চা-ফুল
চিরচেনা তুমি কি অচেনা চা-ফুল,
পাঠ ছাড়া রিভিউ করা পড়া বই?
মনে হয়, মনে গেঁথে থাকা
ঠাকুমা’র ঝুলিতে কিছু মূল্যবান চাঁদের আলো
অথবা কৈশোর!
জীবন এবং জীবিকাকে সমান্তরাল করে
আমরা চা খাই, চা-ফুল চিনি না—
রিভিউ পড়ি, বই পড়ি না—
আমাদের কাছে গেঁথে থাকা রূপকথা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ,
অথবা অর্থহীন!
প্লাস্টিক প্রেম
তুমি কি মাংসের মানুষ, নাকি প্লাস্টিকের?
রবোট সুফিয়াও ভাষা জানে, নাগরিকত্ব পায়!
আর তুমি হারাও মনের মর্যাদা!
সোসাল ডিসটেন্স যখন
মানুষকে অসামাজিক করে দিচ্ছে,
বনের অস্থির হরিণ ছুটে আসছে উঠোনে
আমরা জল ধার করে কাঁদছি, কাঁপছি
তুমি কি ঘুম পাড়ো, ডিম পাড়ো; ডিম ভাজো!
রোম যখন পুড়ছিলো
তখন জনগণ তামশা দেখছিলো!
তুমি কি তাদেরই একজন?
অনন্ত আনন্দ, অনন্ত বেদনা
তুমি আমার পাণ্ডুলিপি, অনন্ত আনন্দ
তোমার ভেতরে আমার উৎসব
তোমার স্তনপান করে
কাঁদি।
শিক্ষকের কড়া স্নেহে
আমাকে শুদ্ধ করে দাও
ঘুমুবো!
পৃথিবীর অনন্ত বেদনা
আমি কাঁদি। ক্লান্ত।
চলে যাবো।
ভারত ছাড়ার গল্প
রেস্টুরেন্টের নো-ম্যানস-ল্যান্ডে টেবিল
তুমি বসে আছো বেলজিয়ামে, আমি নেদারল্যান্ডে
দু’দেশের সীমান্তের মাঝখানে উড়ছে কফির ধোঁয়া
চার পা চুমু খাচ্ছে।
কফি পানের আগে তুমি জল খাবে, আমি পান করবো পানি—
জলপানি রেখে আমরা ভাবতে থাকি—দেশ বিভাগের কথা
জানতে চাই ঢাকা-কলকাতার সম্পর্ক!
দুই ডলারে দুটি পুরনো বই কিনেছি,
তুমি বই নাড়ছো; চার পা চুমু খাচ্ছে
বইয়ের অক্ষরগুলো প্রজাপতি হয়ে উড়ে যাচ্ছে,
ফিরে আসছে; উড়ছে কফির ধোঁয়া...
কলেজস্ট্রিটের ফুটপাত থেকে আমিও বই কিনতাম,
একবার এক ভূতের বই হাতে পাই।
তুমুল বৃষ্টিবর্ষা রাতে বইটি পড়ার পর
দৈত্য ভূত আমাকে অদ্ভূতভাবে ধর্ষণ করেছিলো!
একদিন ভূতকে হত্যা করে ভারতবর্ষ ছেড়ে পালিয়েছি’...