X
বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
৪ আষাঢ় ১৪৩২

টবে ধনেপাতার চাষ করবেন যেভাবে

শাহ তাসদিকা অয়ন
২৪ অক্টোবর ২০২১, ১০:০০আপডেট : ২৪ অক্টোবর ২০২১, ১০:০০

ধনেপাতা এখন সবসময়ই পাওয়া যায়। তবে শীতের সময় নিজের হাতে বোনা ধনেপাতার স্বাদই যেন আলাদা। অল্প কিছু খুঁটিনাটি জানা থাকলে এটি খুব সহজেই চাষ করতে পারেন। ধনেপাতায় রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম, আয়রন, ক্যারোটিন ও বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।

বারান্দায় অথবা ছাদে আলো পড়ে এমন স্থানে ধনিয়ার চাষ ভালো হয়। সারা বছর এটি জন্মালেও আশ্বিন থেকে পৌষ (সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর) মাস ধনিয়া চাষের উপযুক্ত সময়।

 

মাটি

সব মাটিতেই ধনিয়ার চাষ সম্ভব। তবে বেলে দোঁআশ বা এঁটেল দোঁআশ মাটি ধনিয়া চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী। এ গাছ জলাবদ্ধতা একদমই সহ্য করতে পারে না। তাই টবে পানি নিষ্কাশনের সুবিধা থাকা জরুরি। ৭০ ভাগ মাটির সঙ্গে ৩০ ভাগ কেঁচো সার তথা ভার্মিকম্পোস্ট মিশিয়ে টবের মাটি তৈরি করে নিতে পারেন। বীজ বোনার আগে এক দিন কড়া রোদে মাটি শুকিয়ে ঝুরঝুরে করে নিলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।

 

বীজ বপনের আগে

ধনেপাতা চাষ করতে বীজটাকে তৈরি করে নেওয়া চাই। বাজার থেকে শুকনো ধনের বীজ কিনে সেগুলোকে একদিন রোদে শুকিয়ে নিতে হবে। এতে বীজের রোগবালাই দমন হবে। অন্যদিকে অঙ্কুরোদগম ক্ষমতাও বাড়বে। বীজ শুকানোর পর এগুলোকে পাথরের টুকরো দিয়ে বা হাতের হাল্কা চাপে দুই ভাগ করে ভেঙে নিতে হবে।

মাটিতে বপনের আগে ধনিয়ার বীজ অবশ্যই পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হয়। একটি ভেজা কাপড়ে ২৪ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে বীজ বপন করলে চারা দ্রুত গজাবে। চওড়া মুখের টব বা প্লাস্টিকের গামলায় মাটির ৩-৪ সেন্টিমিটার (দেড় ইঞ্চি) গভীরে বীজ বপন করতে হবে। এরপর প্রথম দফায় ভালো করে সেচ দিতে হবে।

 

পরিচর্যা

মাটি শুকনো থাকলে দুই-একদিন পর পর পানি দিতে হবে। কিন্তু গাছের গোড়ায় কখনই পানি জমতে দেওয়া যাবে না। অনেক সময় পাখি ধনেপাতা পাতা খেয়ে ফেলে। সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। পিঁপড়ার উপদ্রব হলে প্রাথমিকভাবে সাবান পানি ছিটিয়ে দেখতে হবে। এতে কাজ না হলে পাইরিফস বা পাইরিবান অথবা সেভিন ডাস্ট ছিটিয়ে দিতে হবে।

সাধারণত চারা গজাতে এক সপ্তাহ থেকে দশ দিন সময় লাগে। গাছ পুরোপুরি বড় হতে এক মাসও লেগে যায়।

ধনিয়া চাষে সাধারণত বাড়তি সারের প্রয়োজন হয় না। গাছ বেশি বড় হয়ে গেলে সেই গাছের পাতার স্বাদ কমে যায়। তাই গাছ মাঝারি আকারে আসলেই পাতা তুলতে হবে।

/এফএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ট্রাম্পের হুমকি সত্ত্বেও ইরান ও ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ট্রাম্পের হুমকি সত্ত্বেও ইরান ও ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
টিসিবির কার্ড বিতরণে টাকা আদায়ের অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার
টিসিবির কার্ড বিতরণে টাকা আদায়ের অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার
রাঙামাটিতে বেড়েছে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ, আক্রান্ত ৬৬১
রাঙামাটিতে বেড়েছে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ, আক্রান্ত ৬৬১
টিভিতে আজকের খেলা (১৮ জুন, ২০২৫)
টিভিতে আজকের খেলা (১৮ জুন, ২০২৫)
সর্বাধিক পঠিত
ইসরায়েলি হামলার পর তেহরানের হাসপাতালে ‘রক্তস্নান’
ইসরায়েলি হামলার পর তেহরানের হাসপাতালে ‘রক্তস্নান’
ম্যাক্রোঁকে আক্রমণ ট্রাম্পের, বললেন যুদ্ধবিরতি নয়, বড় কিছু ঘটছে
ম্যাক্রোঁকে আক্রমণ ট্রাম্পের, বললেন যুদ্ধবিরতি নয়, বড় কিছু ঘটছে
সিরিয়ার আকাশ দিয়ে ইরানে বোমা ফেলছে ইসরায়েল: নীরব সরকার, বাড়ছে ক্ষোভ
সিরিয়ার আকাশ দিয়ে ইরানে বোমা ফেলছে ইসরায়েল: নীরব সরকার, বাড়ছে ক্ষোভ
‘ভয় দেখিয়ে জুলাই গণহত্যার বিচার থেকে দূরে সরানো যাবে না’
‘ভয় দেখিয়ে জুলাই গণহত্যার বিচার থেকে দূরে সরানো যাবে না’
জামায়াতের অনুপস্থিতির বিষয়ে যা বললেন প্রেস সচিব
ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকজামায়াতের অনুপস্থিতির বিষয়ে যা বললেন প্রেস সচিব