এক সময় প্রচুর শাড়ি পরা হলেও আজকাল ব্যস্ততায় আর আগের মতো শাড়ি পরা হয় না। আলমারির কোণে থেকে থেকে নষ্ট হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের শাড়ি। ভাবছেন কী করবেন এসব শাড়ি নিয়ে? এসব পুরনো শাড়ি দিয়েই কিন্তু বানিয়ে ফেলতে পারেন ফ্যাশনেবল নানা পোশাক। আবার পর্দা কিংবা টেবিল রানার বানিয়েও ঘরের সৌন্দর্য বাড়ানো যায়। জেনে নিন টিপস।
- এথনিক আউটফিটের জন্য পুরনো ঐতিহ্যবাহী শাড়ি ব্যবহার করতে পারেন। স্ট্রেট কাট, এ লাইন, আনারকলি কুর্তি থেকে লেহেঙ্গা, লং স্কার্ট তৈরিতেও কাজে লাগাতে পারেন পুরনো শাড়ি।
- কাতান বা বেনাসরি শাড়ি কেটে বানিয়ে ফেলতে পারেন টেবিল রানার। দুই দিকে পাড় বসিয়ে সেলাই করে নিন।
- শাড়ি কেটে চমৎকার গাউনও বানানো যায়। বিশেষ করে সিল্কের শাড়ি যদি থাকে, তবে তো কথাই নেই! জর্জেটের ফুল প্রিন্টের বা ছাপা শাড়ি দিয়ে বানানো গাউনও বেশ দেখাবে।
- ল্যাম্পশেডের কাভার বানিয়ে ফেলতে পারেন কাজ করা সুতি শাড়ি দিয়ে। ঘরের সৌন্দর্য বাড়াবে এই ল্যাম্প।
- পুরনো সিল্কের শাড়ি থাকলে তার অর্ধেকটা কেটে বানিয়ে ফেলতে পারেন লম্বা জ্যাকেট। কুর্তি অথবা জিন্স-টপের সঙ্গে বেশ মানাবে।
- জমকালো শাড়ি কেটে বানিয়ে ফেলতে পারেন ব্লাউজ। শাড়ির পাড় বসিয়ে নিন ব্লাউজের হাতায়।
- কুশন কভার বানিয়ে ফেলতে পারেন পুরনো শাড়ি দিয়ে। মন্দ লাগবে না দেখতে।
- মণিপুরি শাড়ি থাকলে সেটা দিয়ে চমৎকার পর্দা বানিয়ে ফেলতে পারেন। দেশীয় আবহের আসবাবের সঙ্গে চমৎকার মানাবে এই পর্দা। হালকা ও পাতলা ধরনের যেকোনো শাড়ি দিয়েই পর্দা বানানো যায়।
- কাতান বা জামদানি শাড়ি কেটে বানিয়ে ফেলুন ওড়না। খানিকটা ছিমছাম পোশাকের সঙ্গে জমকালো লুক নিয়ে আসবে এই ওড়না।