X
সোমবার, ১৭ জুন ২০২৪
৩ আষাঢ় ১৪৩১
উপন্যাস

বিকল্প অর্থনীতি ও গ্রাম্য কায়কারবার

সাজেদুল ইসলাম
২৫ মে ২০২৪, ১১:১৩আপডেট : ২৫ মে ২০২৪, ১১:১৩

 

ভরা বর্ষায় কচা নদীতে জল থই থই করে। মোবারেক মোল্লার চাতালের কূলে পোস্তা করা বাঁধের শরীরে পানি এসে ছলাৎ-ছলাৎ শব্দ তুলে আছড়ে পড়ে রাত্রিদিন। বৃষ্টির শব্দের মত ঢেউয়ের এই শব্দও অবিরাম। নদীর পানি উঠানামায় বিশেষ কোনো হেরফের না থাকায় বর্ষাকালে জোয়ার-ভাটার নিয়ম কার্যকর আছে বলে মনে হয় না। ডাওরের শেষ মাস শ্রাবণে নদী আরো বেসামাল হয়। যেন অরক্ষিত যুবতী সে। আষাঢ়ে গাঙ টইটুম্বুর হলেও শ্রাবণে ভরা গাঙের পানিতে নদীর দুকূল উপচে পড়ে। শ্রাবণ হল নদীগর্ভের পূর্ণতার মাস। শ্রাবণ না এলে নদীর যৌবন নিশ্চিত অপূর্ণ থেকে যেত। নদীর শরীরকে পূর্ণ করলেও শ্রাবণ প্রকৃতি ও প্রাণিকুলের হৃদয়ে তীব্র হাহাকার জাগিয়ে তোলে। গাছপালা যেন অবিরত বৃষ্টির কবল থেকে হাফ ছেড়ে বাঁচতে চায়। মানুষ চায় শুষ্ক পথঘাট, পড়শির সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎ ও উষ্ণ সম্পর্ক। শ্রাবণ অবশ্য মানুষ ও প্রকৃতিকে সম্পর্ক রক্ষার সেই ফুরসত দেয় না। শ্রাবণ এমনকি মানুষকে ওয়াদার খেলাফি করে তোলে। যেন কথা দিয়ে কথা না রাখার মাস শ্রাবণ। যেন কথা হওয়ার কথা ছিল—কথা হল না, যেন দেখা হওয়ার কথা ছিল—দেখা হল না। সব দায় গিয়ে বর্তায় বৃষ্টির কাঁধে। বৃষ্টির তোড়ে পাশাপাশি থাকা স্বামী-স্ত্রীও যেন ক্লান্ত হয়ে ওঠে। রাতের শুরুতে গলাগলি ধরা মানুষ দুটিও শেষরাতে বৃষ্টির যাতনায় পাশ ফিরে শোয়। সারারাত টিনের চালে ঝড়তে থাকা অঝোর বৃষ্টিতে না ঘুমোতে পারে হালের বলদ, না পারে বনের পাখি। ভিজে ঠান্ডা শরীর নিয়ে ভাঙ্গা গলায় ডাকতে থাকে কোকিল। সে ডাক না পৌঁছায় নারী সঙ্গীর কানে না পৌঁছায় মানুষের গৃহে। অথচ মাসকয়েক আগেও কী মধুর সুর বসেছিল তার গলায়। শ্রাবণ মাসেই মনের ভিতর উথাল-পাতাল ঢেউ তুলে বয়ে যায় কচা নদী। বর্ষায় উসকে ওঠা মানব মনের ব্যথা নিরোধের দাওয়াই নিয়ে বয়ে চলে এই নদী। যেন যে সঙ্গীহীনের নিদানের বন্ধু।

তারও আগে বৈশাখে মাঠের ফসল কাটা নিয়ে কৃষিজীবী ঘরে উৎসবের সূচনা হয়। ধানকাটা পরবর্তী মাড়াই ও ঝাড়া-মোছার সেই উৎসব চাতালের গোলায় ধান তুলে দিয়ে মহাজনের কারবারিতে পূর্ণতা নিয়ে আসে। ধাননির্ভর গাঙ্গেয় অর্থনীতি ও ব্যবসায়-বাণিজ্যের প্রবেশ মুখ এই বৈশাখ। এজন্য কৃষক ও কারবারি উভয়েই এই মাসের জন্য পঞ্জিকার দিয়ে চেয়ে অনন্ত অপেক্ষায় থাকে। বৈশাখ এলে আর জিরানোর ফুরসত থাকেনা। সারাবছরের মূল কাজ যেন বৈশাখ থেকে জ্যৈষ্ঠ পর্যন্ত পরিব্যপ্ত। তবে এই বিস্তৃত কর্মকাণ্ডের সমাপ্তি ঘটায় বর্ষা। বৃষ্টি কারবারিদের বহুবিস্তৃত কর্মকাণ্ডকে টিনের চালের অভ্যন্তরে বন্দী করে তোলে। বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠের তীব্র দাবদাহে এতদিন কৃষান ও কৃষাণীর প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়েছিল—ডাওর না এলে সেই প্রাণে শীতল জল তুলে দেওয়ার কেউ তো ছিল না। প্রকৃতির বুঝ পরিষ্কার—সে কাউকে ততটুকু পোড়ায় যতটুকু পুড়বার শক্তি তার আছে। শ্রাবণে সে ততটুকু অশ্রু ঝরায়—মাটির তৃষ্ণা নিবারণে যতটুকু জল প্রয়োজন। তবে জলও যে তৃষ্ণা বাড়াতে পারে তা এই শ্রাবণ না দেখলে অনুমান করা যেত না। এই ঘনঘোর বৃষ্টি দৌলতখানের কারবারি রিংকু আকন অপেক্ষা বাড়িয়েছে। এই অপেক্ষা ব্যবসায়-বাণিজ্যের নয়, নয় দুই কারবারির মাঝে আন্তঃসংযোগের। রিংকুর অপেক্ষা যেন নতুন পথ সন্ধানের। কারবারি ছেড়ে এই বর্ষাকালে ইতিহাস অনুসন্ধানে সে নেমে পড়েছে—কী ছিল বর্ষাকালীন রণনীতিতে। কে কীভাবে রচনা করেছিলে সেই তীক্ষ্ণ প্রেমকাব্য। যে কাব্যের মোহে দিলীপ পালকে এতটা প্রেম দিল বিষ্ণু। যে প্রেমে এখনও ডুবে আছে সে। যে রণনীতিতে রিংকু আকনেরও প্রেমের সূত্র নিহিত। রিংকু স্পষ্টতই বুঝতে পারছে বিষ্ণুকে জয় করতে হলে তাকে এই বর্ষায় বর্ষাকালীন রণনীতিকেই আশ্রয় করতে হবে।

কারবারি পরিবারের সন্তান রিংকু আকন দিনের বেলা বিষ্ণুর সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করে, দেখা করে তাকে আশ্বস্ত করে যে—তুমি কারো কথায় কিছু মনে করবে না, আমি সবকিছু ঠিক ঠিক গুছিয়ে নেব। পরিবার, এই চাতাল, চাতালের লোকজন—সব ঠিক হয়ে যাবে—তোমার অনুকূলে। ঠিক হয়ে যাবে এই বর্ষাকাল। নদীর কূল ও শ্রাবণ ঢল। পরক্ষণে সে বিষ্ণুর চোখ দেখে বুঝতে পারে বিষ্ণু আসলে বলছে যে—লোকের কথায় তার কিছু এসে যায় না। সে আদতে রিংকুকে প্রেমের পরীক্ষায় ফেলেছে। রিংকুর প্রেমের মেনিফেস্টো ও তার আদ্যোপান্ত বিষ্ণুর জানা দরকার। এই প্রেম কি কেবলই এক ধনাঢ্য ব্যবসায়ী পরিবারের উঠতি কারবারির সঙ্গে পতিহীন প্রেয়সীর প্রেম—নাকি—আরো বহুদূর বিস্তৃত এই প্রেমের পথ। রিংকু না বোঝে এইসব রাজনীতির ভাষা না বোঝে প্রেমের ভূতভবিষ্যৎ। সে কেবল প্রেমকেই ভালোবেসেছে। এখন এত সাধনার প্রেম তাকে বিশেষ শ্রেণিতে ফেলেছে। শ্রেণি সংগ্রামে নিরন্তর ঘুরপাক খেতে চলেছে তার ভাগ্য। এতে তার কোনো দায় আছে কি নেই কে বলতে পারে। বিষ্ণুর জটিল চাহনির বিশেষ কি অর্থ আছে রিংকুর কাছে। বিষ্ণুর এই নির্জীব চেয়ে থাকাকে রিংকুর প্রেমের পথকে প্রলম্বিত করার একটি কৌশল হিসেবেই বিবেচনা করা যেতে পারে বটে। দিনের কর্মকাণ্ড শেষে বিষ্ণু চাতাল ছেড়ে চলে গেলে রিংকু নেমে পড়ে বর্ষাকালীন রণনীতির তত্ত্বতালাশে। সে ভান্ডারিয়ার কারবারি মজিদ রাড়ীকে জিজ্ঞেস করল— চাচা, আমাগো বিষ্ণুর স্বামী দিলীপ পালের কি হইছিল। কথা নেই বার্তা নেই সাক্ষাতের শুরুতে এই কথা শুনে অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন মজিদ রাড়ী। সে রিংকু আকনকে জিজ্ঞেস করে, বাবা আপনের মত আমিও এই এলাকার বাসিন্দা না, দূর-দ্যাশ থেইকা কারবারি করতে আইছি। অত কি ভালো জানি। এই বলে সে রিংকু আকনের মুখের দিকে তাকালো। বৃষ্টির সন্ধ্যায় হারিকেনের আলো-অন্ধকারে রিংকুর হৃদয়ের অভিব্যক্তি ঠাহর হলোনা তার চোখে। তবে কাঁধ পর্যন্ত রিংকুর সরু চুল, সুদর্শন অবয়ব ও শরীরের ফর্সা রং যেন বিদ্যুতের চমকের মত ঝলকে উঠল। চাতালজুড়ে যে তাকে নিয়ে রাজ্যের কানাঘুঁষা চলছে তাতে এতটুকু পিছপা হয়নি সে, এতটুকু ম্লান হয়নি তার সুরত।

সে পুনরায় বলল, এসব কতা ভাল কইবার পারবো আমাগো বাবরজান মোল্লা। হুনছি হে নিজেও এইসব ঘটনাচক্রের লগে জড়িত আছিল। রিংকু এবার বলল, চাচা, হেইকতা আমিও শুনছি। তয়, আপনেও অনেককিছু জানেন, হেইকতা মিথ্যা না। রিংকু আকনের এই কথা শুনে মজিদ রাড়ী বুঝতে পারল, সে প্রাথমিক সন্ধান নিয়েই তবে তার কাছে এসেছে। সে রিংকুর কথায় হা-না কিছু বলল না। রিংকু বলল, চাচা, আমি হুনছি, বিপ্লবের কালে আপনি মেলা লোকরে প্রশ্রয় দিছেন। নিজের বাড়ির পাশের জঙ্গলে আশ্রয় দিছেন। রিংকু এই কথা শুনে মজিদ রাড়ী বুঝতে পারল, রিংকু যা শুনেছে তা সঠিক তবে অতিরঞ্জিত। সে এসব নিয়ে কোনো আলাপে যেতে চাইল না, কেবল বলল, দেখেন বাবা, আমি দিলীপ পালরে চিনি না। যা হুনছি এই চাতালে আইয়াই হুনছি। রিংকু দেখল, প্রবীণ কারবারি মজিদ রাড়ী কোনো কিছু অস্বীকার করেনি। তার কাছে বর্ষাকালীন রণনীতি ও দিলীপ পাল—উভয়েরই খবর পাওয়া যাবে। সে বলল, বর্ষাকালীন রণনীতি কী? ডাওরে কি অইছিল? হেইবার। মজিদ রাড়ী রিংকু আকনের কাঁধে হাত দিয়ে ধীরে চাপ প্রয়োগ করল। যেন সে তাকে বসতে বলল। এতক্ষণ দাঁড়িয়ে কথা বলতে থাকা দুজনে এবার মেঝেতে বিছানো কার্পেটে বসল। কার্পেটের শরীরজুড়ে লতাপাতা উৎকীর্ণ। একটি লতা গিয়ে আরেকটি লতার সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে। যেন এই লতাপাতার শুরু ও শেষ অনুসন্ধান করে শেষ করা যায় না। নকশাকার কোথা থেকে শুরু করে কোথায় নিয়ে শেষ বিন্দু এঁকেছেন বোঝা যায় না। খুঁজতে খুঁজতে দু-চোখ ক্লান্ত হয়ে যাবে, তারপরও ওপাশ থেকে আরেকটি কঁচিপাতা উঁকি দিয়ে উঠবে নকশায়। অনিঃশেষ এক কৌশলে নির্মিত এই কার্পেট। তার প্রতিটি লতা, প্রতিটি পাতা। কার্পেটের মাঝখানে বড় চিমনির ভিতরে হারিকেন জ্বলছে। সলতে থেকে লাল আলো উপরে উঠে কালো ধোয়া উগরে দিচ্ছে ক্রমাগত। বৃষ্টির সুবাসের সঙ্গে হারিকেনের এই মারদাঙ্গা আগুন মিলেমিশে নয়া এক সুঘ্রাণ বয়ে এনেছে ঘরে। এই প্রথম মজিদ রাড়ীর চোখে রিংকুকে কেমন ক্লান্ত দেখাল। মনে হল সে কিছু একটা খুঁজে খুঁজে অশান্ত হয়ে উঠেছে। এক অজানা গন্তব্য তাকে কাতর করে তুলেছে আজকাল। তাকে পোষ মানানো যাবে না।

মজিদ রাড়ী বলল, বাবা হোনেন, এইবার যেমন বৃষ্টি তেমন জনমের বৃষ্টির কালে একদল মানুষ বিপ্লব করব বইলা নাইমা পড়ছিল। তারা হগলে বয়সে আপনের মত তরুণ। কেউ কেউ শিক্ষিত, কলেজে পড়া। প্রত্যেকের রক্তে আগুন। কোমরে স্টেনগান। সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে তাগো চলাচল। পুলিশ আর সরকারি লোক যদি চলে ডালে ডালে তারা চলে পাতায় পাতায়। গোয়েন্দারা যদি চলত পাতায় পাতায়, তারা চলত শিরায় শিরায়। তারা চলাচলের জন্য হেইসব পথঘাট বাইছা নিল যে পথে লোকজনের স্বাভাবিক চলাচল নাই। তারা হেইসব এলাকায় ঘাঁটি তৈয়ার করছিল, যে স্থানে, বর্ষাকালে মানুষ তো ভাল, বনের পশুও যায় না। হেইসব স্থানে থাইকা তারা দিনের পর দিন পরশিক্ষণ নিছে। সময়মতো গাঙ্গে ডুব দিছে। সময় অইলে ভাইসা উঠছে। ডুবসাঁতারের বিরাট কৌশল জানত তারা।

মজিদ রাড়ীর বর্ণনায় রিংকুর সম্মুখে বৃষ্টি, বর্ষাকাল ও বিপ্লবী অভিযান পর্বের এক অভূতপূর্ব ছবি ভেসে উঠল। ভেসে উঠল নদী, শিরা-উপশিরার মত আঁকাবাঁকা খাল ও বিপুল জলরাশি। ছোট-বড় সেসব খালের দুইধারে সবুজ পেয়ারাবাগান। গাছগুলো খালের কোলে ফলভারে নুয়ে পড়ে জলের সঙ্গে গলাগলি খেলছে। বৃষ্টির তোড়ে কচকচে সবুজ পেয়ারা হালকা বরণ হয়ে উঠেছে। একদল তরুণ সৈনিক সেই খালের ভিতর দিয়ে কখনো তালের ডোঙায় বা কখনো জলে ভেসে চলাচল করছে। অভিযানের বর্ণনা শুনে সে একদল তরুণ বিপ্লবীকে চোখের সামনে দেখতে পেল। দেখতে পেল প্রথম মিলনের উত্তেজনার মত বিপ্লবের প্রস্তুতি।

বিপ্লবের কি হল তাইলে? রণনীতির প্রশিক্ষণ সম্পর্কে জানার পরে মজিদ রাড়ীকে এবার জিজ্ঞেস করল রিংকু আকন। মজিদ রাড়ী বলল, পরশিক্ষণ নিয়ে তারা আর বিলম্ব করে নাই। জোতদার আর জুলুমবাজির বিরুদ্ধে তারা ট্রুপস নামাইছে। পেয়ারাবাগান থেইকা ট্রুপস ছড়ায়ে পড়ল সারা দ্যাশে। দক্ষিণ থেইকা পশ্চিমে গেল তারা। পশ্চিম থেইক্যা উত্তরে।


চলবে

 

/জেড-এস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
জাপান যাওয়ার পথে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর বিমান ভেঙে পড়েছে
জাপান যাওয়ার পথে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর বিমান ভেঙে পড়েছে
নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানি: ডিএনসিসির উদ্যোগে সাড়া দেয়নি এলাকাবাসী
নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানি: ডিএনসিসির উদ্যোগে সাড়া দেয়নি এলাকাবাসী
ঈদে বাড়ি যাওয়ার পথে খুন হলেন কাশিমপুর কারাগারের কর্মকর্তা
ঈদে বাড়ি যাওয়ার পথে খুন হলেন কাশিমপুর কারাগারের কর্মকর্তা
২৪ বছরের আক্ষেপ নিয়ে ইউরো মিশনে ফ্রান্স
২৪ বছরের আক্ষেপ নিয়ে ইউরো মিশনে ফ্রান্স
সর্বাধিক পঠিত
পারমাণবিক কর্মসূচি বৃদ্ধি নিয়ে জি-৭ এর বিবৃতির জবাবে যা বললো ইরান
পারমাণবিক কর্মসূচি বৃদ্ধি নিয়ে জি-৭ এর বিবৃতির জবাবে যা বললো ইরান
গাজায় কৌশলগত বিরতি ঘোষণা ইসরায়েলের
গাজায় কৌশলগত বিরতি ঘোষণা ইসরায়েলের
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ: শান্তি সম্মেলন শেষে চূড়ান্ত ঘোষণায় যা বললো সুইজারল্যান্ড
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ: শান্তি সম্মেলন শেষে চূড়ান্ত ঘোষণায় যা বললো সুইজারল্যান্ড
ছাগলেই স্বস্তি!
ছাগলেই স্বস্তি!
নেপালকে হারিয়ে সুপার এইটে বাংলাদেশ
নেপালকে হারিয়ে সুপার এইটে বাংলাদেশ