X
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
১৫ বৈশাখ ১৪৩১

সাবিরুলের অন্তিম যাত্রা

সালাহ উদ্দিন মাহমুদ
০৭ মার্চ ২০২৪, ১১:১০আপডেট : ০৭ মার্চ ২০২৪, ১১:১০

সাবিরুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন, তিনি আত্মহত্যাই করবেন।

তার যুক্তি মন্দ নয়। কারণ হিসেবেও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। আত্মহত্যা করার জন্য যতটুকু গুরুত্ব থাকা দরকার, সবই তার জীবনে বিদ্যমান।
এক সিদ্ধান্তেই স্থির করলেন, পাহাড়ের ওপর থেকে লাফ দিয়ে জীবন বিসর্জন দেবেন। নিচে পড়তে পড়তে জীবনের অন্তিম সময়টা ফুরফুরে হাওয়ার স্পর্শে কাটাবেন। পরদিন পত্রিকার শিরোনাম হবে, ‘পাহাড় থেকে পা পিছলে পড়ে পর্যটকের মৃত্য’। বা অন্য যে কোনো শিরোনাম হতে পারে। অনলাইন পোর্টালগুলো আরও রসিয়ে শিরোনাম করবে। ‘যেভাবে মারা গেলেন সাবিরুল’, ‘সাবিরুল কি আত্মহত্যা করেছেন?’ বা ‘সাবিরুল কেন আত্মহত্যা করলেন?’ প্রভৃতি হতে পারে।

আত্মহত্যার জন্য বান্দরবান ভালো জায়গা। অনেক দিনের ইচ্ছাও ছিল তার। নীলাচলে দাঁড়িয়ে আকাশ দেখবেন। মেঘের জলে হাত ভেজাবেন। তাই বান্দরবানকেই বেছে নিলেন। তবে বান্দরবান যাওয়ার আগে কিছু কাছ শেষ করতে হবে। ফলে মহাব্যস্ত সাবিরুল। ছুটে চললেন প্রেমিকার কাছ থেকে বিদায় নিতে। বাড়ির গেটে ধরলেন নারগিছের বাবা। এই নারগিছ হচ্ছে সাবিরুলের প্রেমিকা। নারগিছের বাবা মানে প্রেমিকার বাবা। সাবিরুলকে থামিয়ে তিনি বললেন—

কোথায় যাচ্ছো হন্তদন্ত হয়ে?

আপনার মেয়ের কাছে।

তা তো বুঝতেই পারছি। তুমি এখানে আমার বা নারগিছের মায়ের কাছে আসো নাই, সেটুকু বোঝার বুদ্ধি আমার আছে।

তাহলে জানতে চাইলেন কেন?

মেয়ের বাবা হিসেবে জানতে চাওয়াটা কর্তব্য বা অধিকার বলতে পারো।

তবে প্রেমিক হিসেবে আমারও অধিকার আছে আত্মহত্যা করার আগে অনুমতি নেওয়ার।

কে আত্মহত্যা করছে? নারগিছ? বলো কী?

আরে নাহ্। নারগিছ কেন আত্মহত্যা করবে? সেই সাহস কি ওর আছে? তাহলে কবেই আমার হাত ধরে পালিয়ে যেত। কারণ আমার হাত ধরে পালিয়ে যাওয়া তো আত্মহত্যারই শামিল।

তাহলে কে আত্মহত্যা করছে? ভণিতা বাদ দিয়ে সোজা করে বলো।

আমি আত্মহত্যা করব। বেকার জীবনে আপনাদের বোঝা হয়ে থাকতে চাই না।

উত্তম সিদ্ধান্ত। আমি দোয়া করে দিলাম, তুমি অন্তত এই কাজটাতে কামিয়াব হও।

জি, দোয়া করবেন। বলেই নারগিছের বাবার পায়ে হাত দিয়ে সালাম করলেন সাবিরুল।

বাড়ির গেট পেরিয়ে উঠানে দাঁড়িয়ে ডাকলেন সাবিরুল—

নারগিছ, নারগিছ, বাইরে এসো।

দরজা খুলে উঁকি দিলেন নারগিছের মা সাবিহা খানম।

কী খবর বাবা সাবিরুল, তুমি উদ্ভ্রান্তের মতো নারগিছকে ডাকছো কেন? এটা কি সিনেমার শুটিংস্পট? নায়কের মতো ভঙ্গি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছো।

চাচার আশীর্বাদ নিয়েই ভেতরে প্রবেশ করেছি। নারগিছকে একটা কথা জানিয়ে চলে যাব।

নারগিছ তো যা বলার আগেই বলে দিয়েছে। আবার কেন এসেছো?

আমার সিদ্ধান্ত জানাতে।

কী সিদ্ধান্ত?

সেটা নারগিছকেই বলব। ওকে আসতে বলেন।

নারগিছ চোখ কচলাতে কচলাতে বের হয়ে আসে। বিকেলের কাঁচা ঘুমটা ভেঙে যাওয়ায় কিছুটা বিধ্বস্ত সে। সাবিরুলকে দেখে আরও বিগড়ে গেলো।

কী ব্যাপার? আবার কেন এলে?

শুধু একটা কথা জানাতে।

ফোনে বললেই পারতে। 

ফোনে পর্যাপ্ত ব্যালেন্স ছিল না। তাই রাগ করে ফোনটা এক ভিক্ষুককে দিয়ে দিলাম।

বাহ্, বিরাট দানশীল। নাই ধইন্না পাতার ঝোল, তার আবার ভাব।

সে যাই বলো না কেন। আজ আমি কিছু মনে করবো না। শুধু একটি কথা বলেই চলে যাব।

তাড়াতাড়ি বলে আমাকে উদ্ধার করো।

আমি আত্মহত্যা করব।

কখন, কোথায়, কীভাবে? আমি আসব হেল্প করতে?

না, দরকার নেই। অনেক কষ্টে বান্দরবানের একটি টিকিট ম্যানেজ করেছি। আমি একাই যাব। পাহাড় চূড়া থেকে লাফিয়ে পড়ে যাবতীয় মায়া রেখে চলে যাব।

ওকে। উত্তম সিদ্ধান্ত। শুভ কামনা রইল। সফলকাম হও।

মুখে বিজয়ের হাসি নিয়ে মেসে ফিরলেন সাবিরুল।

অনুমতি নিতে যাওয়ার আগে খুব টেনশন হচ্ছিল। যদি নারগিছের পরিবার অনুমতি না দেয়। মায়ার জালে আটকে ফেলেন? এবার যেন হাফ ছেড়ে বাঁচলেন। অন্তত এই যাত্রায় সফল হওয়া যাবে।  

মেসে এসে মেজাজটা বিগড়ে গেল। দরজায় তালা। নিজের কাছে চাবি নেই। ডুপ্লিকেট চাবি বানাতে বিশ টাকা লাগে। অযথা বিশ টাকা কেন নষ্ট করবেন?

মেসের সদস্য দুএকজন আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। বাইরে কতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকবেন? সবার আগে যে আসে, তারও আসতে এক ঘণ্টা দেরি হবে। দুপুরে রান্না করে বুয়াও চলে গেছে। না খেয়েই বেরিয়েছিলেন সাবিরুল। তখন রাগের মাথায় খাওয়ার রুচি ছিল না। কিন্তু এখন তো পেটের মধ্যে উৎপাত শুরু হয়েছে। এই ক্ষুধা এমন এক চিজ, যা বলে কয়ে আসে না। ভরা পেটে সামনে মোরগ পোলাও থাকলেও খেতে ইচ্ছে করে না। আবার পেটে কিছু না থাকলে অমনি পেটটা চোঁ চোঁ করতে থাকে।

হঠাৎ মনে পড়ল সাবিরুলের প্রতিবেশী কালিম দাদার কথা। তাকে সবাই ‘কালিম চুঁ চুঁ’ বলে ক্ষ্যাপাতো। ক্ষুধা লাগলে তিনি নাকি বলতেন, ‘ক্ষুধায় প্যাটটা চুঁ চুঁ করতাছে।’ সেই থেকে তার নাম হয়ে গেল ‘কালিম চুঁ চুঁ’। আজ নিজেকেও ‘সাবিরুল চুঁ চুঁ’ মনে হচ্ছে। নিজে নিজে দুবার উচ্চারণ করে, ‘সাবিরুল চুঁ চুঁ, সাবিরুল চুঁ চুঁ’। বলে নিজে নিজেই হাসে। শুনতে তো মন্দ লাগে না। তাহলে কালিম দাদা এত ক্ষেপতেন কেন? এই নিয়ে মুরুব্বিদের কাছে বিচারও দিয়েছিলেন।

ক্ষুধার যন্ত্রণায় একটু হেঁটে মোড়ের চায়ের দোকানে গেলেন সাবিরুল। নুরুর চায়ের দোকানে সাবিরুল বরাবরই অবহেলিত। অথচ পাড়ার ছিঁচকে নেতারা খেয়েদেয়ে টাকা না দিয়ে কোনো এক ভাইয়ের নাম বলে হরদম চলে যায়। নুরু আবার তাদের ভাই ভাই বলে সম্বোধন করে। সাবিরুলের তো কোনো ভাইও নেই এ পাড়ায়। তাই গত তিন বছরে এক কাপ চা পান করেছে বলে কোনো রেকর্ড নেই। বিড়ি-সিগারেট খাওয়ারও অভ্যাস নেই। তবুও কাঁচুমাচু করে বসে দোকানের বেঞ্চে।

নুরু কিঞ্চিৎ ব্যঙ্গ করে বলে, কী মিয়া? পথ ভুল কইরা?

না ভাই, ক্ষুধায় পেটটা চোঁ চোঁ করছে।

ক্ষুধা লাগলে খালার কাছে যান। রান্না অয় নাই আইজ?

হইছে, কিন্তু চাবি নাই আমার কাছে।

আমার কাছে তো আপনার বাসার চাবি নাই। এইহানে বইয়া জায়গা জুইড়া থাকলে অইব?

অত কথা না বলে একটা রুটি আর কলা দেন না।

সূর্য আইজকা কোন দিক দিয়া উঠলো?

তিরস্কার কইরেন না ভাই। বিপদগ্রস্তকে সাহায্য করা ঈমানী দায়িত্ব।

বাবা, ইমানদার অইলেন কবে? পশ্চিম দিকে তো উষ্টাও খান না ভুলে।

সাবিরুল বুঝতে পারেন, কথা বাড়িয়ে লাভ নেই। তাই নুরুর হাত দিয়ে রুটি-কলা দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করেন না সাবিরুল। নিজহাতেই নিয়ে নেন দোকানের সামনে ঝোলানো কলা আর রুটি। গোগ্রাসে গিলতে থাকেন। নুরু অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকে।

জানেন নুরু ভাই, আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি—

কী সিদ্ধান্ত নিছেন?

আত্মহত্যা করব।

আজাইরা প্যাচাল বাদ দেন।

সত্যি বলছি। শিগগিরই রওনা হচ্ছি আত্মহত্যা করতে। টিকিটও কাটা হয়ে গেছে। দোয়া করবেন।

বলতে বলতে ফিলটার থেকে দুই গ্লাস পানি পান করেন সাবিরুল।

আত্মহত্যা করতে আইজকাল টিকেট লাগে নাকি? জানতে চায় নুরু।

নুরুর দিকে আহত নয়নে তাকিয়ে বলে—

পকেটে কিন্তু টাকা নাই। আশা করি মাফ করে দেবেন। মৃত্যুপথযাত্রীকে ক্ষমা করা মহত্ত্বের লক্ষণ।

আরে মিয়া, আমি কি মাফের দোকান দিছি নাকি? ব্যবসা করতে বইছি। আত্মহত্যা করার আগে বাকি খাইতে কে বলছে? না খাইয়াই তো মরতে পারেন। টাকা দিয়া এইহান থিকা উঠবেন।

খেয়ে তো ফেলেছি। টাকা তো নেই। টিকিট কেটে সব টাকা শেষ হয়ে গেছে। না দিলেই এখন কী করতে পারবেন? মারবেন? না খেয়ে মরা কি ভালো? দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে না? তাছাড়া আমার একটা প্রেস্টিজ আছে না? আমি তো মরে ইতিহাস সৃষ্টি করতে চাই।

হায় হায় কয় কি হালায়, মরা মাইরা খুনের দায় নিবো কেডা? আপনে এক কাজ করেন, ফেসবুক লাইভে গিয়া আত্মহত্যা করেন। মুহূর্তেই ভাইরাল অইয়া যাইবেন।

আমি তো নায়কের শ্বশুর না যে, ভাইরাল হয়ে যাব। যা জানেন না, তা বলবেন না।

সাবিরুল আর নুরুর কথাবার্তার মধ্যেই চলে আসে মেসের সদস্য অন্তর। সাবিরুলকে দোকানের সামনে দেখে অবাক হয়—

দোকানের সামনে কী করো সাবু? কী হয়েছে নুরু ভাই?

রাগতস্বরে জবাব দেয় নুরু, আর বইলেন না। কলা-রুটি খাইয়া এহোন টাকা দেয় না।

কত টাকা বিল অইছে? আমি দিচ্ছি।

বিশ টাকা দিলেই অইব।

অন্তর পকেট থেকে মানিব্যাগ বের করে। একটি বিশ টাকার নোট নুরুর হাতে দিয়ে সাবিরুলকে সঙ্গে নিয়ে বিদায় নেয়।

মেসের দরজা খুলে প্রবেশ করে অন্তর। পেছন পেছন সাবিরুল। মেসের সবাই সাবিরুলকে সংক্ষেপে সাবু বলে ডাকে। পুরো নাম মোহাম্মদ সাবিরুল ইসলাম। মাথা নীচু করে বসে থাকে সাবিরুল। ডানপায়ের বৃদ্ধাঙুলি দিয়ে ফ্লোরে বৃত্ত আঁকতে থাকে।

ঘটনা কী সাবু?

তেমন কিছু না। সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবার আত্মহত্যাটা করেই ফেলব।

জীবনে তো কিছুই করতে পারলে না এই হতাশা ছাড়া।

আপনার মতো সবাইকে তো তেল দিতে পারি না। আমার রেজাল্ট কি আপনার চেয়ে খারাপ? খারাপ না। তারপরও চাকরি হয় না কেন? কেউ আমার জন্য ফোন করে না। সবাই বলে, নিজের যোগ্যতায় কিছু করো। নিজের যোগ্যতায় আত্মহত্যা ছাড়া আর কী করতে পারি বলেন?

আমি তেল মারি না? যাও বের হয়ে যাও মেস থেকে। কয় মাসের ভাড়া ও খাবারের টাকা পাব মনে আছে?

সবই মনে আছে ভাই। কিছু ভুলিনি। আমি বেহেশতে গেলে সর্বপ্রথম আপনার জন্য সুপারিশ করব।

আপাতত বাসা থেকে বের হয়ে যাও। 

জি ভাই, যাচ্ছি।

বলে গুটি গুটি পায়ে মেস থেকে বের হয়ে আসেন সাবিরুল। মেসের বাকি সদস্যের সঙ্গে আর দেখা হওয়ার সুযোগ হলো না।

গাড়ি তো রাত এগারোটায়। এখন কেবল সন্ধ্যা। কোথায় গিয়ে বসবেন সাবিরুল? তাই মেস থেকে বের হয়ে হাতিরঝিলের একটি ফাঁকা বেঞ্চে বসে বসে সাবিরুল ভাবতে থাকেন। ছোটোবেলার কথা মনে পড়ে। তার কাছে মনে হয়, আমরা গরিব ছিলাম। গরিবই মূলত। একটু আভিজাত্য আনতে মধ্যবিত্ত সাজতে চাইতাম। বছরান্তে একটু দামি কাপড়। মেহমান এলে দামি বাজার। এসবের পেছনেও ছিল বাবার ঋণের বোঝা। স্কুলশিক্ষক বাবার এত সক্ষমতা ছিল না। তবুও আমরা নিজেদের গরিব ভাবতে লজ্জা পেতাম।

সেই গরিবি ঢাকতে প্রতিনিয়ত ঋণগ্রস্ত হয়ে যেতেন বাবা। সপ্তায় সপ্তায় পাওনাদার আসতো। পাঁচ হাজার টাকার ঋণ সুদে-আসলে পঞ্চাশ হাজার হয়ে যেত। বাকি-বাট্টায় চৌচালা টিনের ঘর হয়েছিল। মিস্ত্রিরা মাসে মাসে মজুরির জন্য তাগাদা দিতো। বাজারের মহাজন টিন খুলে নেওয়ার হুমকি দিতো।

একদিন আমরা সত্যিই মধ্যবিত্ত হলাম। কিন্তু এবার সংকট অস্তিত্বের। জার্নিটা যেন আরও কঠিন। কম বেতনে চাকরি। বেশি ভাড়ায় অভিজাত এলাকায় বাসা নিতে হয়। মাসের প্রথম সপ্তাহেই বেতনের টাকা বাজারে নিঃশেষ হয়। সামাজিক অনুষ্ঠানে যেতে ভয় হয়। স্ট্যাটাস বজায় রাখার ভয়।

হঠাৎ ভয়ে গা শিউরে ওঠে। কাঁধে যেন কার নরম হাত। এখানে একটু অন্ধকার দেখেই বসেছিলেন সাবিরুল। রাস্তার আলো ভালো লাগছিল না। কিন্তু ভয় পাওয়ার তো কথা নয়। মৃত্যুকে যে জয় করতে যাবে, সে কেন ভয় পাবে? তবে ভাবনার ঘোরে কারো হাতের স্পর্শ বিশ্বাস হতে চায় না। ভালো করে তাকায়। নিয়ন আলোয় একটা সজ্জিত মুখ চোখে পড়ে। একজন রমণীর। হয়ত নিশিসুন্দরী। কিন্তু তার কাছে কেন? দেখতে অবিকল নারগিছের মতো। তাহলে কি নারগিছ? সাবিরুলকে ফেরাতে এসেছে? এত সেজেছে কেন? অঙ্গভঙ্গিই এমন কেন? নরম হাতের পেলব আঙুল দিয়ে ছুঁয়ে দেয় কানের লতি। শরীরটা কেমন শিরশির করে ওঠে। আঙুলটি চিবুক বেয়ে নেমে যায় ঠোঁটে। কেমন যেন অস্বস্তিকর অনুভূতি হচ্ছে সাবিরুলের কাছে। না, এ তো নারগিছ নয়।

আপনি এমন করছেন কেন?

তুমি কিছু বোঝ না সোনা?

না বুঝতে পারছি না?

তোমার সঙ্গে কিছু নাই?

না, কোনো টাকা-পয়সা নেই।

মনে হয় আরও কিছু নেই।

মানে?

যা শালা পোড়া কপাইল্যা। সন্ধ্যাটাই মাটি করে দিলো।

বিরক্তি নিয়ে চলে যায় অনাকাঙ্ক্ষিত রমণী। সাবিরুল অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে তার দিকে। কোমর দুলিয়ে দুলিয়ে চলে সে নারী। যেন শুকনো হৃদয়ে ঢেউ খেলে। এই ঢেউটাই সে কোনো দিন দেখলো না নারগিছের কাছে। আহা জীবন। এমন হলে এক জীবন তো আত্মহত্যা না করেই বেঁচে থাকা যায়। সাবিরুল এখন কী করবেন? স্টেশনে যাবেন নাকি রমণীর পিছু পিছু?

/জেড-এস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
বন ও বনভূমি রক্ষায় কর্মকর্তাদের নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
বন ও বনভূমি রক্ষায় কর্মকর্তাদের নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
মোনাকোর হারে লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়ন পিএসজি
মোনাকোর হারে লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়ন পিএসজি
বাজারে এলো বাংলা ভাষার স্মার্টওয়াচ ‘এক্সপার্ট’
বাজারে এলো বাংলা ভাষার স্মার্টওয়াচ ‘এক্সপার্ট’
চার বছরে আট ফ্লপ, আসছে আরও এক হালি!
চার বছরে আট ফ্লপ, আসছে আরও এক হালি!
সর্বাধিক পঠিত
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
স্কুলে আসার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শিক্ষক
স্কুলে আসার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শিক্ষক
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ