প্রকৃতিতেই লুকিয়ে আছে ত্বক ও চুলের সৌন্দর্যের রসদ। চুলের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য এমনই একটি ভেষজ টোটকা হচ্ছে পেয়ারা পাতা। পেয়ারা পাতা ফলের মতোই উপকারী ভিটামিন বি এবং সি সমৃদ্ধ। আমাদের চুলের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কোলাজেনের উৎপাদন বাড়ায় এই পাতা। অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের সমৃদ্ধ উৎস পেয়ারা পাতা চুলের যত্নে অনন্য।
যেভাবে তৈরি ও ব্যবহার করবেন পেয়ারা পাতার পানি
পরিষ্কার পানিতে মুঠো ভর্তি পেয়ারা পাতা ২০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। নামিয়ে ঠান্ডা করে ছেঁকে নিন। এই মিশ্রণ লালচে ধরনের দেখতে হবে। একটি স্প্রে বোতলে ভরে নিন এটি। শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিষ্কার করে নিন। কন্ডিশনার ব্যবহার করবেন না। প্রাকৃতিক বাতাসে চুল শুকান। প্রায় শুকিয়ে গেলে চুল ভাগ করে নিন। ছেঁকে রাখা পানি চুলের গোড়ায় ঘষে ঘষে লাগান। ১০ মিনিট ম্যাসাজ করুন। গোড়ার পাশাপাশি চুলেও লাগান দ্রবণটি। ২ ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। চাইলে তোয়ালে দিয়ে জড়িয়ে রাখেত পারেন চুল। কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন চুল। চাইলে শ্যাম্পু শেষে পানি দিয়ে ধোয়ার পর একদম শেষে পেয়ারা পাতার পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে পারেন চুল।
চুলে পেয়ারা পাতার পানি ব্যবহারের উপকারিতা
- অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের সমৃদ্ধ পেয়ারা পাতা চুল ভেঙে যাওয়া প্রতিরোধ করে ও চুল পড়া কমায়।
- পেয়ারা পাতায় রয়েছে ভিটামিন সি যা চুলের বৃদ্ধি বাড়ায়। চুলের বৃদ্ধি দ্রুত করার জন্য সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করুন পেয়ারা পাতা ফোটানো পানি।
- চুলের অকালে পেকে যাওয়া রোধ করতেও পেয়ারা পাতার জুড়ি নেই।
- সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে চুল রক্ষা করে পেয়ারা পাতায় থাকা লাইকোপিন ।
- পেয়ারা পাতা সেদ্ধ করা পানি দিয়ে চুল প্রতিদিন ধুয়ে ত্বকের ব্যাকটেরিয়া কমে। এতে মাথার ত্বকে প্রদাহের সমস্যা কমে।
- মাথার ত্বক পরিষ্কার করে পেয়ারা পাতার পানি। পেয়ারার পাতায় রয়েছে অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ যা আমাদের মাথার ত্বকে সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে। ভিটামিন সি চুলের গোড়া মজবুত করে এবং চুল ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকি কমায়। লোমকূপের চারপাশে জমা ময়লা এবং খুশকি দূর করতে সাহায্য করে এই পাতার পানি।