X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

একজন ঝড়ু বয়াতির নিরুদ্দেশ

বাদশা ওয়াজেদ আলী
২২ মে ২০২২, ১৮:৫৭আপডেট : ২২ মে ২০২২, ১৮:৫৭

রঘুনাথপুর আর পদ্মনগর গ্রামের ঠিক মাঝামাঝি যে সদর রাস্তাটা ভবিতপুরের দিকে চলে গেল, তার শেষ বাঁকটাতে ঝড়ু বয়াতির জন্ম হয়েছিল। তার জন্মের এক বছরের মাথায় সে পিতাকে হারায়। ঝড়ুর মা পাড়ায় ঝিয়ের কাজ করে সংসার চালাচ্ছিল; কিন্তু যক্ষ্মা রোগের কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। তিন বছর বয়সের ঝড়ুকে রেখে না ফেরার দেশে চলে গেল। ঝড়ুর দূর সম্পর্কের এক খালা ঝড়ুর মায়ের মৃত্যুর সময় তার কাছে ছিল। সে-ই ঝড়ুকে সঙ্গে নিয়ে যায়। ঝড়ু প্রতিবেশীদের মন থেকে একসময় হারিয়ে যায়। বছরের পর বছর চলে গেল। দরিদ্র খালার বাড়িতে ঝড়ু বেঁচে আছে, না মরে গেল, সেটা কেউ জানে না।

ফাল্গুন মাসের প্রথমদিক। দক্ষিণপাড়ার বাহার মেম্বরের বাড়ি গাজীর গানের দল এসেছে। আর কদিন পর কৃষকদের ঘরে চৈতালি ফসল ছোলা, মশুরি আর যব, গমের সম্ভার উঠবে। গত বছর অতিবৃষ্টির কারণে ভালো ফসল হয়নি। ঘরে ঘরে দুঃখের কালো মেঘ ছিল। এবার আশার আলো দেখছে কৃষকেরা। গাজীর গানের দল আসাতে পুরো গ্রাম জুড়ে খুশির জোয়ার। সন্ধ্যার পর লোকজন বাহার মেম্বরের কাচারি ঘরে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। জটলা করে বিভিন্ন আলোচনা হচ্ছে।

: আরে বিলাত আলি, আমাগের গিরামের সেই ঝড়ু নাকি এই দলে ছুকড়ি হয়েছে?

: হ চাচা, কী যে সোন্দর হয়েছে! আমাগের চাচিরা ফেল মারে যাবে। বিলাত আলি মিটমিট করে হাসতে থাকে।

: বিলাত আলি, তোর ফচকেমো গেল না। এত তুলনার দরকার কী বাপু? ঝড়ু যে বাঁচে আছে, সিডাই কতা।

আজ রাতে প্রথম পালা। বাহার মেম্বারের কাচারি ঘরের মুলি বাঁশের বেড়ার ফাঁকে ফাঁকে চোখ মেলে তাকিয়ে আছে যুবক আর উৎসাহী বুড়োদের কেউ কেউ। ঘরের ভেতরে হ্যাজাক লাইটের আলোয় দলের অভিনেতারা রং পাউডার দিয়ে নিজেদের সাজাচ্ছে। প্রত্যেকের হাতে ছোট ছোট আয়না ধরে আছে নিজের মেকআপ দেখার জন্য। ঝড়ু এখনও কিশোর। ওর দৈহিক গঠন সুন্দর। শাড়ি পরার আগে ব্লাউজ পরতে হবে। এবার বেড়ার বাইরের যুবক-বুড়োরা নিজেদের চোখ কচলিয়ে নিল। ঝড়ু সহজ ভঙ্গিতে হ্যাজাকের আলো বাঁচিয়ে দ্রুত ব্লাউজ, পেটিকোট পরে নিল। বাইরে একসঙ্গে সবাই শব্দ করে উঠল-ইস্। ইট্টু কুনাকুনি থাকলিই দেখতি পারতাম!

কাচারির বাইরের উঠানে বিশাল সামিয়ানা। লোকজন গিজগিজ করছে। রাস্তার পাশে চা-পানের দোকান বসেছে বেশ কটি। গান শুরু হলো ঝড়ুর ড্যান্স দিয়ে। ও স্টেজে কোমর দুলিয়ে একপাক নাচ দিয়ে দুহাত উঁচু করে গান শুরু করল-আমি রুপনগরের রাজ কন্যা...

দর্শকদের মধ্যে থেকে ডাক আসতে থাকল।

৫ টাকা। ১০ টাকা। এক দর্শক একবারে ২০ টাকা বলে হাঁক দিলো। ঝড়ু স্টেজ থেকে নেমে দর্শকের সামনে তার দেয়া ২০ টাকা হতে নিয়ে নাচতে লাগল। এটাই গাজীর গানের নিয়ম। লোকজন চিৎকার, শীৎকার, শিষ দিতে লাগল। এখানেই ঝড়ুর আবেদন। প্রায় সাত দিন পদ্মনগর গ্রামে গাজীর গান চলল। তারপর দূরে কোথাও বায়না নিয়ে দল চলে গেল। চলে গেল ঝড়ু। গ্রামের লোকজন ঝড়ুর বাপের ভিটেয় ঘর বাঁধতে বলেছিল। ঝড়ুর মন চায় না। দল তাকে পাগল করেছে। এত আনন্দ তাকে কেউ দিতে পারবে না। তাকে ছাড়া দলও চলে না। ম্যানেজারের কাছে সেই কারণে ঝড়ুর দাম বেশি। আলতাফ ম্যানেজারের জীবনও গাজীর গানের কোনো চরিত্রের মতো। গানপাগল মানুষটি তার স্ত্রীর মৃত্যুর পর আর বিয়ে করেনি। আলতাফ ম্যানেজারের মা শিশুকন্যা জুলেখাকে মাতৃস্নেহে আগলে রাখে। কারণ, বছরে শীতের তিন-চার মাস ম্যানেজার বাড়ি ফেরে না। দূর-দূরান্তের গ্রামগুলোতে গানের পালা চলে। বাকি প্রায় আট মাস ম্যানেজার গানের নতুন পালা রচনা করে। আর্টিস্টদের ট্রেনিং দেয়। বেতন দেয়।

একজন ভিক্ষুক মহিলার সঙ্গে ঝড়ুকে দেখে মায়া হয় তার। অসহায় ঝড়ুকে নিজের বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছিল ম্যানেজার। ঝড়ুর জীবন আনন্দেই কাটছিল। নিজে কোনো বেতন নেয় না। সবকিছু দেখে তার ম্যানেজার। ঘরের বারান্দায় পাটি পেড়ে ম্যানেজার, ঝড়ু, খাদিজা খেতে বসে। সংসারের আলাপ হয়। নতুন পালার কথা হয়। সময় প্রকৃতির ওপর ভর করে তরতর করে এগিয়ে যায়। কুমার নদীর পানি একসময় হ্রাস পেতে থাকে।

শ্যাওলার কুণ্ড গজিয়ে ওঠে। তিরতির করে স্রোতধারা ক্ষীণ হয়ে যায়। প্রমত্ত কুমার বলে আর এখন অনুমান করা যায় না। ঝড়ুর জীবনধারায়ও গভীর পরিবর্তন হয়। শ্যাওলার পাতাগুলো যেন অক্টোপাসের মতো ঝড়ুকে গিলে খেতে চাচ্ছে। ঝড়ুর দায়িত্ব বেড়েছে। কিশোর বয়স ঝেড়ে ফেলে দায়িত্ববান যুবক হয়েছে। ম্যানেজারের শরীর ভালো থাকে না। ঝড়ু ম্যানেজারের দায়িত্ব ভালোভাবেই পালন করতে পারে। এ বছর গানের সিজনে আলতাফ ম্যানেজার বাড়ি থেকেই বের হতে পারেনি। বিছানা নিতে হযেছে। জুলেখা গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের লেখাপড়া শেষ করেছিল বটে, হাইস্কুলে যাওয়া হয়নি। দূরের হাই স্কুলে আলতাফ ম্যানেজার পাঠাতে রাজি হয়নি। বাড়িতেই থাকে। বাবার যত্ন নেয়। অসুধ খাওয়ায়। আর ঝড়ুর সঙ্গে গাছপালা, সবজির খেতে কাজ করে। ম্যানেজার দূর থেকে দেখে। জুলেখা বড় হয়েছে। জুলেখাকে কাছে ডেকে নেয়। চোখের দিকে তাকিয়ে থাকে। ম্যানেজারের চোখ অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়ে।

: বাবা, কানতিছ ক্যান? শরীলডা খারাপ?

: না না, ভাবতাছি। মা মরা মেয়েটা আমার কত বড় হয়ে গেল। তোর মা বাঁচে থাকলি, কী যে খুশি হতো!

: মারে তো আমি দেকিনি। মনে নেই। তুমিই আমার মা। তুমিই আমার বাপ। জুলেখা বাবার গলা জড়িয়ে ধরে। দূরে দাড়িয়ে ঝড়ু দেখতে থাকে। ঝড়ুর চোখ জলে ভরে যায়। তার নিজের বাবা মা দেখতে কেমন ছিল, সে জানে না। ম্যানেজারের মুখের ছায়াতে নিজের অদেখা বাবার মুখখানা বসিয়ে দেয়। সেদিন জুলেখা মায়ের তুলে রাখা লাল পাড়ের শাড়ি পরেছে। দাদি চুলে খোঁপা বেঁধে দিয়েছে। হাতে কাচের চুরি পরেছে। কাঁচা হলুদের মতো রাঙা মুখখানা বারবার আয়নায় দেখতে থাকে। দৌড়াতে দৌড়াতে ঝড়ুর ঘরে যায়।

: বয়াতি, আমারে ক্যামন দেকা যাচ্ছে কও তো দেখি! জুলেখা মাথার ওপর ঘোমটা টেনে উত্তরের অপেক্ষায় থাকে।

: আমি বয়াতিমানুষ। মেয়েমানুষের দিকি তাকিয়ে কিছু বুঝিনে। আমি শুধু নয়া গান বানাতি পারি-তয়, তুমারে খুব সোন্দর লাগছে দেখতি। মনে হচ্ছে আনকুরা বউ। একন আমারি ইট্টু কাজ করতি দেও। ঝড়ু নিস্তার পেতে চায়।

: বয়াতি, আমার শাড়িটা ইট্টু উচো করে ধরো। এবার কুচি দিয়ে দেও। কুচি খুলে গ্যাছে।

: ঠিক আছে। এদিকে ঘুরে দাঁড়াও। কথা বলতে বলতে ঝড়ু অভিজ্ঞ হাতে শাড়িতে ভাঁজ দিতে থাকে। ঝড়ু চমকে ওঠে। শরীরের মধ্যে শিহরণ খেলে যায়। শাড়িতে ভাঁজ দেয়া ঠিকমতো শেষ করতে পারে না। জুলেখা হেসে ওঠে। কিছু একটা বলতে গিয়েও বলতে পারে না ঝড়ু। জুলেখার মুখখানা দুহাতে তুলে ধরে বার দুয়েক দেখে নেয়।

: কী দেকতিছ গো, বয়াতি? সামনের মাসেই তো দল নিয়ে চলে যাবা। কত গাঁ, গেরামে তোমার চলাচল। তোমার গানে কত মানুষ কান্দে। সেই মানুষেরে রাইখে আবার অন্য গিরামে যায়ে আসর বান্দো। তুমি হইলে পক্কি। গাছ থেইকে উড়াল দিলে আর সেই গাছে ফেরো না। তুমি বোশেক মাসের ম্যাঘ। আমি ছুঁতি পারিনে। জুলেখা দ্রুত নিঃশ্বাস নিতে নিতে কথাগুলো বলে যায়।

: হ, তুমার কতাডা ঠিক আছে, জুলেখা। আমি স্বপনে দেকিছি, একটা ঝড়ের মদ্দি পড়িছি। আমার পাকনা ভাঙে গ্যাছে। আমি আর উড়তি পারছি না। ঝড়ুর চোখ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে।

: পক্কিরে আমি বুকের মদ্দি রাইখে দিব। উড়তি দেব না। আব্বারে আমি নিজিই কব। আমি ঝড়ু বয়াতিরে চাই। আমার আব্বা আমার কতা ফেলতি পারবে না। আব্বা তো তুমারেও ভালোবাসে। ঝড়ু বয়াতি চুপ করে থাকে। বুঝতে পারে ঝড়ের আর দেরি নেই।

আলতাফ ম্যানেজার তাকে মানুষ করেছে। বয়াতি বানিয়েছে। তার সঙ্গে নিমকহারামি কীভাবে করবে। বয়াতির কোনো ভালোবাসা থাকে না। থাকতে নেই।

কার্তিক মাস আসতে না আসতেই আলতাফ ম্যানেজার দল নিয়ে বায়নাবাড়ি যেতে তাগাদা দেয়। দলের অন্য শিল্পীরা চলে এসেছে। কয়দিন রিহার্সালের পর ঝড়ু বয়াতি ম্যানেজার হিসাব সব গুছিয়ে নেয়। প্রথমেই হরিশপুর গ্রামে গানের আসর। আলতাফ ম্যানেজারকে একে একে পায়ে সালাম করে বেরিয়ে যাচ্ছে। ঝড়ুও সালাম করে বের হলো। সে দেখল জুলেখা রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে আছে। জুলেখা কোনো কথা বলল না। ঝড়ু বয়াতি হেরে গেল। জুলেখার মুখের দিকে একবার চেয়ে আকাশের দিকে তাকাল। হয়তো কোনো বিশ্বাসের কাছে নিজের ভালোবাসাকে সঁপে দিলো। কার্তিকের আকাশে তখন ছেঁড়া ছেঁড়া মেঘ জমতে শুরু করেছে। অথই নীরবতার ভাষা হারিয়ে গেল দুজনের মাঝে।

আলতাফ ম্যানেজারের কাছে তার মেয়ের জন্য একটা সম্বন্ধ এসেছিল মাসখানেক আগে। জোড়াদহ গ্রামের বনেদি পরিবার। ছেলে স্থানীয় বাজারে ধান-চালের কলের মালিক। ম্যানেজার সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। মেয়ের বয়সের কথা ভেবে চুপ ছিল। তবে, এক আজানা শঙ্কায় তার ভয় হচ্ছিল। সেই ভয় তাড়াতে বিয়ের সম্বন্ধে সে রাজি হয়েছে। জুলেখার কানে কথাটা তার দাদি তুলেছিল। তবে, উত্তর পায়নি। জুলেখা শুধু কেঁদেছে।

হরিশপুরে ঝড়ু বয়াতির গানের দলের আজ শেষ পালা। তারপর অন্য গ্রামে যাওয়ার কথা। সূর্য ডুবেছে অনেক আগেই। তবে, লাল আভা এখনও রয়েছে। জুলেখাদের গ্রাম থেকে দলের একজন লোক এসে বয়াতিকে জানাল, আজ রাতে জুলেখার বিয়ে। সূর্যের লাল আভা মিলিয়ে গেল। আঁধারে ঢেকে গেল ঝড়ুর পৃথিবী। সেই আঁধারে জুলেখার মুখখানা শত চেষ্টা করেও সে দেখতে পেল না। ঝড়ু এক ডানাভাঙা পাখি। উড়তে পারল না।

হ্যাজাক জ্বালানো হয়েছে। শিল্পীরা তাদের প্রস্তুতি নিতে শুরু করল। লোকজন আসছে দলে দলে। ঝড়ু শান্তভাবে মেকআপ রুমে প্রবেশ করল। নিজের কাঁধে ঝোলানো চটের ব্যাগটা হাতে নিল। সঙ্গীদের কিছু পরামর্শ দিলো।

: তোরা আজকের রাতটা চালিয়ে নে। মিরাজ ভাই, তুমি সিনিয়র শিল্পী। হিসাবপত্র সবই এই খাতার মদ্দি আছে। তুমি সবদিক দেখপা। আমি আসছি। ব্যাগটা কাঁধে ফেলে বেরিয়ে গেল ঝড়ু। ঝড়ু বয়াতি আর ফিরে আসেনি। সে কোথায় গেল, কেউ সেটা জানে না। তারপর থেকে বয়াতিকে কেউ কোথাও দেখেনি। পৃথিবীর কত পাখি নিরুদ্দেশ হয়। হিসাব কেউ রাখে না। প্রয়োজন হয় না। একজন সামান্য ঝড়ু বয়াতি নিরুদ্দেশ হলে পৃথিবীর কিছু যায় আসে না।

সৌজন্যে : গপ্পো

/জেডএস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
রেলক্রসিংয়ে রিকশায় ট্রেনের ধাক্কা, বাবার মৃত্যু মেয়ে হাসপাতালে
রেলক্রসিংয়ে রিকশায় ট্রেনের ধাক্কা, বাবার মৃত্যু মেয়ে হাসপাতালে
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের পুরস্কার পেলেন কুবির চার শিক্ষার্থী
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের পুরস্কার পেলেন কুবির চার শিক্ষার্থী
গরমে বেড়েছে অসুখ, ধারণক্ষমতার তিন গুণ বেশি রোগী হাসপাতালে
ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগরমে বেড়েছে অসুখ, ধারণক্ষমতার তিন গুণ বেশি রোগী হাসপাতালে
টিভিতে আজকের খেলা (১৯ এপ্রিল, ২০২৪)
টিভিতে আজকের খেলা (১৯ এপ্রিল, ২০২৪)
সর্বাধিক পঠিত
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ নিয়ে জাতিসংঘে ভোট
ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ নিয়ে জাতিসংঘে ভোট
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
পিএসসির সদস্য ড. প্রদীপ কুমারকে শপথ করালেন প্রধান বিচারপতি
পিএসসির সদস্য ড. প্রদীপ কুমারকে শপথ করালেন প্রধান বিচারপতি
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন