মানুষের ভেতরেই মানুষ গাছ লাগায়
খুঁজতে এসেছি—
অচেনা ঝরনার গান, ঋতুদের সংশয়...
একমনে তোমাকেই পেলাম।
তুমি এক জলজ আয়না
কবিতার অন্তর্জাল,
বেদনাবিরচিত অপার শংসাপত্রে
তোমাকেই ভেবেছি এতকাল।
জানি, একটা পেয়ারা গাছের সাথে
আরেকটা পেয়ারা গাছের মিল
নাও থাকতে পারে। তবু—
মানুষের ভেতরেই মানুষ গাছ লাগায়
আর ফুল ফুটলে শোনা যায়
ঝুঁটিওয়ালা মোরগের ডাক, ঋতুর সানাই।
কর্মসূচির এই দিনে
আড়ালে যাও, শব্দহীন দাঁড়িয়ে পড়ো
পঙক্তি ছড়ানো যে কোনো পৃষ্ঠায়।
বাতাসে পাতাদের মন
উড়ছে
মূলত রোদেলা কোনো ডাক
ছড়িয়ে পড়ছে ভাষার উদ্যানে।
পাখির জগতে উদ্যানই আকাশ
আকাশের জগতে
পাখিরাই লিখে রাখে সহজ কোনো হৃদয়।
তুমি তার যে কোনো অধ্যায় থেকে
টুকে রাখো
ছড়ানো পার্কের জীবন।
মনে রেখো, সংসারী পাখিরা কখনো
অনাবৃত মানুষের রং ব্যবহার করতে পারে না।
যে কথা জানে মন খারাপের মার্বেল
চলো, এই আকারহীন নির্জনতায়
তোমার করবের পাশে গিয়ে বসি,
তোমার কবর, তোমার অনেক কিছুই জানে।
একমুঠো হাসির ভেতর
তিনমুঠো জীবনের রং পাওয়া যায়,
তোমার আধুনিকতা
আজও তা বুঝতে পারেনি।
দৃশ্যের বাইরে তুমি একটা যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকা
তোমার উদোম নাভির ওপর
ছড়িয়ে আছে কতগুলো ক্ষুধার্ত পৃথিবী;
বিদ্রুপ দুপুরের সাঁকোটা তুমি পার হতেই পারছ না।
না পারা, না পাওয়া, না হওয়া থেকে
নিজের নামে একটা গাছ লাগাও আর
মন টান টান করে হেসে ওঠো,
হাসতে হাসতে
কলা দিয়ে বেদনার রুটি ছিঁড়ে খাও।
না হলে অন্য কেউ তোমাকে খেয়ে ফেলতে পারে...।
অ-ভাবের স্বভাব
নির্জন পাতার পায়ে
ফুঁটেছে বেজাত বেলের কাঁটা,
সাদামাটা এ তল্লাটে—
পোদ্দারী ডাটারা কিসের ব্যাটা!
জোছনায় হাঁটা যায় না,
হাঁটাও হয় না
ফলে তো অন্তঘাতী
অ্যাডভোকেট আলু হয়েছে তরকারি মন্ত্রী।
রাঁধুনিদের কাটেনি তবু
মসলার অভাব!
তিল আর তেলের দৌড়ে
পা ফস্কে পড়ে গেছে হালের নবাব,
মাঠ তাই ফাঁকা। একা একা
গণতান্ত্রিক হলুদও দেখিয়েছে মরিচের স্বভাব।
নির্বাহী
হাত দিলে পুড়ে যাই
না দিলেও পুড়ি,
পায়ে পায়ে সাঁতরাই, ভয়ে ভয়ে ধরি।
চুমুর ব্যবহার জানি না
তবু রাখি আশা,
ভেতরে এসেই সে বেঁধে ফেলে বাসা!
বাসা তো বাসা নয়, স্বরূপের ত্রাহী
হেরে যাওয়া অঞ্চলেও থাকি নির্বাহী।
ফুল যদি ফোটে তবে
বাতাসও আমার,
ঋতুর গন্ধ ছড়ায় মনোবাসি হরিৎ কুমার।