X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

নিশার সর্প-দর্শন

রহমান সিদ্দিক
৩০ ডিসেম্বর ২০১৯, ১২:০০আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯, ১২:০০

নিশার সর্প-দর্শন

কবি আল মাহমুদ তার আত্মজীবনীতে শিল্প-সাহিত্য চর্চাকে কেউটে সাপের আস্তানা বলেছেন। মেহেরুবা নিশা এই সাপকেই তার কবিতার অনুষঙ্গ করেছেন। এই কবি তার কবিতার জমিনকে এমনভাবে পরিচর্যা করেছেন, যেখানে অলংকারে ঠাসা আগাছা নামক কোনো বাহুল্য নেই। উপমার প্রাবাল্যে কবিতা ভেসে যায়নি। আছে প্রতীকের মর্মভেদী ব্যবহার। নিশার কবিতার স্বর মৃদু, কিন্তু লক্ষ্যভেদী। ঝড়ের ঝাপটার মতো গায়ে এসে লাগে না, হেমন্তের শিশির পড়ার শব্দের মতো অন্তর বিদীর্ণ করে। একটি উদাহরণ দেওয়া যাক—

‘ঢেউ গুনে যেতে যেতে শিখেছি

কীভাবে নদী হয়ে যেতে হয়।

নদীজন্মের পর নিজের মধ্যে ফিরি।

এইখানে আজ হায় আমার গভীরতায়

অগুনতি রঙিন মাছ, মাছের বিস্তার

আর জলজ পদাবলি;

আরও কিছুদিন পর কে জানে, কার প্রোথিত শেকড়

বিদীর্ণ করে যাবে আমার জমানো পলি। (উর্বরা)

নিশার দুই-একটা কবিতা দিয়েই তার কবিতার বিচার করা যেতে পারে। নিশার গ্রন্থিত বেশির ভাগ কবিতাই নিজের সত্তা, তার অহমের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তবে তার সাপবিষয়ক কবিতাগুলো নিয়ে নিরর্থক বাতচিত করার চেষ্টা থাকবে। নিজের ব্যর্থতা স্বীকার করেই বলি, আমি কবিতার নগণ্য পাঠক মাত্র, সমালোচক নই। কান্টের নন্দনতত্ত্বে কবিতা স্বাদ ও বিচারের বিষয়। কবিতাকে বিচারের থেকে স্বাদটুকু চোখ বন্ধ করে নেওয়ার প্রচেষ্টা আমার। আমার অনুভূতির সঙ্গে যেসব কবিতা মিলে যায়, তারই রস আস্বাদন করি।

সেমেটিক সংস্কৃতিতে সাপকে খুব খারাপ প্রাণি হিসেবে দেখা হয়। সেমেটিকদের বাইরের দুনিয়ায় সমস্ত জাতির, ধর্ম, পুরাণ ও সংস্কৃতিতে সাপ পবিত্র প্রতীক রূপেই গণ্য। ইন্দো-ইউরোপীয় সংস্কৃতি থেকে শুরু করে পৃথিবীর সকল সংস্কৃতিতে সাপ উর্বরতা, পুনর্জন্ম ও যৌনতার প্রতীক, কোথাও কোথাও নারীর মর্যাদা ও শক্তির আধার (গ্রিক পুরাণের মেদুসা ও দ্রাকানিয়া)। সেমেটিকরা সাপকে যে ঘৃণা করে, তার কারণ কেনানের (ফিলিস্তিন) অধিষ্ঠাত্রী দেবী ছিলেন সর্পদেবী। বিতাড়িত ইহুদিদের তাদের প্রতিশ্রুতি ভূমি ফিরে পেতে হলে আগে এই সাপকে ধ্বংস করতে হবে। ঈশ্বর বললেন, লেভিয়াথানের (সর্পদেবী) মাথা টুকরো টুকরো করে ভেঙে দাও। (ওল্ড টেস্টামেন্ট, বুক অফ জব)। বুক অফ জেনেসিসে দেখি সাপ প্রলোভন, প্ররোচনা, শয়তানের প্রতীক। মধ্যযুগে এসে ইউরোপের খ্রিস্টান নস্টিক সম্প্রদায়ের মধ্যে সাপ মহিমান্বিত রূপে দেখা যায়। বুক অব জেনেসিসে সাপ যে ইভকে জ্ঞানবৃক্ষের ফল খেতে আহ্বান জানায়, তার ভঙ্গিটা ছিল (?) প্রশ্নের। জ্ঞানের উৎস এই প্রশ্ন থেকেই—এই ফল তুমি খাবে কি-না বলো? প্রশ্ন বলতে এটুকুই। প্রশ্ন থেকেই তো জ্ঞান। নস্টিক বিশ্বাসে সাপ তার লেজ খেতে খেতে বৃত্তের আকার নেয়। এই বৃত্ত প্রজ্ঞার নিদর্শন; জ্ঞানের চূড়ান্ত পরিণতি। কবি নিশাকেও দেখি বৃত্ত আঁকতে; নানা রঙের, নানা বর্ণের।

‘আমি আঁকতে গিয়ে দেখি কেবল একটা ছবিই পারি;

একটা বৃত্ত আঁকতে পারি;

হলুদে-লালে লালে-হলুদে হলুদে-নীলে নীলে-সবুজে

একটা বৃত্ত আঁকি!

বৃত্তের গায়ে কচি লেবুর ঘ্রাণ!

(জ্বরযাপন)

মেহেরুবা নিশার তার কবিতার বই শিরোধার্য করেছেন ‘বিষণ্নতার দ্বাদশ অধ্যায়’ নামে। বারো তো চূড়ান্ত সংখ্যা। বারোতে চক্র বা বৃত্ত পূর্ণ হয়। বিষণ্নতা বারোতে আসা মানে মনের তূরীয় অবস্থা। প্রাচীন জাপানিজ জেন বুদ্ধিস্টের মতে এই অবস্থার নাম ‘কোয়ান’। তাদের প্রতীকও চক্র। কোয়ান মানে সবকিছুতে লীন হয়ে যাওয়া; প্রকৃতি, মন, শরীর, মানুষ, ঈশ্বর সবকিছু একাকার হয়ে যাওয়া। এটাই সত্যের চূড়ান্ত রূপ। পারস্যের সুফি দার্শনিক মনসুর আল হাল্লাজ এই অবস্থায় পৌঁছে যেতে পেরেছেন বলেই বলতে পেরেছেন ‘আমিই সত্য—আনাল হক’। কবি মেহেরুবা নিশা এই বৃত্তই শুধু আঁকেন না, এতে লীনও হয়ে যান। হাল্কাজের যা আমিই সত্য, নিশার কাছে তা কচি লেবুর ঘ্রাণ। সত্য কারো কাছে ঈশ্বর রূপে, কারও কাছে কচি লেবুর ঘ্রাণে ধরা দেয়। একে প্রেমও বলা যেতে পারে। ‘জ্বরযাপন’ কবিতার শেষ দুই পঙক্তিতেই তার ব্যাখ্যা মেলে—‘কে আমারে শরাব বানিয়ে তোলে?/ গিলে খায় এক ঢোকে?

বোদলেয়ারও তার কবিতায় সাপকে এনেছেন। তার সাপ নারীরই প্রতীক, কখনো যৌনতার। সাপের (লা সাপেতঁ কুই ডান্স—নৃত্যরত সাপ) ঝাঁঝালো গন্ধও তার কাছে ফরাসি সৌরভ। সাপকে তিনি সম্বোধন করেন সুন্দরী প্রিয়তম বলে। রেশমের মতো মসৃণ ত্বক তাকে বিমোহিত করে। লা আভাতিজু (শিঙা) কবিতায় মানুষের হৃদয়ের মাঝে বোধ নয়, এক সাপ জন্ম লয়; তার রং আবার হলুদ। মানুষের তো কত বাসনা থাকে। এই হরিদ্রা সাপটির সবকিছুতেই কেবল না আর না। মন কতকিছু চায়, কিন্তু বেটা বিষধর সর্প হিসহিস করে ওঠে, সতর্ক করে দেয়। বোদলেয়ারের এই কবিতা ফ্রয়েডের আনকনশাস বা নির্জ্ঞান মন দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায়। নির্জ্ঞান মনের দুই রূপ—ঈদ এবং সুপার ইগো। এক মনে শয়তানি, আরেকজন খাঁটি ফেরেস্তা। নারী বলি, যৌনতা বলি, সাপ বোদলেয়ারের কবিতায় এসেছে নির্বেদ প্রতীকে—এক নিরুত্তেজ ভাব, একটা যন্ত্রণাময় মানসিক অবস্থা। নিশার কবিতায় সাপ সংবেদ বা সূক্ষ্ম অনুভূতির প্রতীক। বোদলেয়ারের কবিতায় সাপ ম্যাটাফর। নিশার কবিতায় ম্যাটনিমি। এই ম্যাটনিমিতে কবি কখনো বেদেনি, কখনো নিজেই সাপ-সাপিনী। ‘নৈবেদ্য’ কবিতার একটি অংশ:

‘পেখমের ভাঁজে প্রেম লুকিয়ে রাখে বেহুড়া ময়ূর,

সাপুড়ের ডাকে যদিও ভাঙে সাপিনীর ঘুম

মনে পড়ে না তার শেষ কবে এসেছিল শঙ্খলাগা দিন

নেমেছিল শবপোড়ানো রাত, কামুক জ্যোৎস্নায় ভিজে’

‘নৈবেদ্য’ কবিতায় ‘শঙ্খলাগা দিন’, ‘শবপোড়া রাত’ ‘কামুক জ্যোৎস্না’-এ ধরনের ইমেজ নারীর যৌনচেতনার বিক্ষুব্ধ, বিক্ষিপ্ত কান্নার হদিস দেয়। সামগ্রিকভাবে প্রবল হয়ে ওঠে একটা আকুতি। এই আকুতি বা বাসনার পূর্ণতা পাই ‘চমকাতে চাই’ কবিতায়—

‘আমি এই তো দারুণ বাঁচি

সর্পজীবন নিয়ে

নিদ্রাকাতর হয়ে শীতঘুমে যাই...

 

জেগে চমকে তাকাই!

দেখি জাপটে আছে তনু দৃপ্ত ময়াল!

ওরে সঙ্গী আমার! এ কী কম্পনে আজ

আমি জাগছি এখন যেন সুপ্ত সেগুন!

এ কী তুচ্ছ আগুন! কেন গুচ্ছ জীবন

পোড়ে বক্ষতলায়! দূরে ক্রুদ্ধ পাহাড়

যেন দুলছে হঠাৎ...

(চমকাতে চাই)

‘চমকাতে চাই’। চমকানো তো শিহরণের আরেক নাম; সুখের আরেক অভিব্যক্তি। কবি সর্পজীবন নিয়ে বেঁচে আছেন, ভালোভাবেই। এই সর্প সাধারণ সাপই। কিন্তু তাকে ঝাপটে ধরছে দৃপ্ত ময়াল। ময়াল তো অজগর। এখানে তাহলে চলে আসছে ক্ষমতার প্রশ্ন। নিৎশে নারীকে বলেছেন বীরভোগ্যা। নারীর নির্জ্ঞান মনের বাসনা কি তাই নয়? কবি নির্মোহভাবে এই সত্যকেই তুলে ধরেছেন। ফ্রয়েডিও নির্জ্ঞান মনের জগত কেবল স্বপ্নকেই ধরা দেয় না, মুখ ফসকেও আসে। ফ্রয়েড একে বলেছেন স্লিপ অব টাং। ‘চমকাতে চাই’ কবিতায় কবি মুখ ফসকে নারীর বাসনার কথা বলেননি, এটা ইতিহাসেরই আরেক রূপ। ইতিহাস বলতে আমি বাইবেলকেও বুঝি। পরিষ্কার করে বললে আদম-হাওয়া। হাওয়ার সৃষ্টি আদম থেকে। প্রভু আর দাসের সৃষ্টি সেখান থেকে। হেগেলের বিশ্বে প্রভু আর দাস সম্পর্কের নয়, পরিপূরক। একে অপরের প্রতি নির্ভরশীল। দাসের কাজ প্রভুর আনন্দ দান। তার বাসনাকে পরিপুষ্ট করা। এভাবেই চলছে, চলবে। এটাই নিয়তি। নিয়তি! যতি নাই? ফরাসি দেশে হেগেলের ফেরিওয়ালা আলেক্সান্দার কোজেভ অবশ্য বলছেন, একেবারেই যে নেই তা না, যতি আছে, তবে সেটা ইতিহাসের পরিসমাপ্তিতে। তার কথায় মনুষ্যজন্মের পর ইতিহাসের শুরু হয়েছিল সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। সংগ্রাম শেষ হয়েছে দাস-প্রভুর সম্পর্কের মধ্য দিয়ে। তাহলে দাস-প্রভুর সম্পর্ক শেষ হবে কি ইতিহাস শেষ হয়ে গেলে? কোজেভ বললেন, হ্যাঁ তাই। তখন প্রভু নিজে প্রভু হওয়া বন্ধ করে দেবে, দাস নিজে দাস হওয়া পরিত্যাগ করবে।

তারপরও বলব শেষেরও কিছু শেষ থাকে। এর নাম বিশেষ। এই বিশেষে যতদিন নর-নারীর সম্পর্ক আছে, যতদিন প্রেম আছে, ততদিন ক্ষমতার এই প্রশ্নটি এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। মানুষের গুচ্ছ জীবন বৃক্ষতলায় বা বুকের অলিন্দে বা হৃদয়ের কোণে পুড়বেই। কবি আবার এসবকে পাল্টে দিতে চান আগুন হয়ে। পুরাতন কাগজের স্তূপ তো ইতিহাসের ডগমা। এই ডগমা গিলে খেতে চান কবি। চাইলেই কি পারা যায়? জ্ঞানবৃক্ষের ফলমূল তো আগেই ভক্ষণ হয়ে গেছে। নদীর আরেক নাম জ্ঞান নয় কি? ন ও দ= নদ বা নদী, যা জ্ঞান দান করে। আদি পাপ বা আদি জ্ঞান তো প্রাচীন নদীরই আরেক রূপ। ইতিহাসের এমনই এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে কবি অনুভব করেছেন, নিজের অকিঞ্চিৎকরতা ও ব্যর্থতার স্বরূপ। তারই কয়েক ছত্র—     

‘আগুন হতে চেয়ে

গিলে খেতে গিয়েছি পুরাতন কাগজের স্তূপ!

প্রাচীন নদীর ষড়যন্ত্রে

আমাকেই গিলে ফেলেছে জল

যাবতীয় ম্ফুলিঙ্গসহ’

(ব্যর্থতা)

নির্জ্ঞান, জ্ঞান, সাপ, নদী এসবের বন্ধনে চির এক অবিচ্ছেদ্য সংহতি প্রকাশ পায় কবির চরণে চরণে মন ও মনস্বিতায়। কবিতায় ব্যবহৃত এসব শব্দ, চিত্রকল্প, প্রতীক নানা ব্যঞ্জনায় মণ্ডিত। তার সজ্ঞান মন লড়াইয়ে অবতীর্ণ হতে চায়, কিন্তু নির্জ্ঞান মনে তাকে আত্মসমার্পন করতে হয় বারবার। দক্ষ বেদেনি হয়ে গোখরাকে বস মানাতে গিয়ে নিজেই সমর্পিত হন তার আলিঙ্গনে। দংশিত হন। গোখরা প্রতীক তো কবির অন্তর্লোকে সঙ্গোপনে লুকিয়ে থাকা মর্মরিত কামেরই অভিব্যক্তি।

‘গোখরার বিষদাঁত ভাঙতে চেয়ে

এগিয়ে যাই—

অসাবধানতাবশত

গোখরাটাই আমাকে পেঁচিয়ে ফেলে শরীরে,

আর আমি

দক্ষ বেদেনি হয়ে উঠতে গিয়ে

বিষদাঁত ভাঙার আগেই

দংশিত হই, হতেই থাকি...

(পরিপূর্ণ বেদেনি হয়ে উঠতে পারিনি)

কবির মর্মস্পর্শী কামনার আরেক প্রকাশ মেলে তার ‘অভিগ্রস্ত’ কবিতায়। এই কবিতায় কবি আরো খোলামেলা, আরো উদ্দীপ্ত, আরো অনুপ্রাণিত। বিষাক্ত চন্দ্রবোড়ার প্রতি কবির আহ্বান রক্তে যেন বিষ ঢেলে দেয় কঠিনতম কোমলতায়। আগের কতিায় যে অমিমাংসিত আহ্বান ছিল, তা মুক্ত করে বাসনা প্রবল হয়ে উঠেছে ‘অভিগ্রস্ত’তে— 

জলের ভেতর ডুবতে গিয়ে

প্যাঁচ খেয়েছি তোমার গায়ে!

তুমি কি সেই চন্দ্রবোড়া?

খুঁজতে থাকি!

রক্তে আমার বিষ ঢেলে দাও কঠিনতম কোমলতায়—

তোমার বিষে রক্ত ঢেলেই মন ফেরাব আরাধনায়!

(অভিগ্রস্ত)

কাব্যগ্রন্থ : বিষণ্নতার দ্বাদশ অধ্যায়/ প্রথমা প্রকাশন ২০১৯/ প্রচ্ছদ : মাসুক হেলাল/ মূল্য ১৫০ টাকা

//জেডএস//
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ছাত্রলীগের ‘অনুরোধে’ গ্রীষ্মকালীন ছুটি পেছালো রাবি প্রশাসন
ছাত্রলীগের ‘অনুরোধে’ গ্রীষ্মকালীন ছুটি পেছালো রাবি প্রশাসন
সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহত বেড়ে ৯
সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহত বেড়ে ৯
বার্সেলোনার সঙ্গে থাকছেন জাভি!
বার্সেলোনার সঙ্গে থাকছেন জাভি!
চার বছরেও পাল্টায়নি ম্যালেরিয়া পরিস্থিতি, প্রশ্ন নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নিয়ে
চার বছরেও পাল্টায়নি ম্যালেরিয়া পরিস্থিতি, প্রশ্ন নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নিয়ে
সর্বাধিক পঠিত
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন গরম পড়বে
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন গরম পড়বে
ছয় দিনের সফরে ব্যাংকক গেলেন প্রধানমন্ত্রী
ছয় দিনের সফরে ব্যাংকক গেলেন প্রধানমন্ত্রী