নতুন বছর মানেই নতুন আশা, নতুন প্রচেষ্টায় বদলে যাওয়ার সংকল্প। গেল বছরের ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া এবং সেটি কাজে লাগিয়ে নতুন করে বাঁচা। তো আপনার নতুন বছরের সংকল্প কী হচ্ছে?
গত বছর করবো করবো করেও করা হয়নি, এমন কিছু কাজের লিস্ট করে ফেলতে পারেন ঝটপট। খাদ্যাভ্যাস বদলে ফেলার কথা ভাবছেন হয়তো অনেকদিন থেকেই। এবার সেটা হোক প্রথম দিন থেকেই। ফাস্টফুড, কোল্ড ড্রিংক, ধূমপান- এগুলোর প্রতি আসক্তি ঝেড়ে ফেলার জন্য কিন্তু কেবল আপনার ইচ্ছাই যথেষ্ট। বেডরুমের দরজায় ছোট একটি কাগজ সেঁটে রাখতে পারেন, আপনার নতুন বছরের সংকল্পগুলো টুকে। প্রতিদিন সকালে ঘুম ভেঙেই চোখে পড়বে এগুলো।
প্রতিদিন সকালে ওঠা, ভোরে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করা- সবকিছুই থাকতে পারে নতুন সংকল্পের লিস্টে।
ক্যারিয়ার নিয়ে করতে পারেন নতুন পরিকল্পনা। নতুন কোনও কোর্স করে বাড়াতে পারেন দক্ষতা।
ছোটখাট কারণে টেনশন করার অভ্যাস থাকলে সেগুলো ঝেড়ে ফেলুন। মনে রাখবেন দুশ্চিন্তা অনেক রোগের কারণ। নিজেকে খুশি রাখার জন্য ছোট ছোট কাজের প্রতি নজর দিতে পারেন। এতে বাড়তি দুশ্চিন্তা কাছে ঘেঁষবে না।
ব্যস্ততার কারণে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে একটু একটু করে দূরত্ব বাড়ছে। এটি অনেকদিন ধরে লক্ষ করলেও সমাধানের পথ নিয়ে ভাবেননি। বছরের শুরুতেই পারিবারিক জীবন নিয়ে একটু নতুন করে ভাবুন। কাজের ব্যস্ততা থাকবেই। সপ্তাহে অন্তত একদিন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘুরতে যান। বিশেষ কোনও দিন উপলক্ষে একসঙ্গে খাবার খান। ছোট ছোট এসব মুহূর্ত আপনার জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসবে।
নতুন বছরের প্রতিজ্ঞায় থাকতে পারে অতিরিক্ত ফোন ব্যবহার না করার সংকল্প। সারাক্ষণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় থাকার কারণে হয়তো বাস্তব জীবনের অনেক সুন্দর মুহূর্ত নষ্ট করে ফেলছেন নিজের অজান্তেই। নতুন বছরে এমনটি আর যেন না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখুন।
নতুন বছরে নতুন করে শুরু করতে পারেন সঞ্চয়। অহেতুক খরচ কমিয়ে ফেলে বরং নতুন কোনও স্থান ভ্রমণের পরিকল্পনা করতে পারেন।
নেতিবাচক চিন্তা পরিহার করুন ও নিজের মধ্যে আত্নবিশ্বাস নিয়ে আসুন। সুখী থাকতে এর বিকল্প নেই। মনে রাখবেন, জীবনে সমস্যা আসবেই। এতে ভেঙে পড়লে চলবে না। বরং সমস্যা সঠিকভাবে মোকাবেলা করেই এগিয়ে যেতে হবে সামনে।