X
বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫
১৮ আষাঢ় ১৪৩২

শহীদুল জহিরকে নিয়ে গাঁথার আয়োজন

মোহাম্মদ মারুফ
১৫ অক্টোবর ২০১৭, ২৩:২৭আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০১৭, ১১:২৩

(বাম থেকে) হামীম কামরুল হক, মোজাফফর হোসেন এবং আফরোজা আক্তার টিনা ধানমন্ডির ইএমকে সেন্টারে গত ১৪ অক্টোবর বিকেলে নারীদের সংগঠন ‘গাঁথা’র নিয়মিত মাসিক সাহিত্য আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘শহীদুল জহিরের গল্প : বাস্তবের জাদু কিংবা জাদুর বাস্তব’ শীর্ষক ওই আড্ডায় আলোচনা  করেন কথাসাহিত্যিক হামীম কামরুল হক এবং মোজাফফর হোসেন।

আড্ডায় শহীদুল জহিরের চারটি ছোটগল্পের উপর আলোচনা করা হয়। হামীম কামরুল হক ‘চতুর্থ মাত্রা’ ও ‘আগারগাঁও কলোনিতে নয়নতারা ফুল কেন নেই’ গল্প দুটির উপর আলোচনা করেন। মোজাফফর হোসেন ‘ডুমুর খেকো মানুষ’ এবং ‘কাঠুরে ও দাঁড়কাক’ গল্পের উপর আলোচনা করেন।

হামীম কামরুল হক বলেন, বাংলা ভাষায় শহীদুল জহিরের যে প্রবণতা তা আর কারো মধ্যে ছিল না। শহীদুল জহির ঠিক জাদুবাস্তববাদী লেখক নন। তার লেখার কাঠামো এবং বয়ান পাঠককে আকৃষ্ট করে। তিনি খুব সাধারণ বিষয়কে লেখার নিজস্ব ধারায় জাদুময়তার রূপ দিয়েছেন। নিজ দেশের মানুষের দৈনন্দিন জীবনকে তুলে ধরেছেন। তিনি মানুষের জীবনের দৈনন্দিন তুচ্ছতা খুঁজে বেড়াতেন এবং সেগুলো নিয়েই লিখতেন। এই তুচ্ছতাকে আমরা সাধারণত খেয়াল করি না। তাই এটাকে আমাদের কাছে জাদুবাস্তবতা বলে মনে হয়।

গল্পের প্রসঙ্গে হামীম কামরুল হক বলেন, আগারগাঁও কলোনিতে নয়নতারা ফুল কেন নেই- গল্পে শহীদুল জহির প্রকৃতি ও প্রেমের দারুণ উপমায় আমাদের দেশের একটি কঠিন সময়ের পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন।

মোজাফফর হোসেন বলেন, শহীদুল জহির জাদুবাস্তবতার সার্থক আখ্যানশিল্পী গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস এবং চেতনা প্রবাহ রীতির প্রবক্তা সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন। তার গদ্যে বাস্তবতার সঙ্গে রূপকথার এবং কথ্য ভাষার সঙ্গে মান ভাষার মিশ্রণে একটি স্বকীয় ধারা তৈরি হয়েছে।

মোজাফফর হোসেন আরো বলেন, তিনি কাঠামো সচেতন লেখক। তিনি ঐতিহ্যগত শৈলী থেকে বের হতে চেয়েছেন। তার ছোটগল্পের কাহিনিতে গভীর জীবন ও অন্তর্লোক একই সাথে মিলিত হয়। তাকে আমরা উত্তর কাঠামোবাদী ভাবতে পারি। তিনি ভাষাকে নতুন করে পরিসঞ্চালন করেছেন।

মোজাফফর আরো বলেন, ডুমুর খেকো মানুষের গল্পটি কিছুটা কল্পনাপ্রবণ। এই গল্পে শহীদুল জহির কল্পনা করেই ছেড়ে দেননি, বাস্তবতার উল্লেখও করেছেন। এখানে তিনি স্থান সময়েরও ব্যবহার করেছেন। এটি জাদুবাস্তবতা দিয়ে শুরু ও জনশ্রুতি দিয়ে শেষ হয়। অন্যদিকে কাঠুরে ও দাঁড়কাক গল্পটি জনশ্রুতি দিয়ে শুরু হলেও শেষ হয় জাদুবাস্তবতা দিয়ে। 

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন কথাশিল্পী পাপড়ি রহমান এবং গাঁথার সাধারণ সম্পাদক জ্যাকি কবির। ডুমুর খেকো মানুষ থেকে নির্বাচিত অংশ পাঠ করেন ড. নাহিদ কায়সার এবং আগারগাঁও কলোনিতে নয়নতারা ফুল কেন নেই থেকে পাঠ করেন আফরোজা আক্তার টিনা। অনুষ্ঠান সঞ্চলনা করেন ড. ইশরাত তানিয়া।


 

আগামীকাল পড়ুন মোজাফফর হোসেনের সম্পূর্ণ আলোচনা।

//জেডএস//
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
নতুন অর্থবছরের প্রথম দিনে মোংলা বন্দরে ১৪টি বিদেশি জাহাজ
নতুন অর্থবছরের প্রথম দিনে মোংলা বন্দরে ১৪টি বিদেশি জাহাজ
যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ অনুদান হবে সীমিত: রুবিও
যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ অনুদান হবে সীমিত: রুবিও
ত্বকের যত্নে আমের খোসা কাজে লাগাবেন যেভাবে
ত্বকের যত্নে আমের খোসা কাজে লাগাবেন যেভাবে
ব্রহ্মপুত্রে নৌকাডুবি: আরও দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার
ব্রহ্মপুত্রে নৌকাডুবি: আরও দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার
সর্বাধিক পঠিত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি
যারা ফেসবুক লাল করেছিল, তাদের জীবন লাল করে দেবে আ.লীগ: পার্থ
যারা ফেসবুক লাল করেছিল, তাদের জীবন লাল করে দেবে আ.লীগ: পার্থ
অবশেষে রিজার্ভে আইএমএফের লক্ষ্য পূরণ হলো
অবশেষে রিজার্ভে আইএমএফের লক্ষ্য পূরণ হলো
ইলিশের দাম নির্ধারণের প্রস্তাবে প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদন
ইলিশের দাম নির্ধারণের প্রস্তাবে প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদন
ক্যাম্পাসে নতুন সভাপতির প্রবেশ ঠেকাতে দুদিন পাঠদান বন্ধ!
ঢাকা সিটি কলেজক্যাম্পাসে নতুন সভাপতির প্রবেশ ঠেকাতে দুদিন পাঠদান বন্ধ!