আজ বিশ্ব শ্রবণ দিবস। ‘মানসিকতার পরিবর্তন: কান ও শ্রবণের যত্নকে চর্চায় পরিণত করি’ স্লোগান নিয়ে আজ ৩ মার্চ দিবসটি পালিত হচ্ছে। আমরা অনেকেই কান ও শ্রবণশক্তি সম্পর্কে সচেতন না। ফলে নানা পর্যায়ে ভোগান্তির শিকার হতে হয় আমাদের নিজেদেরকেই। অসচেতনতাসহ বিভিন্ন কারণে আমাদের শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এমনকি সারাজীবনের জন্যও আঘাতপ্রাপ্ত হতে পারে কান। শ্রবণশক্তি দুর্বল হয়ে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে সচেতন থাকলে এই ধরনের পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব। ইএনটি অ্যান্ড হেড নেক ক্যানসার হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট এবং বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের কনসালট্যান্ট ডাক্তার আসাদুজ্জামান রাসেল জানাচ্ছেন কোন কোন কারণে আমাদের শ্রবণশক্তি কমে যেতে পারে।
১। বিভিন্ন ধরনের আঘাত আমাদের শ্রবণশক্তি কমিয়ে দিতে পারে। আঘাত হতে পারে বাহ্যিক বা অভ্যন্তরীণ। কানে আঘাত লেগে পর্দা ফেটে যেতে পারে। এছাড়া সড়ক দুর্ঘটনা, হঠাৎ কানে কিছু দিয়ে আঘাত পাওয়া, ভেতরে খোঁচাখুঁচি করতে গিয়ে ব্যথা পাওয়াসহ অনেক কারণে শ্রবণশক্তির উপরে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। অনেক সময় শিশুরা খেলাচ্ছলে জোরে কানে আঘাত করতে পারে। এতেও শ্রবণশক্তি কমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।
২। শ্রবণশক্তি কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে শব্দ দূষণ। শব্দ দূষণের মধ্যে কাজ করতে করতে ধীরে ধীরে কানের শক্তি কমতে থাকে। অনেকে মিউজিক নিয়ে কাজ করেন। তাদের বেশিরভাগ সময় উচ্চশব্দের মধ্যে থাকতে হয়। এছাড়া ট্রাফিক পুলিশরাও সারাদিন থাকেন উচ্চশব্দে। কলকারখানার মেশিনের শব্দে দীর্ঘক্ষণ থাকলেও কমে যেতে পারে শ্রবণশক্তি। অতিরিক্ত জোরে দীর্ঘক্ষণ ইয়ারফোন ব্যবহারের কারণে ক্ষতি হতে পারে কানের।
৩। অনেক সময় ভাইরাল অসুখের কারণে কানের নার্ভ ড্যামেজ হয়ে যায়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় শ্রবণশক্তি।
৪। কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে কানের ক্ষতি হতে পারে।
৫। বয়স হলে প্রাকৃতিকভাবেই শ্রবণশক্তি লোপ পেটে পারে। কারণ বয়সের সঙ্গে সঙ্গে নার্ভের কর্মক্ষমতা কমে যায়।