যে নদী কোথাও বহে না
ঘরে আমার বাবার আমলের একটা চিত্র আছে
ব্রিটিশ আমলের ব্রিজের নিচে
বাতাসের মতো পরিষ্কার পানি
রূপালী স্রোতে পালতোলা নৌকা
রঙিন সূর্যের মুখ মেশে গ্রামের পিছনে
বাবা আজ মৃত, ফ্রেমে বন্দী তিস্তা স্বাধীনতা চায়!
খোলা বুকে উল্লসিত বালুর তরঙ্গ
সূর্যের আলোর কী ঝলকানি
মরীচিকা বকদের ক্ষুধার্ত চোখে
দুর্দান্ত নদীর চোখে কালো ছানি!
তিন মাস উপচে পড়ে জলরাশি
মাত্র তিন মাস; ভাসায় ফসল, ঘাট, ভাঙে বাড়ি
চিল ওড়ে আর ঘোরে, নাব্যতা হারিয়ে নদী
নপুংসকের নারীর মতো নামকাওয়াস্তে বহে
উজানে জিঞ্জির পায়, ঋতুর বদল
কত লোককথা, গান
মন ছুটে বারে বার
তবু তিস্তা কোথাও বহে না, সাগরের মতো!
সুন্দর অন্ধকার
আমি চোখ বন্ধ করে মৃত্যু দেখি
ঘণ্টা বেজে ওঠে
সবাই যার যার চেয়ারে
হাসি এবং আড্ডায় ডুবে আছে
এবং তখনও কিছু চিন্তা
কবিতার দিকে মুখ করে
স্ট্রিটলাইটের চারপাশে ঘিরে
জীবনের নাচ দেখে পতঙ্গরা
জানালার বাইরে দূরে, মাঠে
যেখানে— বাতাসের মিছিল
চোখ বন্ধ করে
আমি ফ্ল্যাশব্যাক নয়,
অচেনা এক ঘর দেখেছি
অন্ধকার
চোখ খুলেও দেখি
সুন্দর অন্ধকার!