সহিংসতা ও উগ্রবাদ বিশ্বব্যাপী সমস্যা। বাংলাদেশও এই সমস্যা থেকে বিচ্ছিন্ন নয় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শনিবার (২৬ জানুয়ারি) সিরডাপ মিলনায়তনে ‘সহিংস উগ্রবাদবিরোধী’ বিতর্ক প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। এতে সহযোগিতা করছে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সম্প্রীতি প্রকল্প।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘শুধু উগ্রবাদই নয়, সমাজে আরও নানা কারণে অসহিষ্ণুতার প্রকাশ ঘটতে দেখা যাচ্ছে। সামান্য কারণে পাশবিক নির্যাতনের ঘটনাও ঘটছে। আবার উল্লাস থেকে উন্মাদনার ঘটনাও সংঘটিত হচ্ছে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সমাজকে সহিংসতা ও উগ্রবাদ থেকে মুক্ত করতে হলে রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি সবার সহযোগিতার প্রয়োজন। একই সঙ্গে ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।’
হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘শুধু মেধাবী হলেই হবে না। একই সঙ্গে দেশাত্ববোধও তৈরি করতে হবে। স্বপ্নের বাংলাদেশের জন্য স্বপ্নের মানুষও তৈরি করতে হবে। যারা ভবিষ্যতে দেশ চালাবে, কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করবে তাদের মধ্যে যুক্তিতর্কের প্রতিযোগিতা বাড়াতে হবে।’
সহিংসতা ও উগ্রবাদ প্রতিরোধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শ্রেণিকক্ষ, সভা-সমাবেশ ও তৃণমূল পর্যায়ে এ নিয়ে আলোচনা করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো মধ্যে গণতন্ত্র বিকশিত হলে সহিংসতা ও উগ্রবাদের ঝুঁকি কমে আসবে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দৃঢ় হলে তরুণরাই উগ্রবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবেন।’
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি মসজিদ-মাদ্রাসার ইমাম, ইসলামি স্কলার, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষকসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে উগ্রবাদবিরোধী কর্মকাণ্ড এগিয়ে নিতে হবে।’ শিক্ষার্থীদের মধ্যে উগ্রবাদবিরোধী নৈতিক শিক্ষার প্রসার ঘটানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
এদিন প্রতিযোগিতায় ‘রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্বপূর্ণ ভূমিকাই পারে সহিংস উগ্রবাদ বন্ধ করতে’ শীর্ষক বিষয়ে তেজগাঁও কলেজের শিক্ষার্থীদের পরাজিত করে লালমাটিয়া মহিলা কলেজ বিজয়ী হয়।
এদিন মোট ১৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে ৮টি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট দেওয়া হয়।
প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন আবু মোহাম্মদ রইস, আতিকুর রহমান লিটন, সাংবাদিক জাহিদ রহমান, দীপু সারোয়ার ও জেমসন মাহবুব।