X
রবিবার, ০৪ মে ২০২৫
২১ বৈশাখ ১৪৩২

শিশুর ডেঙ্গু: উপসর্গ নিয়ে যা কিছু জানা জরুরি

জীবনযাপন ডেস্ক
১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৪:১০আপডেট : ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৪:৫২

শিশুর জ্বর হলেই বাবা-মা ডেঙ্গু আতঙ্কে দিশেহারা হয়ে পড়েন। কারণ মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু প্রায় সময়েই বেশ গুরুতর হয়ে ওঠে, বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে।। ডেঙ্গু একধরনের ভাইরাসজনিত জ্বর। রোগটিতে বেশিরভাগ সময় উপসর্গ দেখা দিলেও কিছু ক্ষেত্রে উপসর্গহীনও হয় ডেঙ্গু। শিশুর ভাইরাল জ্বর, ঠান্ডা লাগা জ্বর নাকি ডেঙ্গুজ্বর হয়েছে সেটা বুঝতে হলে বাবা-মায়ের সতর্ক থাকার বিকল্প নেই।

ঢাকা শিশু হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ সার্জন ডা. এস এম নাজমুল ইসলাম জানালেন, ডেঙ্গুর সবচেয়ে বড় লক্ষণ হচ্ছে অতিরিক্ত জ্বর থাকা। সাধারণত ১০৩ বা ১০৪ ডিগ্রি পর্যন্ত জ্বর উঠে যেতে পারে শিশুর। পাশাপাশি শিশুর শরীর ব্যথা থাকতে পারে। আরেকটি বড় লক্ষণ হচ্ছে এই জ্বরে কোনও ধরনের ঠান্ডা লাগা কিংবা কাশি থাকবে না। জ্বরের পাশাপাশি বমি বমি ভাব, পাতলা পায়খানা থাকতে পারে শিশুর। জ্বর পরবর্তী সময়ে শরীরে লালচে র‍্যাশ ওঠাও ডেঙ্গুর অন্যতম লক্ষণ। 

চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া শিশুকে কোনও ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক কিংবা স্টেরয়েডজাতীয় ওষুধ খাওয়ানো যাবে না বলে জানালেন ডা. নাজমুল ইসলাম। এছাড়া শিশুর প্রস্রাব কমে গেলে, শিশু নিস্তেজ হয়ে গেলে বা পানিশূন্যতা দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা দিতে হবে। 

ডেঙ্গুজ্বর হওয়ার ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা পরই ডেঙ্গু শনাক্তকরণ পরীক্ষা করা সম্ভব বলে জানান গ্রিন লাইফ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. আবদুল মালেক। তিনি জানান, শুধু উপসর্গে ডেঙ্গু হয়েছে কিনা সেটা নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয়। এজন্য পরীক্ষাই একমাত্র সমাধান। তবে জ্বর আসার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এই পরীক্ষা না করলে সেটার রিপোর্ট নেগেটিভ আসবে। আরেকটি টেস্ট আছে যেটা পাঁচদিন পর করলে তারপর পজেটিভ আসে ফল। এই শুরুর তিন দিন এবং পাঁচদিন পরবর্তী সময়ের মধ্যকার যে দুই দিন রয়েছে, সেই দুইদিন কোনও পরীক্ষাতেই ডেঙ্গু ধরা পড়ে না। তবে কখন কী পরীক্ষা করতে হবে, সেটা চিকিৎসকই বলে দেবেন। ডেঙ্গুজ্বরের উপসর্গ দেখা দেওয়া মাত্র চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। শিশুর ক্ষেত্রে ডেঙ্গুর উপসর্গ সেভাবে বোঝা না গেলেও অতিরিক্ত জ্বর থাকলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। 

সব ডেঙ্গু রোগীকে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন নেই। স্বাভাবিক ডেঙ্গু হলে বাড়িতে রেখেই শিশুর চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারবেন। এক্ষেত্রে শিশুকে বেশি বেশি তরল খাবার খাওয়াতে হবে। পানি, খাবার স্যালাইন, ডাবের পানি বা গ্লুকোজের পানি বারবার খাওয়ান শিশুকে। তবে হেমোরেজিক ডেঙ্গু কিংবা ডেঙ্গু শক সিনড্রোমের ক্ষেত্রে রোগীর জীবননাশের আশংকা থাকে। এজন্য শুরু থেকেই চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে থাকা জরুরি। এতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জীবননাশের ঝুঁকি কমে যায় অনেকাংশে। 

/এনএ/
সম্পর্কিত
ভিটামিন বি ১২ কমে যাওয়ার ৮ লক্ষণ
এই ৪ লক্ষণে বুঝবেন আপনার চুল পড়ার হার স্বাভাবিক না
পেশির ক্ষতি না করেই ওজন কমাবে ৪ সপ্তাহের এই কোরিয়ান ডায়েট
সর্বশেষ খবর
ভারতের হাতে পাক রেঞ্জার গ্রেফতার, নিয়ন্ত্রণরেখায় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন
ভারতের হাতে পাক রেঞ্জার গ্রেফতার, নিয়ন্ত্রণরেখায় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন
মানহীন চালে বাজার সয়লাব
মানহীন চালে বাজার সয়লাব
ভ্রাম্যমাণ আদালতে হামলার অভিযোগে যুবকের দুই বছরের কারাদণ্ড
ভ্রাম্যমাণ আদালতে হামলার অভিযোগে যুবকের দুই বছরের কারাদণ্ড
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেজ হ্যাকড
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেজ হ্যাকড
সর্বাধিক পঠিত
৩০০ ফিট দিয়ে রামপুরা করিডোর চালুর পরিকল্পনা ডিএনসিসির
৩০০ ফিট দিয়ে রামপুরা করিডোর চালুর পরিকল্পনা ডিএনসিসির
শুকনো মরিচের দাম কেজিতে কমলো ১০০ টাকা
শুকনো মরিচের দাম কেজিতে কমলো ১০০ টাকা
টিএসসিতে নারী প্রতিকৃতিতে জুতা নিক্ষেপ, সমালোচনার ঝড়
টিএসসিতে নারী প্রতিকৃতিতে জুতা নিক্ষেপ, সমালোচনার ঝড়
ইঞ্জিন বিকল, মাঝপথে থামলো চলন্ত ট্রেন
ইঞ্জিন বিকল, মাঝপথে থামলো চলন্ত ট্রেন
বিমানবাহিনীর সদস‍্যকে হাতকড়া পরিয়ে মারধর, ২ এএসআই প্রত‍্যাহার
বিমানবাহিনীর সদস‍্যকে হাতকড়া পরিয়ে মারধর, ২ এএসআই প্রত‍্যাহার