X
মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫
১৬ আষাঢ় ১৪৩২
ট্রাভেলগ

বাড়বকুণ্ড তীর্থধাম ও অগ্নিকুণ্ডে একদিন

মোহাম্মদ আলী
১২ আগস্ট ২০২০, ০০:০২আপডেট : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২২:৩৯

বাড়বকুণ্ড অগ্নিকুণ্ড চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বাংলাদেশের পর্যটনের অনেক কিছু ছড়িয়ে আছে। ছোটবড় বেশকিছু ঝরনা, পাহাড়, সবুজ বৃক্ষমালার অনন্য সম্মিলন এখানে। সীতাকুণ্ডের কাছে বাড়বকুণ্ড ঝরনায় যাবো বলে একদিন ঠিক করলাম। এটি কিছুটা অপরিচিত। ভ্রমণসঙ্গী একজন। সে জানালো, বাড়বকুণ্ড ঝরনায় যাওয়ার পথে একটা প্রাচীন মন্দির পড়বে। খবরটা জেনে অন্যরকম একটা উত্তেজনা হচ্ছিল মনে।

ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম গিয়েছিলাম। চট্টগ্রাম থেকে পেছনে ফিরে এলাম সীতাকুণ্ডের দিকে। বাস থেকে কুমিরায় নামলে ঠিক রাস্তার বিপরীতে বাড়বকুণ্ড বাজার। সেখান থেকে রিকশা নিয়ে যাত্রা শুরু করলাম ঝরনার পথে। ইট বিছানো রাস্তা। আশেপাশে সবুজের সমারোহ।

বাড়বকুণ্ড তীর্থধাম মিনিট দশেক পর রিকশা থেকে নেমে শুরু হলো হাঁটা পর্ব। গন্তব্য প্রথমে সেই প্রাচীন মন্দির, এরপর ঝরনা। পাহাড়ি রাস্তা, ঝিরিপথ ও কাঁদা পেরিয়ে হাঁটছি। দু’পাশে সবুজময় অরণ্যে পাখির কিচিরমিচির মন জুড়িয়ে দিলো। সবুজের ফাঁক গলে ছোট আকারের টিলা ও পাহাড়ি ঝিরিপথ চোখে পড়লো। সোজা রাস্তা, সুতরাং পথ হারানোর কিছু নেই। তারপরও যে কাউকে জিজ্ঞেস করলে পথ দেখিয়ে দেবে।

বাড়বকুণ্ড তীর্থধাম প্রায় ৩০ মিনিট হেঁটে একটু দূর থেকেই দৃষ্টিগোচর হলো প্রাচীন স্থাপত্য বাড়বকুণ্ড তীর্থধাম। সবুজ গাছগাছালি বুকে মহাকালের সাক্ষ্মী হয়ে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে আছে। লম্বা সিঁড়ি বেয়ে মন্দিরে উঠতে হয়। দেখেই বোঝা গেলো, সিঁড়িটি নতুনভাবে তৈরি হয়েছে। সিঁড়ি ধরে ওপরে উঠতেই দেখলাম বহু বছরের ইতিহাস বয়ে বেড়ানো শীর্ণজীর্ণ মন্দির। দেয়াল, ইট-সুড়কি দেখে ধারণা করা যায় মোটামুটি ৩০০-৪০০ বছর আগের স্থাপনা এটি। এর নির্মাণশৈলী কিছুটা মোগলদের মতো।

বাড়বকুণ্ড তীর্থধাম মন্দিরের নিচের অংশে জলের মধ্যে প্রাকৃতিকভাবে আগুন জ্বলে! হয়তো কোনও মিথেন বা অন্য কোনও প্রাকৃতিক গ্যাস এখানে উদ্গীরণ হয়। এটাকে বলা হয় অগ্নিকুণ্ড। এখানে পূজা-অর্চনা চলে। মাসে একবার পুন্যার্থীরা আসেন। তখন মন্দিরে কিছুটা লোকসমাগম হয়। এছাড়া বাকি সময় কোলাহল মুক্তই থাকে।

বাড়বকুণ্ড তীর্থধাম প্রাচীনকালের স্থাপত্য দেখলে অনুসন্ধিৎসু হয়ে যায় মন। এগুলো মন্ত্রমুগ্ধ করে অনায়াসে। কোনও প্রাচীন স্থাপত্য সামনে পেলে ইতিহাস খুঁজতে চেষ্টা করি। তখনকার সময় কেমন ছিল, তখন কী হতো; এসব চোখ বুঁজে কল্পনা করতে থাকি।

বাড়বকুণ্ড তীর্থধাম প্রায় ধ্বংস হতে যাওয়া মন্দিরের ইতিহাস জানার জন্য বিভিন্ন দেয়ালে নামফলক খোঁজার চেষ্টা করলাম। তবে কোথাও এমন কিছু বা লিখিত ইতিহাস খুঁজে পেলাম না। সরকারিভাবে এই তীর্থধাম ও অগ্নিকুণ্ডকে সংরক্ষণ করা উচিত।

/জেএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুরে
বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুরে
দুর্ঘটনায় ছয় মাসে প্রাণ হারিয়েছে ৪২২ শ্রমিক
দুর্ঘটনায় ছয় মাসে প্রাণ হারিয়েছে ৪২২ শ্রমিক
৪০ শতাংশ কৃষক পান না ন্যায্য মজুরি: জরিপ
৪০ শতাংশ কৃষক পান না ন্যায্য মজুরি: জরিপ
ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা ও মার্কিন পাল্টা শুল্ক বড় চ্যালেঞ্জ: বিজিএমইএ সভাপতি
ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা ও মার্কিন পাল্টা শুল্ক বড় চ্যালেঞ্জ: বিজিএমইএ সভাপতি
সর্বাধিক পঠিত
তিন বিমানবন্দরে ১৬ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে
তিন বিমানবন্দরে ১৬ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে
রূপপুর প্রকল্পের ১৮ প্রকৌশলী অপসারণ: হাইকোর্টের রুল
রূপপুর প্রকল্পের ১৮ প্রকৌশলী অপসারণ: হাইকোর্টের রুল
ফেসবুকে পাল্টাপাল্টি স্ট্যাটাস উপদেষ্টা আসিফ ও সাংবাদিক জুলকারনাইনের
ফেসবুকে পাল্টাপাল্টি স্ট্যাটাস উপদেষ্টা আসিফ ও সাংবাদিক জুলকারনাইনের
‘ইউ আর পেইড বাই দ্য গভর্নমেন্ট’
এনবিআর কর্মকর্তাদের উদ্দেশে অর্থ উপদেষ্টা          ‘ইউ আর পেইড বাই দ্য গভর্নমেন্ট’
ইস্টার্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দ
ইস্টার্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দ