ত্বকের যত্নে আমরা গ্লিসারিন ব্যবহার করি। কিন্তু জানেন কি এটি চুলের যত্নেও দারুণ কার্যকর? গ্লিসারিন একটি বর্ণহীন বা গন্ধহীন চিনির অ্যালকোহল যা উদ্ভিদ থেকে পাওয়া যায়। কৃত্রিমভাবেও তৈরি করা যায় এটি। নিজের চারপাশের আর্দ্রতা ধরে রাখতে পারে গ্লিসারিন। এটি একটি প্রাকৃতিক হিউমেক্ট্যান্ট যা আমাদের ত্বক এবং চুলেও আর্দ্রতা যোগ করে। ত্বকের পাশাপাশি চুলের যত্নেও কাজে লাগাতে পারেন উপাদানটি। এর সুবিধাগুলো জেনে নিন।
- গ্লিসারিনের একটি অসাধারণ গুণ হলো এর ব্যতিক্রমী আর্দ্রতা ধারণ ক্ষমতা যা চারপাশের পানির অণুকে আকর্ষণ করে এবং চুলের গোড়ায় আটকে রাখে। এটি চুলকে হাইড্রেটেড রাখে এবং গোড়াকে ভঙ্গুর হওয়া থেকে বাঁচায়। কয়েক ফোঁটা গ্লিসারিনে মধু মিশিয়ে মাথার ত্বকে এবং গোড়ায় লাগাতে পারেন। চুলকে নিস্তেজ হওয়া থেকে রক্ষা কবে উপকারী গ্লিসারিন।
- সুস্থ ও লম্বা চুলের শুরুটা কিন্তু হয় শিকড় থেকে। গ্লিসারিন হলো এমন একটি উপাদান যা এই প্রক্রিয়াকে সাহায্য করতে পারে। এটি অতিরিক্ত শুষ্কতা রোধ করে চুলের ফলিকলকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। মাথার ত্বকে অতিরিক্ত তেলের উপস্থিতি রোধ করতেও সহায়তা করে গ্লিসারিন।
- গ্লিসারিন চুলের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখে, যা চুলের ভেঙে যাওয়া রোধ করার জন্য অপরিহার্য। চুলের গোড়ায় নিয়মিত গ্লিসারিন লাগাতে আগা ফাটবে না।
- গ্লিসারিন চুল নরম এবং সিল্কি করে। অতি আর্দ্র দিন থেকে শীতকাল পর্যন্ত যেকোনো সময়ই গ্লিসারিন ব্যবহার করতে পারেন চুলে।
- গ্লিসারিন চুলকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ময়েশ্চারাইজ করে এবং ক্ষতির ঝুঁকি কমিয়ে চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। চুলকে তাপের স্টাইলিং, দূষণ, ইউভি রশ্মি এবং পরিবেশগত চাপ থেকে রক্ষা করে গ্লিসারিন।
