লেখক

/জেএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
মাড় ফেলে ভাত রান্না হলে ‘১৫ ভাগ অপচয় হয়’
মাড় ফেলে ভাত রান্না হলে ‘১৫ ভাগ অপচয় হয়’
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
বন ও বনভূমি রক্ষায় কর্মকর্তাদের নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
বন ও বনভূমি রক্ষায় কর্মকর্তাদের নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
মোনাকোর হারে লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়ন পিএসজি
মোনাকোর হারে লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়ন পিএসজি
সর্বাধিক পঠিত
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
স্কুলে আসার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শিক্ষক
স্কুলে আসার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শিক্ষক
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ