X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের সঙ্গে এক দুপুর

মৌলি আজাদ
১৮ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০আপডেট : ১৮ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০

দক্ষিণ ফুলার রোড এলাকার ৫২ নম্বর বিল্ডিংয়ে থাকতেন মনজু স্যার, আমি থাকতাম ১৪ নম্বর বিল্ডিংয়ে। সময়টা ১৯৯০ থেকে ২০০৪ সাল। স্যার দুইহাতে ‘প্রথম আলো’ পত্রিকার সাহিত্য সাময়িকীতে গল্প লিখতেন, কখনো পরাবাস্তব গল্প, আবার কখনো বা রম্য গল্প। গল্পগুলো বেশিরভাগই ছোট হতো, তাই সঙ্গে সঙ্গে পড়ে ফেলতাম। পাড়ার মাঠে যখন হাঁটতাম তখন দূর থেকে স্যারকে দেখতাম। সুদর্শন হাস্যোজ্জ্বল একজন মানুষ। কথা বলতে ইচ্ছে হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক, জনপ্রিয় লেখক, তাই সাহস করে তার সঙ্গে কথা বলতে পারিনি। এরপর ২০১১ সালে আমার লেখা স্মৃতিচারণমূলক বই ‘হুমায়ুন আজাদ আমার বাবা’ বইটি প্রকাশিত হয়। ভাবলাম, এবার স্যারকে বইটি উপহার দেব এবং স্যারের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার এটাই মোক্ষম সুযোগ। এ সুযোগ হাতছাড়া করা যাবে না। একদিন বই নিয়ে স্যারের কলাভবনের রুমে দেখা করলাম। রুমে অনেকেই ছিলেন। স্যার সবার প্রশ্নের উত্তর ধীরে গুছিয়ে দিচ্ছিলেন। আমি চুপচাপ বসে সব শুনছিলাম। এবার আমার পালা এলো। স্যার খুব সুন্দর করে বললেন, ‘তোমার কী চাই?’ আমি হেসে আমার পরিচয় দিয়ে স্যারের হাতে বইটি দিলাম। স্যার প্রথমেই বললেন, ‘পত্রিকায় তোমার লেখা পড়েছি।’ এরপর বইটি ভালোভাবে দেখলেন এবং আমার বাবার সঙ্গে তাঁর যেসব ছোটখাটো স্মৃতি ছিল তা বললেন। আমি শুধু শুনছিলাম। এত সাবলীলভাবে ইংরেজির শিক্ষক বাংলায় কথা বলছেন, আবার যখন ইংরেজি বলছেন তখন বাংলা মেশাচ্ছেন না। স্যারের ব্যাপারে ভয় একেবারে চলে গেল। মুগ্ধতা বেড়ে গেল। এরপর স্যারের সঙ্গে নিয়মিত আলাপ-যোগাযোগ। স্যারের স্ত্রী ও আমার মা প্রায় কাছাকাছি সময়ে ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। সেসময়ে কোথায় কী চিকিৎসা নিতে হবে সে বিষয়ে স্যারের সঙ্গে ফোনে কথা বলতাম। এরপর কী হল? স্যারের সঙ্গে নানান কাজে সম্পৃক্ত থাকব- এটাই বোধহয় ভাগ্যে লেখা ছিল। স্যার, ইউজিসির হেকেপ প্রজেক্টের কনসালটেন্ট হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি ‘স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান ফর হায়ার এডুকেশন ইন বাংলাদেশ ২০১৮-২০৩০’ বিষয়ে ছিলেন প্রধান সম্পাদক। কী যে পরিশ্রমের কাজ সেটি, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এজন্য উচ্চশিক্ষা পরিবারের সকলে স্যারের কাছে কৃতজ্ঞ।

এবার আসি স্যারের বইয়ের কথায়। ২০২১ সালের বইমেলা থেকে স্যারের লেখা ‘দেখা অদেখার গল্প’ বইটা কিনলাম। ১২টি গল্প রয়েছে বইয়ে। বিভিন্ন ধরনের প্লট গল্পে। বই পড়তে পড়তে নানা চিন্তা আমার মাথায় আসছিল। মনে হচ্ছিল আসলেই কী এগুলো গল্প না কী এরমধ্যেও আরো অনেক গল্প লুকিয়ে আছে। চট করে মাথায় বুদ্ধি এলো- তাহলে স্যারের সঙ্গে বইয়ের গল্পগুলো নিয়ে একটু কথা বলা যাক। যা ভাবা তাই কাজ। তখনই স্যারকে ফোন দিলাম। যথারীতি স্যার ফোন ধরে বললেন, ‘মৌলি বল, কেমন আছো?’ হাসতে হাসতে স্যারকে বললাম ‘স্যার, দেখা অদেখার গল্পের বইটি নিয়ে আপনার সঙ্গে কিছু কথা ছিল।’ স্যার সঙ্গে সঙ্গে কথা বলার জন্য সময় দিলেন। অবশ্য এটাও জানালেন যে, সেদিন তিনি একটু ব্যস্ত থাকবেন। তাই তাড়াতাড়ি কথা সারতে হবে ।

আমি তো এতটুকুতেই রাজি। যথারীতি নির্ধারিত সময়ে স্যারের বইটি নিয়ে কথা বলতে স্যারের ইউল্যাবের অফিস কক্ষে চলে গেলাম। স্যার পরীক্ষা নিচ্ছিলেন, এর ফাঁকেই আমাকে হাসিমুখে বসতে বললেন। খুব বেশি অপেক্ষা করতে হল না। স্যার বললেন ‘শুরু কর’। আমার তো স্যারের সময়ের বিষয়টা মাথায় আছে, তাই দ্রুত প্রশ্ন করতে লাগলাম। স্যার বরাবরের মতো শান্ত ভঙ্গিতে মোলায়েম গলায় উত্তর দিচ্ছিলেন।

স্যারের কাছে প্রথমেই প্রশ্ন রাখলাম, ‘বইয়ের নাম কেন দেখা অদেখার গল্প’? বললেন, ‘প্রথমত এই বইয়ের দুটো দিক আছে। একটা দিক দৃশ্যমান, ঘোর বাস্তব। আরেকটি বাস্তবের পেছনে চাদরের মতো বিছিয়ে থাকা অবাস্তব। সে যখন প্রকাশিত হয়, তখন তা বাস্তব। বাস্তবের আরেক মাত্রা যা আমাদের চোখের আড়ালে ছিল, সে অদেখা জগত আমাদের কল্পনায় আসে, স্বপ্নে হানা দেয়, এমনকি দিবা স্বপ্নেও আসে। আমরা তা অস্বীকার করতে পারি না।’

‘আমি ঘোর বাস্তববাদী নই অথবা আমি ঘোর বাস্তববাদী। বাস্তব শুধু একটা মাত্রায় বিন্যস্ত হয় না, এর অনেক মাত্রা থাকে। যা জানতে নিজেদের ভেতর সমাহিত হতে হয়। কল্পনার জগতের কাছে বিশ্বস্ত হতে হয়। শহরের জীবনে আমরা বিশ্বস্ততা হারিয়েছি, যা আমাদের পূর্ব-পুরুষদের ছিল।’

‘আমার গল্পে দেখা-অদেখা, দৃশ্যমান-অদৃশ্যমান বিষয় খুব শক্তিশালীভাবে আসে। এগুলো জড়াজড়ি করে থাকে। গল্প হলো মুক্তার মতো, বালি না থাকলে মুক্তার দানা হয় না। বালি হলো বাস্তব, মুক্তা হলো গল্পের কল্পনা।’

স্যারের গল্পের চরিত্রগুলো/উপাদান কী তবে সবই চারপাশের? তিনি বলেন,

‘দৃশ্যমান জগৎ থেকেই আমি গল্পের উপাদান পাই। গল্পের চরিত্রগুলো কখনো আমার পরিচিত আবার কখনো অন্যজনের কাছ থেকে শোনা। গল্পের চরিত্রগুলো একশত ভাগ বাস্তবের নয়। কারো সঙ্গে হয়তো শতকরা বিশ ভাগ মিল থাকতে পারে।’

আর তাই ‘মোহর’ গল্পে দেখা মেলে আমাদের চারপাশের স্বার্থান্ধ সব মানুষ যাদের কাছে পারিবারিক বন্ধনের চেয়েও অর্থই মুখ্য।

‘রঙ্গিন দরজা’ এই বইয়ের একটি গল্প। বিপ্লব গল্পের একটি চরিত্র যে রং পেলেই রং করে। কিন্তু কথা হল, কোথায় রং করে সে? গল্পের কয়েকটি লাইন তুলে ধরি ‘সে দরজার নিচে পুরোনো খবরের কাগজ বিছিয়ে আঁকতে শুরু করল। প্রথমে দরজার পুরো পাল্লাটা সাদা রং করে শুকাতে দিল। ঘণ্টা দুয়েক পর তাতে অন্যান্য রং চড়ানো শুরু করল। লাল, সবুজ, হলুদ, নীল। রুমান দেখল, বিপ্লব ছবি আঁকছে নাকি একটা ধ্যানে বসেছে বুঝা যাচ্ছে না।  ডাকলে শোনে না, চা সিঙ্গারা নিয়ে এলেও খায় না। চার পাঁচ ঘণ্টা পর দরজাটা হয়ে গেল একটা ঝকঝকে ছবি, যে ছবিতে একটা সবুজ জঙ্গলের ভেতর দিয়ে একটা সরু পথ এঁকেবেঁকে চলে গেছে। একটা পুকুরে ছায়া পড়েছে শান্ত কোনো বিকেলের। জঙ্গলের ওপারে নীল আকাশ, তাতে পাখি উড়ছে, মেঘ ভাসছে। রুমান কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে ছিল। ভাতঘুম। বিপ্লব খায়নি, সে ধ্যানে আছে। রুমান অবাক হয়ে ছবিটা দেখল। এ কি ছবি, নাকি আরেকটা জীবন।’

গল্পটি পড়ার সময় আমার জানতে ইচ্ছে হয়, ‘বিপ্লব’ নামে কী সত্যিই বাস্তবে কেউ আছেন?

স্যার বললেন, ‘হ্যাঁ, বিপ্লব নামের ছেলেটি তাদের সিলেটের। স্যারের চেয়ে ২/১ বছরের ছোট ছিল অনেক অনেক বছর আগের কথা। তখন আজকের মতো এত সহজে রং পাওয়া যেতো না, আর গরীব ঘরের সন্তান বিপ্লবের রং কেনার সামর্থ্য তো ছিলই না। কিন্তু বিপ্লব যখনই রং পেতো বসে যেত রঙয়ের কৌটা নিয়ে, সাজিয়ে ফেলত চারপাশ।’

হঠাৎ প্রশ্ন করলাম, ‘বিপ্লব কী বেঁচে আছেন?’ স্যার বললেন, ‘সে যেহেতু আমার চেয়ে ২/১ বছরের ছোট ছিল, তাই ধারণা করা যায়, বিপ্লব হয়তো বেঁচে আছে। বিপ্লবকে সেই ছেলেবেলায় দেখা, এরপর আর দেখা হয়নি।’

স্যার তখন চমৎকারভাবে বললেন, ‘এটা জীবনের একটা রহস্য যে, যে মানুষকে আমরা একবার দেখি তাকে আর না দেখার সম্ভাবনাই বেশি। যেমন, ট্রেনে করে কোথাও যাবার সময় যে পানওয়ালাকে দেখি তার সঙ্গে আর কখনোই দেখা হয় না। পরিচিত যাদের দেখছি তাদের সংখ্যা কত? বিশাল পৃথিবীতে তারা কয়জন? ইলিয়ট খুব সুন্দর বলেছিলেন, I have measured out my life with coffee spoon অর্থাৎ কফির চামচ দিয়ে আমি জীবনকে মাপি। জীবন খুব ছোট। আমি যদি আমার দেখার জগতে আঁকড়ে থাকি তাহলে অদেখার জগৎ যে এত বিশাল তা বুঝব না। আমি যদি অদৃশ্য জগতে বিচরণ করতে থাকি তবে রেলস্টেশনে একবার দেখা সেই পান বিক্রেতার সঙ্গেও আমার দেখা হয়ে যাবে। এগুলো কিন্তু আমার লেখায় উঠে আসে।’

জিজ্ঞেস করলাম স্যার এ যুগে চিঠি নিয়ে গল্প লেখা কেন? স্যারের মতে, এক সময় চিঠির অনিবার্যতা ছিল। রোমান্টিকতা ছিল। যিনি চিঠি নিয়ে আসতেন অর্থাৎ ডাকপিয়ন তাকেও সে সময় আপন মনে হতো। এখন প্রেমপত্র কেউ লেখে না, কিন্তু একসময় মানুষের কাছে প্রেমপত্রের দুর্দান্ত আকর্ষণ ছিল। চিঠি যে একসময় যোগাযোগের মাধ্যম ছিল তা এ প্রজন্মের অনেকেই জানে না, তাই এই গল্পটি লেখা।

জানলাম, স্যার তাঁর বাবার মৃত্যুর খবর চিঠির মাধ্যমে পান, যা তাকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল।

‘ভুবনপুরের প্রজাপতি’ পরাবাস্তব গল্প। গল্পটি তিনি করোনা মহামারীর শুরুর দিকে লিখেছেন। এই গল্পের প্লটের যোগানদাতা স্যারের পরিচিত ডাক্তার, নার্স ও ঘনিষ্ট বন্ধু যারা কোভিড আক্রান্তদের সরাসরি কাছে ছিলেন বা কোভিডে তাদের প্রিয়জন হারিয়েছেন। পরাবাস্তব জগতের গল্পের রেশ ধরে গল্পে রয়েছে নানান রহস্যের খেলা ও চমৎকার সব পঙক্তি। একটি পঙক্তিই উল্লেখ করি ‘রাত আসে, রাত যায়। মনিরুজ্জামানের বুকের ভেতরটাকে মনে হয় যেন মেলাভাঙ্গা মাঠ, শূন্য।’

‘আনমনা’ গল্পটিই বইয়ের একটি মাত্র প্রেমের গল্প। গল্পের চরিত্র নাভিদ আর নায়লার সঙ্গে স্যারের খুব স্বল্পসময় এয়ারপোর্টে পরিচয়, সেখান থেকেই গল্পের প্লট পেয়ে যান তিনি। তারপর বাস্তব আর কল্পনা দিয়ে তৈরি করেন প্রেমের গল্প যদিও শেষ পরিণতি বিচ্ছেদ। কেমনতরো বিচ্ছেদ সেটা? ‘নাভিদের একটা হাত ধরে গলা নামিয়ে নায়লা বলল, বাঁ দিকে মিনিট দশেক হাঁটলে ছোট একটা স্ট্রিপ মল পাবে। সেখানে একটা ডানকিন ডোনাটের দোকান আছে। সেখানে গিয়ে বসো। আর প্লিজ ফুলটা, চকলেটটা নিয়ে যাও। নায়লা দরজা লাগিয়ে দিলে কিছুক্ষণ একটা ল্যাম্পপোস্টের মতো নিশ্চল দাঁড়িয়ে থাকল নাভিদ। তার চোখ পড়ল দরজায় লাগানো নেমপ্লেটটাতে। ঝকঝকে পিতলের ওপর খোদাই করা কালো অক্ষরের লেখা আমিনুদ্দিনস। বহুবচন! অথবা দ্বিবচন! কথা তো একই। তার আফসোস হল, শুরুতেই, বেল টেপার আগে, কেন তার চোখে এটি পড়েনি। চোখে তো সে ঠুলি পরেনি। তাহলে?’ বুঝতেই পারছেন, কীভাবে নায়ক ধরা খেয়ে গেল।

স্যার আমাকে বলেছিলেন, ‘তাঁর সময় কম, তাই আলাপচারিতা সংক্ষেপেই সারতে হবে।’ লক্ষ্য করলাম, স্যার কিন্তু আমায় তাড়াহুড়ো দেখাচ্ছেন না। আমারই বরং, স্যারের মূল্যবান সময় আমি নিয়ে নিচ্ছি ভেবে ভেতরে ভেতরে মনটা খারাপ হচ্ছিল। তাই নিজে থেকেই স্যারের অনুমতি নিয়ে আলাপচারিতা শেষ করলাম।

স্যারের সঙ্গে কথা বলতে গেলে শুধু কী বইয়ের বিষয়ে আলাপ করতে ইচ্ছে হয়? ইচ্ছে তো হয় দেশ/শিক্ষাব্যবস্থা  নিয়েও স্যারের কিছু কথা শুনতে। তবে সে আলাপে এবার আর গেলাম না।

অনেকেই জানেন না হয়তো, স্যার এখনো মানিব্যাগে তাঁর মায়ের হাতে লেখা একটা ছোট্ট চিরকুট নিয়ে ঘুরে বেড়ান, যেখানে গল্পের বই পড়ুয়া মা তাঁর ছেলেকে সুযোগমত কিছু বই আনতে অনুরোধ করেছিলেন। স্যারের জন্মদিন আর তাঁর মায়ের মৃত্যুদিন একই তারিখে অর্থাৎ ১৮ জানুয়ারি। তাই জন্মদিন পালনে স্যারের কোনো আগ্রহ নেই। কিন্তু আমরা যারা স্যারের লেখার ভক্ত তারা এই বিশেষ দিনটি উদযাপন না করে থাকতে পারি কি?

শুভ জন্মদিন স্যার।

 

/জেড-এস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
মাদারীপুরে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
মাদারীপুরে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
বেসিস নির্বাচনে ওয়ান টিমের প্যানেল ঘোষণা
বেসিস নির্বাচনে ওয়ান টিমের প্যানেল ঘোষণা
ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি লিভারপুল, সেমিফাইনালে আটালান্টা
ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি লিভারপুল, সেমিফাইনালে আটালান্টা
ইরানের ওপর কোনও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়নি: ইরানি কর্মকর্তা   
ইরানের ওপর কোনও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়নি: ইরানি কর্মকর্তা  
সর্বাধিক পঠিত
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
পিএসসির সদস্য ড. প্রদীপ কুমারকে শপথ করালেন প্রধান বিচারপতি
পিএসসির সদস্য ড. প্রদীপ কুমারকে শপথ করালেন প্রধান বিচারপতি
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
পরীমনির বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ সত্য’, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন
পরীমনির বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ সত্য’, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন