অতিরিক্ত চুল ঝরা বেশ উদ্বেগের বিষয়। বিভিন্ন কারণের কারণে হতে পারে যেমন জেনেটিক্স, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, পুষ্টির ঘাটতি। মানসিক চাপের কারণেও মাত্রাতিরিক্ত চুল পড়ে যেতে পারে। চুল পড়ার কারণ বের করে এর সমাধান খুঁজতে হবে। পাশাপাশি ঘরোয়া উপায়ে যত্ন নিতে পারেন চুলের। চুল পড়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন সমাধান চাইলে ভেষজ উপাদান হতে পারে চমৎকার সমাধান।
আমলকী
শক্তিশালী আয়ুর্বেদিক প্রতিকার হিসেবে ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পলিফেনল সমৃদ্ধ আমলকী ব্যবহার করতে পারেন চুলে। এটি চুলের গোড়া শক্তিশালী করতে সাহায্য করে এবং মাথার ত্বক সুস্থ রাখে। চুলের বৃদ্ধি বাড়াতে এবং চুল পড়া কমাতে আমলকীর তেল মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করুন। তেল হালকা গরম করে নেবেন। এক ঘণ্টা রেখে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
মেথি
প্রোটিন, আয়রন এবং নিকোটিনিক অ্যাসিডে ভরপুর মেথি চুল রাখে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল। চুলের গোড়া পুষ্ট করে, মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে এবং চুলের বৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করে মেথি। এতে প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যও রয়েছে যা চুল পড়া রোধ করে। মেথি সারারাত ভিজিয়ে রেখে পরদিন পেস্ট বানিয়ে চুলে লাগান। ৩০ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। এছাড়া মেথির তেল ব্যবহার করতে পারেন। এজন্য মেথির সাথে নারকেল তেল মিশিয়ে গরম করুন। ঠান্ডা হয়ে গেলে তেলটি মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করুন।
অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরা প্রশান্তিদায়ক বৈশিষ্ট্যের জন্য সুপরিচিত এবং ত্বক ও চুলের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য শতাব্দী ধরে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় এটি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। অ্যালোভেরার এনজাইম মাথার ত্বকের মৃত ত্বকের কোষ ভেঙে ফেলতে সাহায্য করে, যা চুলের ফলিকলগুলোকে ব্লক করে চুল পড়ার কারণ হতে পারে। অ্যালোভেরা সুস্থ রক্ত সঞ্চালনও বাড়ায়, যা চুলের বৃদ্ধির জন্য অত্যাবশ্যক। তাজা অ্যালোভেরা জেল বের করে সরাসরি মাথার ত্বকে লাগান। রক্ত প্রবাহ উন্নত করতে আলতো করে ম্যাসাজ করুন এবং ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। ময়েশ্চারাইজিং হেয়ার মাস্ক তৈরি করতে অ্যালোভেরা জেল নারকেল তেলের সাথে মিশিয়ে নিন। মাথার ত্বকে এবং চুলে লাগিয়ে ৪০ মিনিট অপেক্ষা করে এরপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।