বাড়তি মেদ নানা রোগের কারণ। ফলে ওজন কমানোর প্রচেষ্টা আমাদের করতেই হয়। মেদ ঝরানো বেশ কষ্টকর কাজ, বিষয়টা বেশ সময়সাপেক্ষও। তবে কিছু সুনির্দিষ্ট বিষয়ে সচেতন থাকলে পারলে এই জার্নিটা খানিকটা সহজ হয়ে যায়। ডাক্তার তাসনিম জারা একটি ভিডিওতে নিজের মেদ ঝরানোর জার্নি শেয়ার করেছেন, দিয়েছেন কিছু পরামর্শও। এগুলো মেনে চললে মাসখানেকের মধ্যেই নিজের পরিবর্তন দেখতে শুরু করবেন।
- তরল ক্যালোরি খাওয়া বন্ধ করে দিন। চা, কফি, কোল্ড ড্রিংক বা জুসে বেশ ভালো পরিমাণে ক্যালোরি থাকে। এগুলো আমাদের পেট ভরাতে সাহায্য করে না, উল্টা শরীরে ঢুকে পড়ে অনেক ক্যালোরি। এগুলো বার্ন করার জন্য যতটুকু শারীরিক পরিশ্রম বা ব্যায়াম করা দরকার, সেটাও আমাদের করা হয় না। ফলে এগুলো খাওয়ার অভ্যাস বাদ দিয়ে দিন।
- প্রতিবেলার খাবার খাওয়ার আগে দুই গ্লাস পানি খেয়ে নিন। এতে অল্প খাবার খেলেও পেট ভরে যায়।
- পেট ভরা রাখার জন্য ফাইবার গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খান। লাল চাল খাওয়ার পরামর্শ দেন তানজিম জারা। এতে ফাইবার থাকে বেশি পরিমাণে। ফলে অনেকক্ষণ পেটে থাকে এই চালের ভাত। এছাড়া ফাইবার ভাঙতে শরীরের বেশি ক্যালোরি পোড়াতে হয়।
- প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া একেবারেই বাদ দিয়ে দিন। এ ধরনের খাবারে ক্যালোরি বেশি থাকে ও পুষ্টি কম থাকে।
- ফল ও শাকসবজি খান বেশি করে। এগুলোতে ক্যালোরি কম থাকে, ফাইবার ও পুষ্টিগুণ বেশি থাকে। বিভিন্ন ধরনের ও রঙের শাকসবজি খান। লাল শাকসবজিতে থাকে লাইকোপিন থাকে। যেমন টমেটো। টমেটোতে প্রচুর লাইকোপিন থাকে। হলুদ ও কমলা রঙের শাকসবজি ও ফল যেমন গাজর, আনারস, মিষ্টি আলু, পেঁপে এগুলোতে থাকে বিটা ক্যারোটিন। বিটা ক্যারোটিন থেকে শরীর ভিটামিন এ তৈরি করে। সবুজ শাকসবজিতে থাকে ভিটামিন সি।
- পরিমিত পরিমাণে স্বাস্থ্যকর তেল ব্যবহার করা জরুরি। ১ টেবিল চামচ তেলে ১২০ ক্যালোরি থাকে। ফলে তেল যতটুকু সম্ভব কম ব্যবহার করুন। রান্নার সময় বোতল থেকে প্যানে তেল না ঢেলে চামচে করে নিয়ে তারপর ঢালুন। এতে বাড়তি তেল পড়বে না। অলিভ অয়েল বা ক্যানোলা অয়েল ব্যবহারের চেষ্টা করুন।
- ভারী খাবারের মাঝে স্বাস্থ্যকর নাস্তা খাওয়ার চেষ্টা করুন। শসা, টমেটো বা গাজর থেকে পারেন স্ন্যাকস হিসেবে। এগুলোতে ক্যালোরি অনেক কম থাকে, পেটও ভরে সহজে। এছাড়া বাদাম খেতে পারেন। তবে খুব বেশি পরিমাণে খাবেন না।
- প্রতিদিন অন্তত আধা ঘন্টা ব্যায়াম করুন। হাঁটাহাঁটি করতে পারেন বা অন্যান্য ব্যায়াম করতে পারেন।
- পরিমিত পরিমাণে খাবার খাওয়া জরুরি। শরীর যে পরিমাণ ক্যালোরি খরচ করে, তার চেয়ে বেশি গ্রহণ করলে ওজন কমানো সম্ভব হবে না। তাই ক্যালোরি গ্রহণ ও খরচের মধ্যে সামঞ্জস্য জরুরি।