শিক্ষা কুইজ, সাক্ষরতা বিষয়ক সংসদীয় বিতর্ক, নাটিকা ও আলোচনাসহ নানা আয়োজনে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস-২০২৩ উদযাপন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইআর)।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) আইইআর-এর শহীদ ড. সাদত আলী কনফারেন্স কক্ষে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে দিবসটি উদযাপন করা হয়।
দিনব্যাপী আয়োজনের শুরু হয় শিক্ষা কুইজের মধ্য দিয়ে। এতে শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন শিক্ষার্থীরা। এরপর অনুষ্ঠিত হয় সাক্ষরতা সংসদীয় বিতর্ক। যেখানে সরকারি ও বিরোধী দল দেশের সাক্ষরতার পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এরপর বেলা সোয়া বারোটায় আইইআর ল্যাংগুয়েজ এবং কালচারাল ক্লাব দেশের শিক্ষাব্যবস্থার উপর সচেতনতামূলক নাটিকা প্রদর্শন করে।
দিনব্যাপী আয়োজনের সমাপ্তি হয় আলোচনা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। এতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ড. তাপস কুমার বিশ্বাস এবং আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও আইইআরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. এম অহিদুজ্জামান। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক মো. ফজলুর রহমান, অধ্যাপক ড. মো. মনিনুর রশিদ, অধ্যাপক ড. খাইরুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক সৈয়দা আতিকুরননাহার প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
স্বাগত বক্তব্যে ড. মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তনে ঢাবির আইইআর সব সময়ই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বর্তমানে অনেক শিক্ষার্থী আইইআরে অধ্যয়ন করছে এবং অনেকে পাস করে কর্মক্ষেত্রে আছে। অধিকাংশ শিক্ষার্থীই সুনামের সাথে তাদের কর্মক্ষেত্রে কাজ করে যাচ্ছে। তবে কিছু শিক্ষার্থী আছে যাদের শিক্ষার বিষয়ে জ্ঞানের স্বল্পতা আছে এবং শিক্ষাক্ষেত্রে তারা কোনও কাজও করছে না। তাদের বিভিন্ন সময় দেখি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সংবাদমাধ্যমে অযাচিত মন্তব্য করেন। এ ধরনের আচরণ আমাদের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রত্যাশা করি না। বরং আমরা সে সকল শিক্ষার্থীদের চাই যারা তাদের কাজের মাধ্যমে শিক্ষাক্ষেত্রে অবদান রাখবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. এম অহিদুজ্জামান বলেন, সাক্ষরতা একজন মানুষকে জীবনব্যাপী শিক্ষা অর্জনের পথ খুলে দেয়। আর এই সাক্ষরতার ধারণা যুগের সাথে পরিবর্তিত হয়। বর্তমানে ডিজিটাল লিটারেসি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। আমাদের সংবিধানে নিরক্ষরতা মুক্ত দেশ গড়ার জন্য সাবার জন্য শিক্ষা গ্রহণের অধিকার দিয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতার এত বছর পরও আমরা সবাইকে সাক্ষর করতে পারিনি। এই জন্য প্রয়োজন সম্মিলিত প্রচেষ্টা।