X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

গুরনাহর নোবেল ভাষণ

অনুবাদ : শওকত হোসেন
২৯ মার্চ ২০২২, ১৬:০৪আপডেট : ২৯ মার্চ ২০২২, ১৬:০৪

লেখালিখি

লেখালিখি বরাবরই আনন্দের ব্যাপার ছিল। এমনকি স্কুলে পড়তেও ক্লাস রুটিনের অন্যান্য ক্লাসের চেয়ে গল্প লেখার ক্লাস কিংবা শিক্ষকরা আমাদের যেটা ভালো লাগবে মনে করতেন তার অপেক্ষায় থাকতাম। সবাই তখন নীরব হয়ে যেত, স্মৃতি এবং কল্পনা থেকে বলার মতো কিছু খুঁজে আনতে ডেস্কের ওপর ঝুঁকে পড়ত। এইসব আনন্দময় প্রয়াসে বিশেষ কিছু বলার, স্মরণীয় অভিজ্ঞতা, জোরালো মতামত তুলে ধরা বা ক্ষোভ প্রকাশের দিকে কারও ঝোঁক থাকত না। এইসব প্রয়াসে আমাদের লেখার দক্ষতা বাড়াতে শিক্ষক ছাড়া অন্য কোনো পাঠকেরও দারকার ছিল না। তিনিই এগুলো উস্কে দিতেন। লিখতে বলা হতো বলেই লিখতাম। এবং সেটা করতে দারুণ মজা লাগত।

অনেক বছর পর নিজেই স্কুলের শিক্ষক হলাম যখন, তখন উল্টো অভিজ্ঞতা হয়েছিল আমার। তখন ছাত্ররা কাজে ব্যস্ত থাকার সময় চুপ করে বসে থাকতাম। এটা আমাকে ডি.এইচ. লরেন্সের একটা কবিতার কথা মনে করিয়ে দিত। তারই কয়েকটা পঙক্তি এখানে উদ্ধৃত করছি :

‘দ্য বেস্ট অভ স্কুল’ থেকে কয়েক পঙক্তি

ক্লাস-সৈকতে একাকী বসে থাকি যখন,
গ্রীষ্মের উর্দি গায়ে ছেলেদের দেখি

ওরা তখন লিখতে থাকে, ওদের বাদামি চুলভরা মাথা ঝুঁকে থাকে সামনে :

একে একে উঠে দাঁড়ায়
আমার দিকে ফেরানো তার মুখ,
নীরবে ভাবতে চায়,
তাকানোর মতো, দেখে না সে।

তারপর আবার ঘুরে দাঁড়ায় সে, কিছুটা আনন্দে, প্রফুল্ল।
কাজের উত্তেজনায় আবার আমার দিক থেকে চোখ ফেরায়,
কাঙ্ক্ষিত জিনিসটি পেয়ে গেছে, যা পাওয়ার পেয়ে গেছে।

এই কবিতাটির কথা মনে করিয়ে দেওয়া লেখালিখির যে ক্লাসের কথা বলছি, সেটা পরবর্তী কালে যেমন মনে হয়েছে তেমন লেখালিখি ছিল না। নির্দেশিত, তাড়িত, ক্রমাগত চর্চিত, অবিরাম গোছানো কিছু ছিল না এটা। এইসব আনন্দময় প্রয়াসে বলা যায় তেমন কোনো দ্বিধা বা শোধরানো ছাড়াই নিরীহ ভঙ্গিতে একরৈখিকভাবে লিখে গেছি। অনেকটা একইভাবে কোনো পরামর্শ ছাড়াই স্বাধীনভাবে পড়েছি। তখন এইসব কাজ কতটা নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত জানতাম না। অনেক সময় স্কুলে যেতে ভোর-সকালে ঘুম থেকে ওঠার দরকার না থাকলে গভীর রাত অবধি পড়তাম। বাবা অনিদ্রারোগীর মতো ছিলেন, আমার ঘরে এসে বাতি নেভানোর হুকুম দিতেন। তার মুখের ওপর না বলার জো ছিল না। সাহস থাকলেও না। তিনিও জেগে থাকলে আপনি জাগতে পারবেন না কেন, জিজ্ঞেস করা যায় না, কারণ বাবার সাথে ওভাবে কথা বলা চলে না। যাই হোক, বাতি নিভিয়ে মাকে বিরক্ত না করতে অন্ধকারেই অনিদ্রার মোকাবিলা করতেন তিনি। তো বাতি নেভানোর হুকুম বহাল থাকত।

পরবর্তী কালের লেখালিখি এবং পড়াশোনা তরুণ বয়সের এলেমেলো অভিজ্ঞতার তুলনায় গোছানো হলেও আনন্দের ঘাটতি পড়েনি কখনও। কখনওই সংগ্রামের ব্যাপার ছিল না। অবশ্য ধীরে ধীরে সেটা ভিন্ন ধরনের আনন্দে রূপ নিয়েছে। ইংল্যান্ডে থিতু হওয়ার আগে সেটা বুঝতে পারিনি। ওখানেই আমার গৃহকাতরতা এবং আগন্তুক-জীবনের কষ্টে আগে মাথা না ঘামানো বিষয়ে প্রবলভাবে ভাবতে শুরু করি। সেই সময়, দারিদ্র্য এবং বিচ্ছিন্নতার সেই দীর্ঘসময়েই, ভিন্ন ধরনের লেখালিখি শুরু করি। তখন আমার কাছে পরিষ্কার হয়ে যায় যে আমার একটা কিছু বলার আছে, করার মতো একটা কাজ আছে, দুঃখ এবং ক্ষোভকে খুঁড়ে তুলে খতিয়ে দেখতে হবে।

প্রথম ক্ষেত্রে নিজের বাড়ি থেকে বেপরোয়া পলায়নের মুহূর্তে কি কি ফেলে এসেছি সেটা ভেবেছি। মধ্য ১৯৬০-এর দশকে গুরুতর বিশৃঙ্খলা নেমে এসেছিল আমাদের জীবনে। ১৯৬৪ সালের বিপ্লবের সাথে দেখা দেওয়া নির্মমতায় সেই ঘটনার ন্যায়-অন্যায় বোধ ঝাপসা হয়ে গেছে : দেশান্তর, হত্যাকাণ্ড, বহিষ্কার এবং সীমাহীন ছুটে চলা এবং বড় অসম্মান ও নিপীড়ন। এইসব ঘটনার মধ্যেই এক কিশোরের মন নিয়ে কি ঘটছে তার ঐতিহাসিক এবং ভবিষ্যৎ প্রভাব স্পষ্টভাবে চিন্তা করা কঠিন ছিল।

কেবল ইংল্যান্ডে বসবাসের গোড়ার দিকের বছরগুলোয় এইসব বিষয়ে, আমরা একে অন্যের ওপর কি চাপিয়ে দিতে পারি তার কুৎসিত রূপ নিয়ে ভাবতে পেরেছি। মিথ্যা এবং বিভ্রমের কথা ভাবতে পেরেছি, যাকে দিয়ে আমরা নিজেদের স্বস্তি দিয়েছি। আমাদের ইতিহাস ছিল আংশিক, বহু নিষ্ঠুরতার ব্যাপারে নীরব। আমাদের রাজনীতিকে বর্ণবাদী করে সরাসরি বিপ্লবের দিকে ঠেলে দেওয়া নিপীড়নের জন্ম দিয়েছে। তখন সন্তানদের সামনে বাবাদের হত্যা করা হয়েছে, মায়ের সামনে বোনদের অসম্মান করা হয়েছে। ইংল্যান্ডে এসব থেকে বহু দূরে মনে মনে এইসব ঘটনায় ভীষণ বিক্ষুব্ধ থাকলেও হয়তো এখনো সেগুলোর পরিণামের ভেতর বসবাসকারী মানুষদের ভেতরে থাকলে যেমন হতো সেভাবে স্মৃতির প্রবল শক্তি ঠেকানোর যথেষ্ট ক্ষমতা আমার ছিল না। কিন্তু এইসব ঘটনার সাথে অসম্পর্কিত অন্যান্য স্মৃতিতেও বিক্ষুব্ধ ছিলাম : সন্তানদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া বাবা-মায়ের নিপীড়ন, সামাজিক বা লৈঙ্গিক গোঁড়ামির কারণে মানুষের আত্মপ্রকাশ অস্বীকার করা, দারিদ্র্য এবং পরনির্ভরতাকে মেনে নেওয়া বৈষম্য। এসব সব মানুষের জীবনেই উপস্থিত রয়েছে, আমাদের বেলায়ও ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু পরিস্থিতি আমাদের টনক না নাড়ানো পর্যন্ত সবসময় খেয়াল হয় না। আমার মনে হয় এটাই ট্রমা থেকে পালিয়ে পেছনে রয়ে যাওয়াদের থেকে দূরে নিরাপদে অবস্থানকারীর অন্যতম দায়। শেষ পর্যন্ত কেবল আমার মনের বিভ্রান্তি এবং অনিশ্চয়তার কিছুটা স্পষ্টতা দেওয়ার জন্যে এইসব ভাবনারই কিছু নিয়ে লিখতে শুরু করি, কিন্তু গোছানো, সংগঠিতভাবে নয়, তখনও নয়। 

এক সময় অবশ্য গভীরভাবে অস্বস্তিকর একটা কিছু থানা গেড়ে বসার ব্যাপারটা স্পষ্ট হয়ে গেছে। আসল ঘটনাকে পাল্টে দিয়ে, এমনকি মুছে ফেলে, একটা নতুন, সহজতর ইতিহাস তৈরি করা হচ্ছে। সময়ের বৈচিত্র্যের সাথে খাপ খাওয়াতে নতুন করে সৃষ্টি করা হচ্ছে একে। নতুন ও সরল এই ইতিহাস কেবল সবসময় নিজের পছন্দমতো একটা বয়ান খাড়া করার স্বাধীনতা পাওয়া বিজয়ী পক্ষের অনিবার্য কাজ ছিল না, বরং আমাদের প্রতি সত্যিকারের আগ্রহহীন ধারাভাষ্যকার, পণ্ডিত এবং এমনকি লেখকদের জন্যও সুবিধাজনক ছিল। আমাদের যারা তাদের বিশ্বদৃষ্টির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ ফ্রেমের ভেতর দিয়ে দেখেন, যাদের জাতিগত স্বাধীনতা এবং প্রগতির একটা পরিচিত দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োজন।

তো এক অতীতকালের পক্ষে সাক্ষী দেওয়া উপাদান, নির্মাণ, সাফল্য এবং জীবনকে সম্ভব করে তোলা কোমলতাকে অস্বীকারকারী এমন একটি ইতিহাসকে প্রত্যাখ্যান করা প্রয়োজন হয়ে দাঁড়ায়। বহু বছর পর আমার বেড়ে ওঠা শহরের পথে হেঁটেছি, তখন দেখেছি বস্তু এবং বিভিন্ন জায়গা এবং অতীতের স্মৃতি হারানোর ভয়ে খোঁচা খোঁচা দাড়ি এবং দাঁতহীন জীবন কাটানো মানুষের অসম্মান। সেই স্মৃতি রক্ষার একটা প্রয়াস পাওয়া, ওখানে কি ছিল তার কথা লেখা, মুহূর্ত এবং মানুষের বসবাসের এবং নিজেদের বুঝতে পারা গল্পগুলো উদ্ধার করা দরকার হয়ে পড়ে। আমাদের আত্মতৃপ্ত শাসকদের আমাদের স্মৃতি থেকে মুছে ফেলতে চাওয়া নিপীড়ন ও নিষ্ঠুরতার কথা লেখা দরকার ছিল। 

ইংল্যান্ডে উৎসের কাছাকাছি থাকতে যানযিবারের উপনিবেশিক শিক্ষার ভেতর দিয়ে যাওয়ার সময়ের চেয়ে আমার কাছে স্পষ্ট হয়ে ওঠা বলার মতো ইতিহাসের আরেকটি উপলব্ধি ছিল। আমাদের প্রজন্মের যারা, আমরা এক অর্থে আমাদের বাবা মায়ের মতো উপনিবেশবাদের সন্তান ছিলাম না, আমাদের পরে যারা এসেছে তাদের মতোও নয়, কিংবা অন্তত পক্ষে একইভাবে নয়। একথা বলে এটা বোঝাচ্ছি না যে, আমরা আমাদের বাবা-মারা যেসব বিষয়কে মূল্য দিতেন সেসব থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলাম বা আমাদের পরে যারা এসেছে তারা উপনিবেশিক প্রভাবমুক্ত ছিলেন। আমি বলতে চাইছি যে, অন্তত পৃথিবীর আমাদের অংশে তীব্র সাম্রাজ্যবাদী প্রভাবে বড় এবং শিক্ষিত হয়েছি আমরা। যখন আধিপত্য সুমধুর বুলির আড়ালে নিজের চেহারা আড়াল করেছিল। এবং আমরা আধিপত্যকে মেনে নিয়েছি। গোটা অঞ্চলে উপনিবেশবিরোধী লড়াই তুঙ্গে ওঠার এবং উপনিবেশিক শাসনের লুণ্ঠণের দিকে আমাদের নজর কাড়ার সেই সময়ের আগের কথা উল্লেখ করছি। আমাদের পরবর্তীদের উত্তর উপনিবেশিক হতাশা ছিল এবং তাদের স্বস্তি দিতে নিজস্ব বিভ্রম ছিল। এবং তারা সম্ভবত আমাদের জীবন বদলে দেওয়া উপনিবেশবাদের মোকাবিলা এবং আমাদের দুর্নীতি এবং অপশাসন এক অর্থে উপনিবেশিক উত্তরাধিকারেরই অংশ হওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট বা যথেষ্ট গভীরভাবে বোঝেননি।  

এইসব বিষয়ের কিছু কিছু ইংল্যান্ডে আমার কাছে আরও খোলাসা হয়ে আসে। কথোপকথনে এসব স্পষ্ট করে দেওয়া মানুষের কাছাকাছি এসেছি বা ক্লাসরুমে কেউ ব্যাখ্যা করেছেন বলে নয়, বরং তাদের লেখালিখি এবং মামুলি আলাপচারিতায়, টিভি এবং অন্যান্য জায়গায় বর্ণবাদী কৌতুককে স্বাগত জানানো রসিকতায়, দোকানপাট, অফিস, বাসে মোকাবিলা করা শক্তিহীন বৈরীতায় আমার মতো কেউ এইসব গল্পের কোথায় অবস্থান করছে সেসম্পর্কে আরও ভালো উপলব্ধি লাভ করেছি। এই ধরনের অভ্যর্থনার ব্যাপারে কিছু করতে পারিনি, কিন্তু আরও বেশি উপলব্ধি নিয়ে পড়তে শেখার সাথে সাথে আমাদের যারা ঘৃণা করেন, যারা আমাদের তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেন, তাদের আত্মনিশ্চিত সারাংশের প্রত্যাখ্যান হিসেবে লেখার আকাঙ্ক্ষাও জেগে উঠেছে।

কিন্তু লেখালিখি তা যতই জোরালো এবং স্বস্তিদায়ী হোক, কেবল লড়াকু এবং যুক্তির কথা হতে পারে না। লেখালিখি কেবল একটা বিষয়ে নয়, এই ইস্যু বা ওই ইস্যুর ব্যাপার নয়, আগে হোক পরে হোক, নিষ্ঠুরতা ও ভালোবাসা এবং দুর্বলতা এর বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। আমি বিশ্বাস করি লেখালিখিকে আবার অন্য কি হতে পারে সেটাও দেখাতে হয়, কঠিন উদ্ধত দৃষ্টি যা দেখতে পায় না, মানুষকে যা মর্যাদার দিকে থেকে ছোট করে, অন্যদের ঘৃণা সত্ত্বেও নিশ্চিত বোধ করে। তো এসব নিয়ে লেখারও তাগিদ বোধ করেছি, এবং কদর্যতা এবং সৌন্দর্য বের করে আনতে, মানুষ যাতে সরলীকরণ এবং স্টেরিওটাইপ থেকে বেরিয়ে আসতে পারে, সেজন্যে সততার সাথে সেটা করতে চেয়েছি। সেটা যখন কাজ করে, এক ধরনের সৌন্দর্য বেরিয়ে আসে।

এবং দেখার এই ভঙ্গি দুর্বলতা এবং অনিশ্চয়তাকে জায়গা করে দেয়, নিষ্ঠুরতার ভেতর দয়ার, এবং অজানা উৎসে করুণার শক্তি তৈরি করে। এসব কারণে লেখালিখি আমার কাছে আমার জীবনের মূল্যবান ও নিবিড় একটা অংশ। অবশ্য অনান্য অংশও আছে, কিন্তু সেগুলো এই উপলক্ষ্যে আমাদের দেখার বিষয় নয়। কিঞ্চিৎ অলৌকিকভাবে গোড়াতে আমি লেখালিখির যে আনন্দের কথা বলেছিলাম, এতগুলো দশক পরেও এখনো তার অস্তিত্ব রয়ে গেছে।

আমাকে এবং আমার কাজকে এই বিশেষ সম্মান দেওয়ায় সুইডিশ একাডেমিকে আমার গভীরতম কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে দিয়ে শেষ করার সুযোগ দেন। আমি যারপরনাই কৃতজ্ঞ।

সৌজ‌ন্যে : গল্পকার

/জেডএস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ট্রাকের চাপায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত
ট্রাকের চাপায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত
বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখলে আমাদের লজ্জা হয়: শাহবাজ
বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখলে আমাদের লজ্জা হয়: শাহবাজ
৬ ম্যাচ পর জয় দেখলো বেঙ্গালুরু 
৬ ম্যাচ পর জয় দেখলো বেঙ্গালুরু 
সাদি মহম্মদ স্মরণে ‘রবিরাগ’র বিশেষ আয়োজন
সাদি মহম্মদ স্মরণে ‘রবিরাগ’র বিশেষ আয়োজন
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা