X
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১
ঈদসংখ্যা ২০২২

চার দেশের ৪টি ফ্ল্যাশ ফিকশন

অনুবাদ : অরিত্র সান্যাল
০২ মে ২০২২, ১০:৫১আপডেট : ০২ মে ২০২২, ১০:৫১

নর্দমা || এথেল রোহান, আয়ারল্যান্ড

ছেলেটা স্কুল থেকে বাড়ি ফিরল আর একটা মড়ার মতো ভাবে তলিয়ে গেল। যেমনটা রোজ হয়, গোটা হল জুড়ে বেগুনি রঙের স্টিকার ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে, আঠা নেই। মায়ের লেখা নোটগুলোর মধ্যে প্রথমটা ছিল, ‘খেয়ে নাও,’ তার পরের নোটগুলো তিরচিহ্ন দিয়ে দিয়ে রান্নাঘরের দিকে তাক করা।

ফ্রিজের ওপর একটা নোটে লেখা, ‘দুধ কম, শুধু চায়ের জন্য যেটুকু লাগে।’ স্টোভের ওপর লাল করে লেখা, ‘এখানে হাত দিয়ো না।’ ছেলেটা রান্নাঘরের টেবিলে বসে ক্র্যাকার আর পীনাট বাটারের জার সার সার করে সাজিয়ে রাখছিল। ন্যাপকিন রাখার জায়গায় যে নোটটা, সেটা ও সরিয়ে রাখে; লেখা, ‘জলখাবারের পরে, হোমওয়ার্ক।’

বসার ঘরে হলুদ রঙের স্টিকার ছিল টিভির পর্দার ওপর সাঁটানো, ‘খবরদার।’ শোওয়ার ঘরে, ওর ডেস্কের ওপর হলুদ রুলটানা পাতায় মা লিখে রেখেছে, ‘হোমওয়ার্কটা আবার দেখো, দুবার।’ ডি এস গেমের ওপর লেখা, ‘যদি সবকিছু হয়ে গিয়ে থাকে, তবেই।’ বাথরুমে গিয়ে দেখা গেল আবছা লেখা, ‘ফ্লাশ করো। হাত ধোও।’ বাসন মাজার জায়গায়, ‘২৫৫০ অবধি গোনো। ধীরে ধীরে।’

শোবার ঘরের দরজায়, ‘ঢুকবে না।’ ছেলেটার বাবা ওর মা-কে গর্ভবতী অবস্থাতেই ছেড়ে চলে যান, একবার দেখেনওনি কী এল পৃথিবীতে। সম্প্রতি, মা ছেলেটিকেই বাড়ির কর্তা হিসেবে ডাকতে শুরু করেছে। বেডকভারের নিচে, ওর খেলনা প্যাডিংটন বেয়ারের ওপরে আরেকটা নোট লেখা, ‘ছুড়ে লুফে নাও।’

ও মায়ের শোবার ঘরের দরজায় ফিরে এল, দরজার ফাঁকগুলো শুঁকে মায়ের ফেস পাউডারের গন্ধ, পারফিউম বুকে ভরে নিল। ঠিক যখন ছ’টা বাজে, ছেলেটা শুনতে পায় মায়ের গাড়ির শব্দ, ও ছুটে গোলাপি স্টিকারগুলির কাছে চলে আসে।

সদর দরজার কাছে এবার অপেক্ষা, পেটের কাছে খামচে ধরা আছে প্যাডিংটন বেয়ারের পুতুলটা। মা হঠাৎ থমকে গেল। ছেলেটা কপালে একটা স্টিকার সাঁটিয়ে রেখেছে। ‘বিনামূল্যে–দয়া করে নিয়ে নিন।’

মাকে ঠেলে ছেলেটা বাইরে চলে আসে, রাস্তায় দাঁড়ায়।     


তিন সেকেন্ডের দেবদূত || জুড হাম্পটন, কানাডা

ক্যানিয়ন জাম্পাররা আপনার কথাবার্তার রীতিনীতি মানে না। ওদের ভাষা আরেকটু এগিয়ে গিয়েছে, যে ভাষাকে ঠিক সবাই ভরসা করতে পারেন না, ভয়ও পান। ছেলেগুলির পোশাক বলতে ব্যাগি জিনস; ময়লা আর তার ওপর কী সব সাঁটানো–দেখেই ভক্তি চটে যায়। মেয়েরা বড় বেশি মধ্যপ্রদেশ খোলা জামা পরে, মেদের কত কত মাত্রা দেখা, নাভির নোলক আর জিন্স তো বিপদসীমায় এসে থমকে গিয়েছে, এত নিচু। ছেলেগুলো দাঁতের ফাঁকে এক্সপেরিমেন্ট হিসেবে টুথপিক গুঁজে রাখে। আর মেয়েরা আল্ট্রা-কুল মিন্ট গাম ফাটায়।

ক্যানিয়ন জাম্পাররা কিন্তু আপনার পড়ে যাওয়ার ধাঁচটা জানে। ওদের নিজেদের একটা ধরন আছে। কিন্তু আপনি সেই ধরনটাকেই সন্দেহজনক ঠাউরেছেন।  

ওরা সাধারণত ক্লাসের পরে আসে, বিংশ শতাব্দীর যত ইতিহাসভিত্তিক ফিল্ম আছে, সেখান থেকে ওরা বিচিত্রভাবে শিখেছে হাঁসের মতো চলন, পায়ের পাতা দিয়ে ফুটপাতে তালি বাজাচ্ছে যেন। গাড়ি তফাতে হুশহাশ বেরিয়ে যায়। ওদের কিছু বলার নেই, তাই বাড়িতে যা শোনে সেটাই বলে থাকে।

অদ্ভুত অদ্ভুত সব নাম হয় ওদের–কেস্টিন, ব্র্যাডলশা, রিস্টেন। চোলেনা, মারিসিতোমিয়া, পার্থেনিলি। জ্যাক-জিল আর চলে না। যেন বাপ-মায়ে নাম রেখেছিল এই ভেবে যে এক সময়ে ওদের দেবদূত ডানা মেলে উড়ান দেবে। বাস্তব বুঝে ওঠার আগে। আশা শেষ হয়ে যাবার আগে। ওদের মায়েরা বাথরুম সাফ করে। বাবাদের গা থেকে আসে গ্যাসোলিনের গন্ধ।

‘সমস্যাটা কী?’

‘অত খেটে লাভ কী?’

‘কী এসে যায়?’

এই ক’টা বুলিই ঘুরেফিরে ওরা আওড়ায় বাড়িতে।

‘তুমি একটা ধান্ধাবাজ।’

‘কিস্যু আর আশা করাই বৃথা।’

‘সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গিয়েছ।’

বাড়িতে এ সবই যা শোনে ওরা সারা দিন।

ট্যুর গ্রুপের ভিড় ঠেলে গুঁতিয়ে ক্যানিয়ন জাম্পাররা এগিয়ে যায়। ট্যুরিস্টদের ব্যাগপ্যাক আর পুলওভারে গিফট শপের স্বাদ পাওয়া যায়। ট্যুরিস্টরা এমন ভাষায় কথা বলে যা ক্যানিয়ন জাম্পারদের ধাতে সয় না।

ক্যানিয়ন ওদের কাছে একটা ধর্মের মতো, একটা আধ্যাত্মিক ব্যাপার। আর এই ট্যুরিস্টগুলো হলো যত চরিত্রহীনের দল। ক্যানিয়ন জাম্পাররা স্প্রুস আর ডগলাস ফার নিয়ে পুজো করে, আকাশ আর সূর্যালোকের সৌধ, খাদের গভীর থেকে যে বনানী আর্দ্র ধোঁয়ার মতো ছড়িয়ে পড়ে। ওরা ফুটপাথ দিয়ে পান্না-হরিৎ জলে এসে নিজেদের অভিষিক্ত করে। তারপর বেয়ে উঠে আসে।

যখন তারা একেবারে ধারে এসে পৌঁছয়, সম্ভ্রমে মাথা তাদের নুয়ে আসে। ‘আভেরির স্মৃতির প্রতি’, একজন কয়ে ওঠে। ‘শারলিনের স্মৃতির প্রতি’। একে একে তারা ধারে এসে আলাদা হয়ে যায় নিজেদের থেকে। পঞ্চাশ ফিট। একশ ফিট। কী যায় আসে?

ওরা শান্ত এখন। একটু উদ্বেগে। এর মধ্যে ভয়ও মিশে থাকে। মেয়েরা ছেলেদের জাপ্টে আলিঙ্গন করে।

‘শক্ত করে ধরো, তোমায় ঠিক পাচ্ছি না’, একজন বলে ওঠে।

‘আচ্ছা, শোনো–’, বলছে আরেকজন।

‘খুব খুব খুব ইচ্ছে ছিল।’

এই ক’টা মামুলি কথা তাদের বলার।

ক্যানিয়ন জাম্পাররা প্রত্যাশায় বিশ্বাস করে না। এটা তাদের শিক্ষা। ‘একেবারে নিচে তবে দেখা হচ্ছে’, ওরা বলছে, ওটা নেহাৎ ভাগ্যের জন্য। আর তারপর তারা উড়ে যায়। দেবদূতের মতো তাদের উড়ান। তিন সেকন্ড মোটে।

তিন সেকন্ডেই সব খুলে যায়।    


ফান হাউস || রবার্ট স্কটেলারো, যুক্তরাষ্ট্র

ভদ্রমহিলা ফানহাউসের আয়নাখানা কোনো এক নিলাম থেকে জুটিয়েছেন, তারপর টাঙিয়েছেন বাড়তি বেডরুমের দেওয়ালে। ভদ্রলোকটির আবার এই ব্যাপারটি মোটেই সুবিধের বোধ হয়নি, একটু অস্বস্তিদায়কই লেগেছে বরং, মনে হয়েছে, ছেলেপুলে কলেজে, তাদের টিউশন ফি-টি মিলিয়ে এই সময়ে এটা একটা বাজে খরচ হয়ে গেল। কিন্তু মহিলা অনড়, ‘অর্থের সদ্ব্যবহার’ হয়েছে, মানে এতদিন ধরে হিসেবী জীবনযাপন করার পর বিশেষ করে, এইটুকু। ভদ্রলোক স্ত্রীর এই দিকটা আগে দেখেননি।

তা উনি এর সঙ্গে মানিয়ে নিলেন। এক রাত্রে স্ত্রীর কথামতো এক বোতল মার্ক্যুইস দ্য রিসক্যাল নিয়ে ওই ঘরে গেলেন, দুটি ড্রেসারের ওপর ওর স্ত্রীর সাজিয়ে রাখা নিভু নিভু দুই মোমবাতি নেশায় মিশে যাচ্ছিল। ভদ্রমহিলা বিছানায় এসে নিজের পোশাক খুলবার পর স্বামীর পোশাক খুলতে শুরু করলেন। ‘এই, একদম না,’ ভদ্রলোক চেঁচিয়ে উঠলেন, ওয়াইনের শেষটুকুও শেষ করে মাথার ওপর আয়নাটির দিকে চোখ রেখেছেন, লম্বাটে, অসমান প্রতিবিম্ব, দেখে মনে হচ্ছে, বেডকভারের ওপর ওদের মাংসের ঢেউ পড়ে আছে যেন।

উনি ধড়ফড়িয়ে উঠে বসলেন বিছানায়, কিন্তু ভদ্রমহিলা ছাড়লেন না। ‘কনি, এটা কী রকম একটা লাগছে,’ ভদ্রলোক নিজের অস্বস্তি প্রকাশ করলেন।

ভদ্রমহিলার আঁকাবাঁকা হাত ভদ্রলোকের আঁকাবাঁকা মধ্যদেশে নেমে যাচ্ছে। বাঁ দিক দিয়ে, মহিলাকে এখন একটি হোঁৎকা মণ্ডের মতো লাগছে, গাল ফুলে ঢোল, যেন দুটো আসল আপেল ভরা আছে মুখে– বিশাল দুই বুক– নড়বড়ে দুই পৃথিবী। মহিলা ভদ্রলোকের দুই হাত টেনে ধরে রাখলেন সেই দুই বুকের উপর।

আরেক দৃশ্যে, ওরা দুজনেই অ্যামিবার মতো, রূপোলী অচেনা কিছু হয়ে যাচ্ছেন। ‘এই, তুমি কি ইয়ার্কি মারছ?’ ভদ্রলোক ঈষৎ বিরক্ত। মহিলা খালি মৃদু হাসলেন। আর এক পলকেই মনে হল ওটুকু হাসির বক্রতাই সুবিশাল, পারদের মতো তরল। ভদ্রলোক আবার আয়না থেকে চোখ ফিরিয়ে নিলেন।

‘হে ভগবান!’

মহিলা জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী হল?’

‘ওটার সাইজ দেখো।’

মহিলা ঝুঁকে এসে কানে ফিসফিসিয়ে কিছু বললেন। ভদ্রলোকের মনে হল, উনি একটা নাম শুনলেন, নিজের নাম না। হয়ত আদুরে কিছু। নিজের চুল নিয়ে মহিলা ভদ্রলোকের বুকে চাপড় মারছেন।

ভদ্রলোক চোখ বন্ধ করলেন, আর যখন খুললেন, তখন মহিলা বেঁকেচুড়ে যাচ্ছেন, লাল টুকটুকে হয়ে। একটা লাঠি, একটা ব্লক, একটা মাংসল আচ্ছন্নতা– অদ্ভুত কিন্তু ভালো। নিজেরই ভিতর থেকে একটা অদ্ভুত নালার আওয়াজ শুনতে পেলেন ভদ্রলোক।

মহিলা ওর কাঁধ কামড়ে দিলেন, আর উনি ওকে কাছে টেনে ধরলেন। চোখ দিয়ে নিজের কোটরগুলি দেখলেন। ঘরটা ছত্রখান হয়ে আছে। মোমবাতির আলো, আগুনের গোলা, আগুনের লম্বা জিভ আর নিজেদের বিশ্বাস ভাঙার চড়া রঙ গ্লাসের সমস্ত টুকরোয় লেগে।


স্ক্যুইজি || জেমস নরক্লিফ, নিউ জিল্যান্ড

আমি ন্যাতাটা চিপে নিলাম। স্ক্যুইজি (অর্থাৎ রবারের ব্লেডওয়ালা সাফাইয়ের ডাণ্ডাটি) সামনে ঠেলে দিলাম। মানব সভ্যতার তেল চকচক করে ওঠে আর টাইলের উপর রামধনুর রঙ দেখা যায়। আমি স্ক্যুইজিটা ঠেললাম। সবকিছুই আমার সামনে একটি ধোলাই হাসিতে পিছলে মসৃণ সরে যাচ্ছে, ফ্যানায়, মোচনে, আর ক্লান্ত বুদ্বুদে। ন্যাতাটা আবার চিপে নিচ্ছি। চিপে ভেজা নির্যাস ফেলে দিচ্ছি বালতিতে। স্ক্যুইজিটা ঠেলছি। আমার ভ্রুয়ে মিষ্টি গন্ধের ঝিনুক ফুটে ওঠে। ন্যাতার ভিজে বাসি রোঁয়াগুলো ওলটপালট হয়। গায়ের রোম কিঞ্চিত হয়, তখন উজ্জ্বল হয়ে ওঠে, মুরগির পালকের মতো। আমি স্ক্যুইজিটা ঠেলছি। আমার সামনে ক্ষ্যাপার মতো মুরগিরা ছুটে যাচ্ছে। ওদের পেছনে, স্ক্যুইজির পিছনে সবকিছু চকচকে, নতুন। আমার আগে ঘামের দাগ আর দাগ। পিছনে সাফ সাফাইয়ের রোশনাই। আমার চোখের সামনে দিয়ে স্বপ্ন তর তর করে পালিয়ে যায়, তার ছোট ছোট পা। আমি স্ক্যুইজিটা ঠেলছি। ন্যাতাটা চিপে নিচ্ছি। বালতি সরিয়ে দিচ্ছি। নৈঃশব্দ্য। ফাঁকা শূন্য বুলেভার্ড আর গাছপাতায় ভরা চওড়া শহরতলী আমার পিছনে। শান্তি, সৌন্দর্যের উজ্জ্বলতা। আমার সামনে জঞ্জাল। ভাগাড়, ছ্যাঁদা, স্বপ্ন। আমি স্ক্যুইজিটা ঠেলছি। ভিজে পালকের ওপর যেমন ফ্যানা, তেমন ফ্যানা বয়ে যাচ্ছে। আমি পাখির চিৎকার শুনতে পাচ্ছি, চকচকে টাইলের ওপর কালো রবারের ঘর্ষণ। একটি ভীত পলায়ন। আমার সামনে রক্ত বয়ে যাচ্ছে, লাল পালকের। আমি ন্যাতাটা চিপে নিই। বালতি সরিয়ে নিই। ঠেলি। আমি স্ক্যুইজিটা ঠেলি।

/জেড-এস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
জাপানি ছবির দৃশ্য নিয়ে কানের অফিসিয়াল পোস্টার
কান উৎসব ২০২৪জাপানি ছবির দৃশ্য নিয়ে কানের অফিসিয়াল পোস্টার
ড্যান্ডি সেবন থেকে পথশিশুদের বাঁচাবে কারা?
ড্যান্ডি সেবন থেকে পথশিশুদের বাঁচাবে কারা?
লখনউর কাছে হারলো চেন্নাই
লখনউর কাছে হারলো চেন্নাই
পশ্চিমবঙ্গে প্রথম দফার ভোট শেষেই বিজয় মিছিল
পশ্চিমবঙ্গে প্রথম দফার ভোট শেষেই বিজয় মিছিল
সর্বাধিক পঠিত
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
ইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
ইস্পাহানে হামলাইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!
সংঘাত বাড়াতে চায় না ইরান, ইসরায়েলকে জানিয়েছে রাশিয়া
সংঘাত বাড়াতে চায় না ইরান, ইসরায়েলকে জানিয়েছে রাশিয়া