সুখী হওয়া কি খুব কঠিন? উত্তরটি হচ্ছে না। সোশ্যাল মিডিয়ার এই যুগে সুখী হওয়া একটি প্রতিযোগিতার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে সত্যিকার অর্থে সুখী হতে চাইলে কিন্তু খুব বেশি কাঠখড় পোড়ানোর প্রয়োজন নেই। সুখ বস্তুগত সম্পদের উপর ভিত্তি করে আসে না, সুখী হতে চাইলে গঠনমূলক অভ্যাস ও তার প্র্যাকটিস জরুরি। জেনে নিন কিছু টিপস।
- সুখ খুঁজে পেতে চাইলে মানবিক সংযোগের উপর জোর দিন। অন্যদের সাথে আমাদের সম্পর্ক আমাদের সুখ, মানসিক স্বাস্থ্য এমনকি শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৫ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, অন্যদের সঙ্গে মেলামেশা করা আমাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রিয়জনের সাথে মুখোমুখি সময় কাটান। অপরিচিত ব্যক্তির সাথে কথোপকথন করুন, পরিচিত হোন।
- আপনার কাছে কী অর্থবহ সেটা খুঁজে বের করে সেটার উপর মনোযোগ দিন। প্রত্যেকেরই সুখের ধারণা আলাদা। অন্যরা কী করছে তার উপর ভিত্তি করে সুখী জীবনের আদর্শ তৈরি করা ঠিক নয়। সুখ সবসময় গাড়ি, বাড়ি বা বেশি টাকা থাকার সাথে সম্পর্কিত নয়।
- রাতে নিয়মিত ঘুমের উপর জোর দিন। সুষম এবং পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করুন এবং প্রতিদিন ৮ ঘন্টা ঘুম নিশ্চিত করুন। প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়া এবং ঘুম থেকে ওঠা আমাদের শারীরিক মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে, বিষণ্ণতা কমায় এবং আবেগ নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- দয়ালু মনোভাব বজায় রাখুন। ২০২১ সালের একটি গবেষণায় বলা হয়েছে যে, দয়ালু হওয়ার সাথে সুখ এবং প্রশান্তি খুঁজে পাওয়ার সংযোগ রয়েছে। চারপাশের মানুষের প্রতি আরও কৃতজ্ঞ হওয়া, অপরিচিত ব্যক্তিকে সাহায্য করা, ধন্যবাদ বলা বা কাউকে টিপস দেওয়ার মতো কাজ আপনাকে আনন্দিত রাখবে।
- ছোট ছোট মুহূর্তগুলো উপভোগ করুন। যেমন রিলাক্সিং পরিবেশে এক কাপ চা খাওয়া কিংবা বৃষ্টিতে ভেজা। এসব মুহূর্ত আপনার মস্তিষ্ককে আনন্দে রাখবে।
- নেতিবাচক চিন্তাকে ইতিবাচক চিন্তায় রূপান্তর করার চেষ্টা করুন। যেমন আপনি কোনও নির্দিষ্ট কাজে খারাপ তা ভাবার পরিবর্তে, 'আমি এটি কীভাবে করতে হয় তা শিখছি' এভাবে ভাবুন।
- ব্যায়াম কেবল আপনার শরীরের জন্যই নয়, আপনার মনের জন্যও উপকারী। এটি চাপ কমাতে সাহায্য করে বলে প্রমাণিত হয়েছে। ব্যায়াম এন্ডোরফিন, সেরোটোনিন এবং ডোপামিনের মতো হরমোন নির্গত করে, যা আমাদের আনন্দিত রাখে।