X
মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫
১৬ আষাঢ় ১৪৩২

গণতন্ত্রের জন্য হলেও ঢাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থী নির্যাতনের বিচার হওয়া উচিত

সিরাজুল ইসলাম রুবেল
২৩ আগস্ট ২০২০, ২০:৪০আপডেট : ২৩ আগস্ট ২০২০, ২০:৪০

ঢাবি ২০০৭ সালে অগাস্টে সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন৷ আন্দোলন দমনে ব্যর্থ হয়ে সেনা সদস্যরা তাদের ওপর নির্যাতন চালায়৷ ১৩ বছর পেরিয়ে গেলেও ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কোনও বিচার হয়নি৷ তবে, গণতন্ত্রের জন্য হলেও শিক্ষক-শিক্ষার্থী নির্যাতনের বিচার হওয়া উচিত বলে মনে করছেন শিক্ষক ও ছাত্রনেতারা৷

নির্যাতনের প্রতিবাদে আজকের দিনটিকে 'কালো দিবস' হিসেবে পালন করে আসছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ৷ দিনটি ঘিরে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিভিন্ন কর্মসূচিও৷

প্রসঙ্গত, রাজনৈতিক উত্তাপের মধ্যে ২০০৭ সালের শুরুতে সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার দেশে জরুরি অবস্থা জারির কয়েক মাস পর ওই বছর ২০ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে কয়েক সেনা সদস্যের সঙ্গে ছাত্রদের সংঘর্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আন্দোলনে নামেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ চড়াও হলে রাজশাহী, চট্টগ্রামসহ দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে।

টানা তিনদিন আন্দোলনের পর ২৩ আগস্ট ছাত্রদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষক এবং আটজন ছাত্রকে গ্রেফতারের পাশাপাশি সারা দেশের শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন চালানো হয়।

দিবসটি প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, যেকোনও সভ্য সমাজে অন্যায় হলে সেটির বিচার হবে এটাই স্বাভাবিক৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর যে ঘটনা ঘটেছিল সে দিনটিকে আমরা কালো দিবস হিসেবে প্রতি বছর পালন করে আসছি৷ দিনটিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হচ্ছে৷'

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড.আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, যেকোনও অন্যায়ের বিচার হওয়া উচিত৷ ২৩ শে আগস্ট যে ঘটনা ঘটেছিল, তা শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর নয়, পুরো ছাত্র সমাজ এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন হয়েছিল৷ ১/১১ এর পরবর্তীতে যখন নির্বাচিত সরকার আসলো,তখন সংসদীয় একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছিল৷ তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছিল৷ এখনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি কেন, তা আমি জানি না৷ তবে, ভবিষ্যতে যেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর এ রকমের ঘটনা না ঘটে৷ এদেশে গণতন্ত্রের ভিত্তি যদি শক্ত করতে হলেও এধরনের ঘটনার বিচার হওয়া উচিত৷

/এফএএন/এমআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুরে
বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুরে
দুর্ঘটনায় ছয় মাসে প্রাণ হারিয়েছে ৪২২ শ্রমিক
দুর্ঘটনায় ছয় মাসে প্রাণ হারিয়েছে ৪২২ শ্রমিক
৪০ শতাংশ কৃষক পান না ন্যায্য মজুরি: জরিপ
৪০ শতাংশ কৃষক পান না ন্যায্য মজুরি: জরিপ
ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা ও মার্কিন পাল্টা শুল্ক বড় চ্যালেঞ্জ: বিজিএমইএ সভাপতি
ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা ও মার্কিন পাল্টা শুল্ক বড় চ্যালেঞ্জ: বিজিএমইএ সভাপতি
সর্বাধিক পঠিত
তিন বিমানবন্দরে ১৬ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে
তিন বিমানবন্দরে ১৬ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে
রূপপুর প্রকল্পের ১৮ প্রকৌশলী অপসারণ: হাইকোর্টের রুল
রূপপুর প্রকল্পের ১৮ প্রকৌশলী অপসারণ: হাইকোর্টের রুল
ফেসবুকে পাল্টাপাল্টি স্ট্যাটাস উপদেষ্টা আসিফ ও সাংবাদিক জুলকারনাইনের
ফেসবুকে পাল্টাপাল্টি স্ট্যাটাস উপদেষ্টা আসিফ ও সাংবাদিক জুলকারনাইনের
‘ইউ আর পেইড বাই দ্য গভর্নমেন্ট’
এনবিআর কর্মকর্তাদের উদ্দেশে অর্থ উপদেষ্টা          ‘ইউ আর পেইড বাই দ্য গভর্নমেন্ট’
ইস্টার্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দ
ইস্টার্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দ