আজকাল নানা কারণেই বয়সের আগেই ত্বক কুঁচকে যায়। চল্লিশের আগেই যদি ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ পড়তে থাকে, তা হলে সঠিক উপায়ে পরিচর্যা করা প্রয়োজন। জেনে নিন ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া আটকাতে কীভাবে যত্ন নেবেন।
গ্লাইকোলিক বা স্যালিসাইলিক অ্যাসিড
নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার রাখা, টোনিং করা, ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার- এই তিন ধাপ মেনে চলতেই হবে। প্রতিদিন রাতে শোওয়ার আগে সামান্য পরিমাণে গ্লাইকোলিক অ্যাসিড বা স্যালিসাইলিক অ্যাসিড দেওয়া সিরাম করতে পারেন। এতে ত্বকের কোষ সতেজ থাকবে, অকালে বুড়িয়ে যাবে না।
রেটিনয়েড
ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে কার্যকর রেটিনয়েড নামের উপাদানটি। এটি ভিটামিন-এ এর একটি বিশেষ রূপ। রেটিনয়েড কোলাজেন তৈরি করতে সাহায্য করে ও কোষের পুনরুজ্জীবনে সহায়তা করে। সূক্ষ্ম বলিরেখা মুছে ফেলার পাশাপাশি ত্বকের দাগ দূর করে রেটিনয়েড। এই উপাদান সমৃদ্ধ সিরাম বা ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। তবে একজন বিশেষজ্ঞ দেখিয়ে তারপর ব্যবহার করুন।
হায়ালুরনিক অ্যাসিড
হায়ালুরনিক অ্যাসিড ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে এবং তারুণ্য ধরে রাখে। উপাদানটি শুষ্ক, নিষ্প্রাণ ত্বকে জেল্লা ফেরাতে পারে খুব তাড়াতাড়ি। পাশাপাশি ত্বকে পিএইচের ভারসাম্যও বজায় রাখে। ত্বক থেকে বার্ধক্যের ছাপ মুছতে এমন ময়েশ্চারাইজার কিনুন, যাতে হায়ালুরনিক অ্যাসিড আছে।
ব্যবহার করুন ফেস প্যাক
বাড়িতেই কয়েকটি ফেস প্যাক বানিয়ে ফেলতে পারেন প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে। ১ চা চামচ মধুর সঙ্গে কয়েক ফোঁটা গোলাপজল মিশিয়ে ত্বকে লাগান। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন কুসুম গরম পানি দিয়ে।
ত্বকের যত্নে পাকা পেঁপে ব্যবহার করতে পারেন। পেঁপেতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও পাপাইন এনজাইম রয়েছে, যা মৃত কোষ পরিষ্কার করে দেয়। এছাড়া এতে রয়েছে ভিটামিন এ। নিয়মিত পাকা পেঁপে ত্বকে লাগালে ত্বক টানটান ও সুন্দর থাকে।
গ্রিন টি বানিয়ে এতে লেবুর রস মিশিয়ে টোনার হিসেবে ব্যবহার করলেও উপকার পাবেন।