রাঙামাটির লংগদুতে পাহাড়িদের ঘরবাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করেছেন সংসদ সদস্য উষাতন তালুকদার। নিরাপত্তাহীনতা দূর করাসহ সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ওই এলাকায় একটি সংসদীয় দল পাঠানোর অনুরোধ করেন তিনি। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে খাদ্য সরবরাহ ও যথাযথ পুর্নবাসনের দাবি করেন এমপি।
সোমবার জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে ফ্লোর নিয়ে তিনি এসব দাবি জানান। তিনি বলেন, ‘বারবার এ ধরনের ঘটনা ঘটার মূল কারণ পার্বত্য চুক্তি পুরোপুরি বাস্তবায়ন না হওয়া। আইনশৃঙ্খলা ও প্রশাসন জেলা পরিষদের হাতে হস্তান্তরসহ চুক্তি অচিরেই পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে হবে। এগুলো করা হলে ওই এলাকায় স্থায়ী শান্তি ফিরে আসবে।’
প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতায় এই পার্বত্য চুক্তি হয়েছে। আমরা চাই দ্রুততার সঙ্গে এ চুক্তির বাস্তবায়ন হবে।’
যুবলীগ নেতার নিহতের ঘটনার নিন্দা জানানোর পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন এমপি।
তিনি বলেন, ‘লংগদুতে নিহতের ঘটনার সেন্টিমেন্টকে পুঁজি করে দুর্বৃত্ততা মিছিলের মাঝে ঘাপটি মেরে থেকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পাহাড়িদের গ্রামে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। দোকানে আগুন দেওয়া হয়েছে। এখন লোকজন বৃষ্টি বাদলের মধ্যে বনেবাদাড়ে থাকছে। দুর্বৃত্তরা সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন ও এলাকায় অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্যই এসব ঘটনা ঘটিয়েছে। এদের প্রতিহত করতে হবে। এরা যাতে কোনও অবস্থাতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে অসিস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে না পারে সেজন্য বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করছি।’
উষাতন তালুকদারের সঙ্গে একমত পোষণ করে বিএনএফ-এর সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি ও ভূমি আইন নিয়ে পাহাড়ে অসন্তোষ বিরাজ করছে। সেখানে বাঙালি ও পাহাড়িদের মধ্যে বৈষম্য দেখা যায়। বিভিন্ন সংগঠনের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। এগুলো নিরসনের জন্য সংসদীয় তদন্ত কমিটি হওয়া দরকার। দেশের এক শতাংশ অঞ্চলে কোনও ধরনের অসন্তোষ দেশের সংহতি বিনষ্ট করতে পারে।’
/ইএইচএস/এসটি/