X
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
৭ বৈশাখ ১৪৩১
শেষ পর্ব

কুসতুনতুনিয়ায় কয়েকদিন

মুহম্মদ মুহসিন
২২ জুলাই ২০২২, ১০:০৭আপডেট : ২২ জুলাই ২০২২, ১০:০৮

পূর্ব প্রকাশের পর

মূলত মসলাবাজার হলেও চা-ও এখানে মসলারই এক অন্যতর সংস্করণ। এখানে হাজারো রকমের মসলা পাওয়া যায় যার নাম ও রকম আমার মগজে কোনোভাবে ধরার নয়। তবে একটি বিষয় লক্ষ করলাম যে, এ দুনিয়ায় এমন কোনো ফুল বা ফল নেই যার নামে এখানে চা পাওয়া যায় না। মনে হলো দুনিয়ার যেকোনো ফুল বা ফলকেই একটু কায়দা করে গুঁড়ো করে আনলেই এখানে তা চা নামে বিক্রি করা যায়। তুরস্ক থেকে ফেরার সময় গ্রান্ড বাজার থেকে এ রকম কিছু চা আমার বড় মেয়ের অনুরোধে নিয়ে এসেছিলাম। দুয়েকটি খেয়ে মনে হয়েছে এগুলোকে চা বললে চা শব্দের আর কোনো অর্থ থাকে না।

মিশরি মসলাবাজার থেকে বের হয়ে আমরা পুরো দিনের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ঠিক করলাম, আমাদের এমন দুটো জ্যাকেট কিনতে হবে যা তুর্কি শীতের জন্য উপযুক্ত। আমরা অনেক ভরসা নিয়ে বাংলাদেশি যে জ্যাকেট নিয়ে এসেছিলাম তুর্কি বাতাস, বৃষ্টি ও ঠান্ডার নিকট তা অসহায়ভাবে আত্মসমর্পণ করেছে। জয়নাল বলল—এ জন্য আমরা শিশলি মেজিদিয়োকোইয়ে জেভাহির মার্কেটে যেতে পারি। রাস্তার পাশের অসংখ্য দোকানে সারি সারি জ্যাকেটের প্রদর্শনী থাকলেও কেন অমন কঠিন নামের মার্কেটে যেতে হবে জানতে চাইলে জয়নাল বলল ওখানে একদামের ব্রান্ডশপগুলো আছে। বাইরে দামাদামি করে এ জিনিস কেনায় বরিশাল্যা ‘বরমা টাক’ কপালে জোটার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে। কেনাকাটা আর দামাদামিতে দেশীয়ভাবে লুসির মোটামুটি নামডাক থাকলেও এই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সেও রাজি হলো জেভাহেরেই যেতে। এ জন্য আমাদেরকে ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের স্টেশন থেকে আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রোতে উঠতে হবে। তড়িঘড়ি করে পৌঁছলাম মেট্রো স্টেশনে কারণ সাড়ে ৯টার মধ্যে সুপার মার্কেটের গেটগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে মেট্রো স্টেশনের ছোট সিঁড়ি দিয়ে নামলাম পাতালের দিকে। প্রথমে হেঁটে পরে লিফট ও ইলেকট্রিকাল সিঁড়িতে ১০ তলা পরিমাণ মাটির নিচে নেমে পেলাম বিশাল মেট্রো স্টেশন। সকালে ট্রামের জন্য যে ইস্তাম্বুল কার্ড কিনেছিলাম তাই মেট্রোতেও সমভাবে প্রযোয্য। ইস্তাম্বুলে এই পাতালরেল চালু হয়েছে ১৯৮৯ সালে। ১৩৬ কিলোমিটার বিস্তৃত পাতাল রেলওয়ে বর্তমানে ইস্তাম্বুলে ১০৭টি স্টেশনকে যুক্ত করছে। এই পাতাল রেলনেটওয়ার্কে ৬৪৭টি ট্রেনে প্রতিদিন গড়ে প্রায় চৌদ্দ লাখ মানুষ যাতায়াত করে।

ইস্তাম্বুল বিশ্বদ্যিালয় স্টেশনের প্লাটফর্মের যে দিকটায় ভিড় কম সেরকমের একটি স্থানে ট্রেনের দরজাচিহ্নিত জায়গায় দাঁড়ালাম অপেক্ষায়। ট্রেন আসলো দাঁড়ানোর সময় পাশে না থাকলেও ট্রেনে ওঠার সময় এক দঙ্গল মেয়েরা এসে আমাদের আগে পরে হুড়োহুড়ি করে ট্রেনে উঠতে গেল। তাদের মধ্যেই ঠেলাগুঁতা খেয়ে ঢুকলাম ট্রেনে। তিন-চারটা খালি সিটের একটি বেঞ্চিতে একমাত্র লুসি বসতে পারল, আর তার দুই পাশে ও সামনে ঐ চঞ্চল মেয়েগুলো দাঁড়িয়ে। পাশে অবশ্য জয়নাল কোনোভাবে দাঁড়াতে পারল। আমি একটু দূরে। মেজিদিয়েকোই যেতে সম্ভবত ১৫-২০ মিনিট লেগে গেল। স্টেশনে নেমে ইলেকট্রিক সিঁড়িতে উপরে উঠতে গিয়ে দেখি লুসিকে ঘিরে সেখানেও আগে পরে ঐ মেয়েদের দঙ্গল। মেয়েরা মেয়েদের পাশে গাঘেঁষে দাঁড়ালেও তো দোষের কিছু বলা যায় না। কিন্তু লুসি অনেকটা গায়ের জোরে সেই ভিড় ঠেলে বেরিয়ে এসে আমার পাশে দাঁড়াল এবং যা বলল তাতে ভয়ে আমার গা কেঁপে উঠল। ঐ মেয়েগুলো ট্রেনের মধ্যে তার গায়ের উপরে কাপড়ের আড়াল তৈরি করে কিংবা অন্য একজন গাঘেঁষে দাঁড়িয়ে তার শরীরের আড়াল তৈরি করে লুসির গলায় ঝোলানো ছোট ব্যাগটির চেইন প্রথমে পুরো খুলে ফেলেছিল। পরে লুসি টের পেয়ে চেইন লাগিয়ে ফেললে মেয়েরা কয়েকবার সেই চেইন পুনরায় খুলতে চেষ্টা করেছে। কিন্তু হয়তো পারেনি। এখন ট্রেন থেকে নেমে ইলেকট্রিক এস্কালোরেও তার গাঘেঁষে দাঁড়িয়ে ঐ চেইন খোলার অ্যাটেম্পট নিয়েছিল। বিদেশ বিভূঁই বলে বিমূঢ় হয়ে ভিনদেশি ভাষায় লুসি চিৎকারও দিতে যায়নি। ব্যাগ থেকে টাকা মানে লিরা ও ডলার নিয়েই ফেলেছে কি না তাও লুসি এখনো নিশ্চিত না। বাংলা ভাষায় এই কাহিনি বলতে বলতেই এস্কালেটর উঠে গেছে উপরের ফ্লোরে। মেয়েগুলো ইতোমধ্যেই ঝামেলার একটু আঁচ পেয়ে এদিক ওদিক ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা যে তখন ব্যাগ খুলে দেখব সকালের ডলার ভাঙানো লিরাগুলো এবং না-ভাঙানো ডলারগুলো ঠিক আছে কিনা তা-ও ওখানে বসে সাহস করলাম না।

স্টেশনের বাহির মুখ অর্থাৎ এক্সিট গেট একেবারে জেভাহির মার্কেটে। মার্কেটে ঢুকে প্রথমেই লুসি ব্যাগ খুলে দেখল লিরা ও ডলারগুলো সবই ঠিকঠাক আছে। লুসি ও আমি দুজনই তখন ঘামছি, আর দোয়া-দরুদ যা মুখে আসছে সব মনে মনে পড়ে যাচ্ছি। পরে জয়নাল জানাল বিশেষ করে ট্রেনগুলোয় এইরকম মেয়ে পকেটমারের উপদ্রব পুরো ইস্তাম্বুলে গত কয়েক বছর ধরে ব্যাপকভাবে বেড়েছে। ভাগ্য ভালো স্টেশনগুলোর ম্যাগনেটিক সিকিউরিটি গেট দিয়ে ঢোকার সময় তারা ব্লেড, ছুরি বা ক্ষুর নিয়ে ঢুকতে পারে না। সেই সুযোগ থাকলে ইস্তাম্বুলের মেট্রোতে পকেটমারের ঘটনা এখন ঢাকার গাবতলী, গুলিস্তান বা সদরঘাটের যেকোনো রেকর্ডকে টপকে যেত। জয়নাল এলেম দিলো ঠিকই কিন্তু সেই এলেম অনুযায়ী ট্রেনে বসে সে আমল করেছিল বলে মনে হলো না।

এই অভিজ্ঞতা অবশ্য জেভাহিরে জ্যাকেট কেনার সময় আমরা কাজে লাগাতে পারলাম। লুসির জন্য আজানুলম্বিত হুডওয়ালা এমন এক জ্যাকেট কেনা হলো যার মধ্যে গলায় ঝোলানো ব্যাগ এমন ভাবে রাখা যাবে যে ঐ ব্যাগের অস্তিত্ব বাইর থেকে পকেটমার দূরে থাক আজাজিল শয়তানের জন্যও জানা সহজ হবে না। আবার জানলেও সেই ব্যাগ পর্যন্ত কোনো পকেটমাররে হাত পৌঁছার সুযোগ থাকবে না, যদি না পকেটমার তাকে অচেতন করে টয়লেটের মধ্যে ঢোকাতে পারে। ফলে লুসির পেছনে আর কোনো পকেটমার ট্রেনে ট্রামে কোথাও আর লাগেনি। একইসাথে একটি জ্যাকেট আমার জন্যও কিনলাম। লুসির জ্যাকেট শীতের জন্য নয় বরং টাকার ব্যাগ হেফাজতের জন্য যথারীতি পরিধান করে মেট্রোতেই আবার ফিরে এলাম ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনে। তখন রাত প্রায় ১১টা। লালোলিতে মুতয়াম মুরাদে ডিনার সেরে হোটেলে যখন পৌঁছলাম তখন বুঝলাম অন্তত বছর খানেকের মধ্যে পাদুখানাকে এত অত্যাচার করার ইতিহাস আর নেই।

এই অত্যাচারের অভিঘাতেই পরের দিন অনেক দেরি হয়ে গেল রাস্তায় নামতে। এ দিনে আমাদের প্রথম গন্তব্য তোপকাপি মিউজিয়াম। তুরস্ক যাওয়ার আয়োজনকালে মুরুব্বিদের কাছে এজাজত নেওয়ার ক্ষেত্রে এই তোপাকাপির প্রসঙ্গটাই একটু জোরেশোরে বলতাম। কারণ, তোপকাপিতে রয়েছে মহানবী (স.)-এর দাঁড়ি, জামা ও আংটি; রয়েছে ফাতেমা (র.) এবং হাসান ও হুসাইনের (র.) জামা; রয়েছে মুসা (আ.) এর লাঠি, ইউসুফ (আ.)-এর পাগড়ি ইত্যাদি সব ঐতিহাসিক পবিত্র বস্তু। এতসব পবিত্র বস্তু দর্শনের জন্য তুরস্ক যাচ্ছি শুনে মুরুব্বিরা অনেক সন্তুষ্ট হতেন এই ভেবে যে, আমি প্রায় হজের মতো পবিত্র এক সফরে যাচ্ছি। তাই সহজেই খালি এজাজত নয়, সাথে দোয়াও জুটে যেত অনেক। মুরুব্বিদের অনেক দোয়ার সেই পবিত্র বস্তুসমূহ দেখতে রওয়ানা হলাম আমাদের সফরের দ্বিতীয় দিনে অর্থাৎ ৫ মার্চ ২০২২ তারিখে।

আগেই বলেছি তোপকাপি প্যালেসের অবস্থান আয়াসোফিয়ার একদম পাশে। ফলে লালেলি থেকে ট্রামে কয়েক মিনিটে পৌঁছে গেলাম সুলতান আহমেদ স্কয়ারে। নেমে হেঁটে যাচ্ছি তোপকাপির দিকে। পথে পড়ে গেল এমন এক পবিত্র স্থান শুধু যাকে দেখতেই একজন ইসলামি ঐতিহ্যের অন্বেষণকারী এই তুরস্কে চলে আসতে পারে বাংলাদেশ, পাকিস্তান বা ভারতের মতো সুদূর কেনো দেশ থেকে। সেই পবিত্র স্থানটি হলো সাহাবি আব্দুর রহমান সামির মাজার। মাজারটি খুব দর্শক পরিকীর্ণ নয়। একজন লোক জিয়ারত করে বের হচ্ছেন। আমাদের আগ্রহ দেখে তিনি ইংরেজিতে বোঝাতে চেষ্টা করলেন সাহাবি কাকে বলে। মনে হলো লোকটা ইউরোপীয় কোনো দেশের। তার দেওয়া সাহাবির পরিচয় মামুলি ধরনের হলেও গুরুত্বের সাথে শুনলাম। এরপরে মাজারের গায়ে লিখিত প্লাকার্ড থেকে জানলাম আব্দুর রহমান সামি ছিলেন কনস্টান্টিনোপাল জয়ের লক্ষ্যে ইসলামি যে কাফেলা প্রথম কনস্টান্টিনোপল অবরোধ করেছিল সেই কাফেলার একজন সদস্য। অনেকদিন অবরোধের পরে কাফেলার অনেকের সাথে নগর প্রহরীদের এক ধরনের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল যার ভিত্তিতে তাঁরা দুয়েকজন নগর প্রাচীরের অভ্যন্তরে মূল দুর্গের বাইরে ঘুরতে যেতে পারতেন। এরকম এক সুযোগে আব্দুর রহমান সামি নগর অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছিলেন এবং সেখানে কনস্টান্টিনোপলের দুর্গের প্রহরীরা তাঁর ওপর আক্রমণ করে এবং তাঁকে হত্যা করে। এভাবে সাহাবি আব্দুর রহমান সামিসহ আরো কয়েকজন কনস্টান্টিনোপালের নগর প্রহরীর মধ্যে শহিদ হন। তাঁদের মধ্যে আব্দুর রহমান সামির কবর শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে বলে তোপকাপি প্যালেসের এত কাছে একজন সাহাবির এমন মাজার রচনা সম্ভবপর হয়েছে। পুরাতাত্ত্বিক বিচারে এটি কতই না অমর এক পবিত্র স্থান। অথচ তোপকাপি প্যালেসের অন্যান্য পবিত্র বস্তুর ভিড়ে এটির নাম এত অনুচ্চারিত যে আমরা এ চত্বরে এই মাজারের কথা আগে জানতামই না। বলা যায় আমরা রীতিমত এটি আবিস্কার করেছি।

এই আবিস্কারের আনন্দ ও পবিত্রতা নিয়ে অগ্রসর হলাম তোপকাপি প্যালেস তথা তোপকাপি মিউজিয়ামের দিকে। তোপকাপি নামের উদ্ভব-ইতিহাস আমরা আগইে বলেছি। এটি ছিল কনস্টান্টিনোপল দুর্গের বহিঃদুয়ার। বায়জান্টাইন সম্রাটের সময়কালে এর নাম ছিল রোমানুস গেট। কনস্টান্টিনোপল বিজয়ী সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মাদ এই গেটে তাঁর ১৮ টন ওজনের তোপ মানে কামান স্থাপন করে তাঁর আক্রমণ শুরু কারায় পরবর্তীতে রোমানুস গেটের পরিবর্তে এর নাম হয়ে যায় তোপকাপি অর্থাৎ কামানের গেট। তোপ মানে কামান, আর কাপি মানে দুয়ার বা দরজা। তোপকাপি মানে কামানের দুয়ার। তবে তোপকাপির এই অর্থ ধীরে ধীরে বিস্তৃত ও ব্যাপকতর হতে থাকে এবং এক সময় তোপকাপি বলতে শুধু এই গেট বা দরজা নয়, বরং এই গেট দিয়ে যে রাজপ্রাসাদে প্রবেশ করা হতো সেই পুরো রাজপ্রাসাদকেই বোঝানো শুরু হয়।

অবশ্য তোপকাপি নাম উদ্ভবের ব্যাখ্যায় একটি ভিন্নতর ভার্সনও রয়েছে। ভিন্ন সেই ভার্সনে বলা হয় যে, সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মাদ কনস্টান্টিনোপল বিজয়ের পরে ১৪৫৯ খ্রিষ্টাব্দে রোমান সম্রাট কনস্টানটাইনের প্যালেসের স্থানে তাঁর রাজপ্রাসাদ বা শাহিমহল নির্মাণের নির্দেশ দেন। তাঁর এই রাজপ্রাসাদের মূল ফটকে তিনি তাঁর কনস্টান্টিনোপল বিজয়ে ব্যবহৃত কয়েকটি কামান স্থাপন করেছিলেন। সেই কামানগুলোর কারণে এই গেটের নাম হয়েছে তোপকাপি এবং পরবর্তীতে গেটের অভ্যন্তরের পুরোপ্রাসাদের নাম হয়ে উঠেছে তোপকাপি প্যালেস। দুই ভার্সনের প্রায় সব কথাই এক। শুধু পার্থক্য হলো, যে-কামানকে ঘিরে এই গেটের নাম এক ভার্সনে বলা হচ্ছে সেই কামান স্থাপন করা হয়েছিল যুদ্ধর সময়ে, এবং অন্য ভার্সন বলে যে, সেই কামান স্থাপিত হয়েছিল যুদ্ধের অনেক পরে শাহিমহল নির্মাণের সময়ে। কামান যে সময়ে স্থাপন করা হোক না কেন, এই কামানের ভিত্তিতে উদ্ভূত নাম তোপকাপি ওসমানীয় সাম্রাজ্যের এই শাহিমহলের নাম হিসেবে ব্যবহৃত হওয়া শুরু হয়েছিল সুলতান প্রথম মাহমুদের সময়কালে (১৭৩০-১৭৫৪)।

দুনিয়া বিখ্যাত এই তোপকাপি গেট থেকে ঢুকলাম তোপকাপি প্যালেস তথা তোপকাপি মিউজিয়ামের প্রথম বহিরাঙ্গনে। পরবর্তীতে গেটের পুরো প্যালেসের নাম তোপকাপি হয়ে গেলে, তোপকাপি গেটের নতুন নাম হয়ে যায় বাবে হুমায়ুন। বাবে হুমায়ুন থেকে বর্তমান তোপকাপি প্যালেসের চার স্তরের চারটি অঙ্গনের মধ্যে শুধু প্রথম স্তরের প্রথম বহিরাঙ্গনে ঢোকা যায়। এ পর্যন্ত ঢুকতে কোনো টিকেট বা পাস বা পয়সা লাগে না।

পর্ব—ছয়

/জেডএস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
মোংলার তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সহসা নামবে না বৃষ্টি
মোংলার তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সহসা নামবে না বৃষ্টি
‘আমি কোনও ছেলেকে বিশ্বাস করতে পারি না’
‘আমি কোনও ছেলেকে বিশ্বাস করতে পারি না’
তাপদাহে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের গাউন পরিধানে শিথিলতা
তাপদাহে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের গাউন পরিধানে শিথিলতা
সারা দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা
সারা দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা
সর্বাধিক পঠিত
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
ইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
ইস্পাহানে হামলাইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
দুর্নীতির অভিযোগ: সাবেক আইজিপি বেনজীরের পাল্টা চ্যালেঞ্জ
দুর্নীতির অভিযোগ: সাবেক আইজিপি বেনজীরের পাল্টা চ্যালেঞ্জ
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
সংঘাত বাড়াতে চায় না ইরান, ইসরায়েলকে জানিয়েছে রাশিয়া
সংঘাত বাড়াতে চায় না ইরান, ইসরায়েলকে জানিয়েছে রাশিয়া