X
বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫
১৮ আষাঢ় ১৪৩২

ফায়ারিং স্কোয়াড: বিশেষ ক্ষমতা আইনে আছে, প্রচলিত আইনে নেই

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২০ আগস্ট ২০১৭, ১৫:৫১আপডেট : ২০ আগস্ট ২০১৭, ১৫:৫৬

ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রতীকী ছবি ফায়ারিং স্কোয়াডে গুলি করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বিধান বিশেষ ক্ষমতা আইনে আছে। তবে প্রচলিত আইনে এর কোনও বিধান নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। তারা বলছেন,বিচারক চাইলে বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৩৪ (ক) ধারা অনুযায়ী ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আদেশ দিতে পারেন।

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ২০০০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় আজ রবিবার (২০ আগস্ট) ১০ জনকে সর্বোচ্চ শাস্তি দিয়েছেন আদালত। রায়ে আদালত বলেছেন, হাইকোর্ট বিভাগের অনুমোদন সাপেক্ষে তাদের মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত গুলি করে প্রত্যেকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হোক। রবিবার বেলা ১১টার দিকে এ রায় দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মমতাজ বেগম।

মামলার আইনজীবী সৈয়দ শামসুল হক বাদল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ সালের ৩৪ (ক) অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ড কার্যকরী করণ ধারাটিতেই সমাধান দেওয়া আছে। আইনে বলা আছে,কোন ব্যক্তি এই আইন অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হইলে বিশেষ ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ মোতাবেক তাহাকে ফাঁসি দিয়া কিংবা নির্ধোরিত পদ্ধতি মোতাবেক গুলি করিয়া দণ্ড কার্যকরী করা হবে।’

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আইনজীবী শাহেদুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘প্রচলিত আইনে এ ধরনের কোনও বিধান নেই। মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে ফায়ারিং স্কোয়াডের যে নির্দেশ দেওয়া হয় সেটি বিচারক কখনও কখনও দিয়ে থাকেন। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায়েও এই বিধান দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেটি কার্যকর হয়নি।’

কোটালীপাড়ার একটি কলেজের কাছে ২০০০ সালের ২০ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা মঞ্চের নির্ধারিত স্থানে ৭৬ ও ৮০ কেজি ওজনের দুটি বোমা পাওয়ার পর এই মামলা করে পুলিশ।

রবিবারের রায়ে পুরোপুরি সন্তুষ্ট নয় উল্লেখ করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ শামসুল হক বাদল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা ‘আংশিক সন্তুষ্ট’। রায়ের কপি পাওয়ার পর আপিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।’

প্রসঙ্গত, বিশ্বের ৫০টি দেশে এখনও ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বিধান আছে।

/ইউআই/এসটি/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
রাজশাহী মহাসড়কে ফেলা হচ্ছে বর্জ্য, তৈরি হচ্ছে পরিবেশ ও স্বাস্থ্যঝুঁকি
রাজশাহী মহাসড়কে ফেলা হচ্ছে বর্জ্য, তৈরি হচ্ছে পরিবেশ ও স্বাস্থ্যঝুঁকি
কেমন কেটেছিল ডিবি হেফাজতে সাত সমন্বয়কের সাত দিন
কেমন কেটেছিল ডিবি হেফাজতে সাত সমন্বয়কের সাত দিন
পঞ্চপাণ্ডবহীন এক নতুন শুরু, মিরাজের নেতৃত্বে ওয়ানডে যাত্রা
পঞ্চপাণ্ডবহীন এক নতুন শুরু, মিরাজের নেতৃত্বে ওয়ানডে যাত্রা
চট্টগ্রাম কাস্টম কমিশনার জাকির হোসেন সাময়িক বরখাস্ত
‘শাটডাউন’ কর্মসূচির জেরচট্টগ্রাম কাস্টম কমিশনার জাকির হোসেন সাময়িক বরখাস্ত
সর্বাধিক পঠিত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি
যারা ফেসবুক লাল করেছিল, তাদের জীবন লাল করে দেবে আ.লীগ: পার্থ
যারা ফেসবুক লাল করেছিল, তাদের জীবন লাল করে দেবে আ.লীগ: পার্থ
অবশেষে রিজার্ভে আইএমএফের লক্ষ্য পূরণ হলো
অবশেষে রিজার্ভে আইএমএফের লক্ষ্য পূরণ হলো
বেসরকারি শিক্ষকদের জ্যেষ্ঠতা যোগদানের দিন থেকে শুরু করতে হাইকোর্টের রুল
বেসরকারি শিক্ষকদের জ্যেষ্ঠতা যোগদানের দিন থেকে শুরু করতে হাইকোর্টের রুল
ইলিশের দাম নির্ধারণের প্রস্তাবে প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদন
ইলিশের দাম নির্ধারণের প্রস্তাবে প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদন