সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে জারি করা পরিপত্র কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) আইনজীবী মুনসুরুল হক চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, গত ৬ ডিসেম্বর এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী মো. মুনসুরুল হক চৌধুরী। তার সঙ্গে ছিলেন শফিকুল ইসলাম রিপন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী
আইনজীবী মুনসুরুল হক চৌধুরী জানায়, নবম গ্রেড (পূর্বতন প্রথম শ্রেণি) এবং দশম থেকে ১৩ তম গ্রেডের (পূর্বতন দ্বিতীয় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রদান করা হবে; এবং নবম গ্রেড (পূর্বতন প্রথম শ্রেণি) এবং দশম থেকে ১৩ তম গ্রেডের (পূর্বতন দ্বিতীয় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হলো মর্মে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর একটি পরিপত্র জারি করা হয়। পরে ওই পরিপত্র চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন অহিদুল ইসলামসহ সাতজন। সে রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেন।
আগামী ৭ দিনের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সচিব, পাবলিক সার্ভিস (পিএসসির) চেয়ারম্যানসহ ৬ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।